![]() |
দেবপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়; Collaborator at Saint-Petersburg State University |
(সিরিয়া থেকে ভাংগর দেখতে দেখতে পাগল হয়ে গিয়ে...)
৭২ সাল। বরানগর। আমার বয়েস ছয়। রক্তচান দেখেছি খড়খড়ির জানলা দিয়ে। এখনো দেখছি, তবে শুধু বরানগরে নয়, এ গ্রহের সর্বত্র।
দিগন্তবিস্তৃত ফ্যাসিবাদ আজও রণক্লান্ত নয়, হায়!
বিরামহীন জিঘাংসায় ক্লান্ত লাগে খুব। স্বস্তি মেলেনি এক দণ্ডের জন্যও।
সেইসব রক্তস্মৃতি, বিশ্বাস করুন, আজও ম্লান নয়। আপনার হাতে সুঁই ফুটিয়ে ডাক্তারি-কারণে রক্ত নিতে দেখলেও আতঙ্কিত হই। সম্মত কুমারীর সতীচ্ছদ (? সতী কি??) ফাটানো-অন্তে ক্লীবতা অনিবার্য হয় রক্তের ফিনকি দেখে।
ডাক্তারবাবু বললেন, 'রোগ। হেমিয়াটোফোবিয়া।'
রোগ?
সিম্পটম স্পষ্ট!
আতান্তরে পড়ি। সে ঘোর সংকট-- ব্যক্তিক সংকট। নাকি সামূহিক?
শক্তির পদ্য পড়ছিলুম তখন।
খুঁজছিলুম অহিংসার ব্যর্থ পরিহাস।
সবরমতী আশ্রম কোনদিকে?
সদাগর-স্পন্সরিত সে আশ্রম।
কি করি?
"নিরস্ত্রের যুদ্ধে যাই শস্ত্র হয় মন।"
হাঁক পাড়ি পরম জিঘাংসায়,
ওহে যত যুদ্ধুবাজ আর অস্ত্রবেনিয়া, সংগঠিত বা অসংগঠিত, থামা তোদের নাচনকোদন। আর যে পারি না সইতে রক্তপাত।
আরো বলি,
এই দেখ আমি নিরস্ত্র, তবু করিনি আত্মসমর্পণ। মারলে মার, বুঝে নে তোদের অধিকার মালিকানার, বুক চিতিয়ে আছি, থামা আমার লাবডুব।
দেখলুম, শুনলুম, আমার লাবডুবানি ওদের অস্তরের আওয়াজ থেকেও জোরালো। ওরা ভয়ে পালালো... নিমাই নিত্যানন্দকে প্রেমপ্রহার করলেন।
এই মুহূর্তেই সিম্পটম আর সিম্পটম থাকে না, সে বন্দুকের নল থেকে, গুলি নয়, ফুল হয়ে ছিটকে পড়ে-- আমার আশপাশে ফুলশেজরচনা।
(অহিংসা বিনে পন্থা নেই আর। সমস্ত সশস্ত্র প্রতিষ্ঠানের সংগে অসহযোগ....)
এটা বোঝা তো জরুরি যে খ্যামতার ধারা নিরবচ্ছিন্ন এবং জ্ঞানে আসে নানান বাঁক। তাই জিজ্ঞাসা থেকে বিজিগীষায় নয়, বরং জিজ্ঞাসা থেকে কষ্ট করার ইচ্ছেয় পাড়ি দিই... ( will to know থেকে will to power নয়, বরং will to suffer)
______________________________
"Cease fire. Need of the hour: TOTAL DISARMAMENT."
0 Comments:
Post a Comment