This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Showing posts with label কুড়িগ্রাম বার্তা. Show all posts
Showing posts with label কুড়িগ্রাম বার্তা. Show all posts

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ৩বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ


কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ৩ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হোসেন আলী (১৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার(২৭মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে উপজলোর সদর ইউনিয়নের বাওয়াইরগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় শনিবার(২৮র্মাচ) নির্যাতিত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ।
অভিযুক্ত হোসেন আলী রৌমারী সদর ইউনিয়নের বাওয়াইরগ্রাম এলাকার মৃত কোরবান আলীর ছেলে।
রৌমারী থানার ওসি আবু মো: দিলওয়ার হাসান ইনাম এ তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন।

নির্যাতনের শিকার শিশুটির পরিবার ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকালে সু-কৌশলে ওই শিশুটিকে কোলে নেয় প্রতিবেশী হোসেন আলী। সরল বিশ্বাসে ওই শিশু সন্তানকে ওই যুবকের কাছে রেখে বাড়ির পাশে জিঞ্জিরাম নদীতে গোসল করতে যায় শিশুটির মা। এসময় সুযোগ বুঝে শিশুটিকে পাশের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে হোসেন আলী। এ সময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে ধর্ষক হোসেন আলী পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজলো স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই হোসেন আলীকে আটক করে থানায় নেয়।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিত শিশুর পরিবারসহ এলাকাবাসী। রৌমারী থানার ওসি আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইনাম জানান, অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। নির্যাতিত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। চিকিৎসকের বরাদ দিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, প্রাথ‌মিকভা‌বে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।



পুনরায় ন্যাশনাল সার্ভিস চালুর দাবি কুড়িগ্রামের বেকার যুবকদের!



এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কর্মসংস্থানহীন কুড়িগ্রামে ন্যাশনাল সার্ভিস পুনরায় চালুর দাবি করেছে এখানাকার নয়টি উপজেলার হাজার হাজার বেকার যুবক-যুবতীরা। এ দাবিতে মানববন্ধন ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছে বেকাররা।

এর অংশ হিসেবে শুক্রবার উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের চরশৌলমারী হাই স্কুল মাঠে ইউনিয়ন পর্যায় মানববন্ধন ও আলোচনা সভা করেছে সেখানকার বেকার যুবক-যুবতীরা।
এতে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল সার্ভিসের ইউনিয়ন সভাপিত দুলাল হোসেন, সাধারন সম্পাদক সিরাজুল মাষ্টার, কোষাধ¶ মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ন্যাশনাল সার্ভিস নিয়ে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কাছে রৌমারী উপজেলাসহ কুড়িগ্রামের নয়টি উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস পুনরায় চালু করার জোড়দাবি করছি।
তারা বলেন, আমাদের মতো বেকারদেরকে তিনি ন্যাশনাল সার্ভিসের আওতায় এনে বেকারত্বের বিষাক্ত অভিশাপ থেকে আমাদের রক্ষা করবেন এই প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর কাছে করছি আমরা।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেকারত্ব দূরীকরণে নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী কুড়িগ্রাম, বরগুনা ও গোপালগঞ্জ জেলায় ২০১০ সালে প্রথম দুই বছর মেয়াদী ন্যাশনাল সার্ভিস চালু করেন। সে সময় কুড়িগ্রামে দুই দফায় কয়েক হাজার বেকার যুব-যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির আওতায় বেকার যুব-যুবতীদের বিভিন্ন দপ্তরে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকুরি দেওয়া হয়। এর মধ্যে তৃতীয় দফায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসের আহবানে আরও কয়েক হাজার বেকার যুবক-যুবতীর কাছ থেকে দরখান্ড আহবান করা হয় এবং আবেদনকারীদের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে বাছাই করা হয়। কিন্তু এর মাঝে ন্যাশনাল সার্ভিসের কার্যক্রম কুড়িগ্রামে স্থগিত হয়।
এতে তৃতীয় দফায় আবেদন কারী কয়েক হাজার বেকার যুবক-যুবতীর ভাগ্যে সরকারি অর্থনৈতিক সুবিধা আর জোটেনি। বন্ড়াবন্দী হয়ে থাকে তাদের ন্যাশনাল সার্ভিসের আবেদন। তৃতীয় দফার আবেদনকারী ও পূর্বে নিয়োগ প্রাপ্তদের অনেকের সরকারি চাকুরির বয়সসীমা শেষ পর্যায়ে। এ অবস্থায় কুড়িগ্রামে ন্যাশনাল সার্ভিস পুনরায় চালু করে তৃতীয় দফার আদেনকারীদের ন্যাশনার সার্ভিসে নিয়োগ প্রদান ও পূর্বে নিয়োগ প্রাপ্তদের পুনঃনিয়োগ দিয়ে কর্মসংস্থানের পথ সৃষ্টি করা একান্ত জরুরী বলে জানিয়েছেন এখানকার বেকাররা।

সূত্রঃ স.বা.

রেলমন্ত্রীর কাছে আন্তঃনগর ট্রেনের দাবী জানালো 'কুড়িগ্রাম সোসাইটি'


কুড়িগ্রাম থেকে সরাসরি ঢাকা পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেন চলাচলের দাবি নিয়ে রেলপথ মন্ত্রীর সাক্ষাৎ করেছে ঢাকায় বসবাসরত কুড়িগ্রাম জেলাবাসীর সংগঠন ‘কুড়িগ্রাম সোসাইটি, ঢাকা’র একটি প্রতিনিধি দল।

সোমবার(১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এমপি হোস্টেলে রেলপথ মন্ত্রী এডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজনের সাথে দেখা করেন সমিতির সদস্যরা।
এ সময় রেলমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে কুড়িগ্রাম থেকে সরাসরি ঢাকা পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবি উপস্থাপন করেন তারা। রেলমন্ত্রী সবার কথা মনযোগ দিয়ে শোনেন এবং সার্বিক বিষয় খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের সময় কুড়িগ্রাম সোসাইটির উপদেষ্টা সালেক সাব্বির আহমেদ রুবেল, সোসাইটির সহ-সভাপতি কুড়িগ্রামের কৃতী কন্যা সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও ক্রীড়া সংগঠক রেহেনা পারভিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন রিপন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম পারভেজ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান,রাকিবুল হাসান রাহুল, প্রচার সম্পাদক আনু ইসলাম,সহ-প্রচার সম্পাদক মমিনুল ইসলাম,তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাকিউল ইসলাম বাপ্পি ও অন্যন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কুড়িগ্রামে গলা কাটা লাশ উদ্ধার



কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে আব্দুল মজিদ ওরফে মজু পাগলা (৫০) কে গলা কেটে হত্যা করে তার নতুন অটোরিক্সা ছিনতাই করেছে দুবৃত্তরা। গত সোমবার দিবাগত রাতে আন্ধারীরঝাড় ইউনিয়নের বীর-ধাউড়ারকুটি গ্রামের বড়ইতলা ব্রীজের নীচে তার গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। নিহত মজু পাগলা ওই ইউনিয়নের খামার আন্ধারীরঝাড় গ্রামের মৃত: ময়েজ উদ্দিনের পূত্র। সে ৫দিন পূর্বে অটোরিক্সাটি ক্রয় করেছিল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবীর জানান, রিক্সা ছিনতাইয়ের উদ্দ্যেশে গলা কেটে হত্যাকান্ডটি ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং লাশটি ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
অটোরিক্সা চালক আব্দুল মজিদ মজু পাগলার হত্যায় জড়িত মিজানুর রহমানকে আটক ক‌রে‌ছে এবং অ‌টো রিক্সা সহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

ধন্যবাদ ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবীর সহ পুলিশ প্রশাসনকে।

নাগেশ্বরীর নেওয়াশীতে ডাকাতের হানা


গতরাত(০৬/০১/১৯) এ কুড়িগ্রাম জেলাস্থ নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের ঘরজেয়াটারী গ্রামের ইসমাইল শেখের বাড়ি ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ইসমাইল শেখের
পিতাঃআলহাজ্জ মাওঃ মোঃমজিবুর রহমান শেখ,
পেশাঃশিক্ষক,গংগারহাট দাখিল মাদ্রাসা।
ঠিকানাঃ ৭নং নেওয়াশী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড এর ঘরজেয়াটারী গ্রাম।

বিস্তরিত পড়ুন ইসমাইল হোসেন পাঠানো নিচের বার্তাটিতেঃ-
ভাই,
আমি তো আমার বাবাকে নিয়ে রংপুরের এক ক্লিনিকে আছি। বাবা খুব অসুস্থ। আমার গ্রামের বাড়িতে ছোট ভাই, নানি এবং ফুপু আছে। ওনাদের সবাইকে অজ্ঞান করে দুর্বৃত্তরা বাড়ি ডাকাতি করেছে। তিন ভরি সোনার অলংকার, নগদ ৪১হাজার ৬শত টাকা, পানির পাম্প ১টি, কাপড়, মায়ের চেক বইসহ অনেক কিছু নিয়ে যায় ডাকাতরা। বাড়ির আটটি রুমের দরজা ভেঙ্গে এই কাজগুলো করেছে। গত রাতে এই ঘটনা ঘটে।

আছলাম সওদাগরকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারীবাসী

হাফিজুর রহমান হৃদয়:
কুড়িগ্রাম-১ (নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী) আসনের এমপি আছলাম হোসেন সওদাগরকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় নাগেশ্বরী ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ
স্বাধীনতা পরবর্তী এ আসনে আওয়ামী লীগের কোনো এমপি কিংবা মন্ত্রী না থাকায় সংসদে কথা বলার কেউ সুযোগ না পাওয়ায় সকল প্রকার উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত এসব অঞ্চলের জনসাধারণ। নদীবেষ্টিত এই অঞ্চলগুলোতে অনেক প্রতিভাবান ব্যাক্তি থাকলেও কারও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। বরাবই কুড়িগ্রাম জেলা থেকে গেছে দারিদ্রের শীর্ষে। এর কারণ হিসেবে ভৌগলিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। ফলে শিক্ষা, কর্মসংস্থান অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন দিক থেকে পিছিয়ে এসব অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ। সব দিক থেকে উন্নয়নের অপার সম্ভাবনা সত্বেও সরকারদলীয় কোনো এমপি-মন্ত্রী না থাকায় এসব অঞ্চলের দারিদ্রতার কারণ হিসেবেও উল্লেখ করেন অনেকে। সম্ভাবনাময় এই জেলায় উন্নয়নের অংশ হিসেবে সোনাহাট স্থল বন্দর একটি রাজস্ব আয়ের উৎস সমূহের মধ্যে অন্যতম। তাই এই অঞ্চলে একজন মন্ত্রী হলে এই আসনের দুই উপজেলাসহ জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোও হবে অনেক উন্নত। বাড়বে সরকারের আয়ের উৎস। তখনই মুছে যেতে পারে দরিদ্র নামক নামটি। স্তানীয়রা বলছেন স্বাধীনতা পরবর্তী এ আসনে আমরা কখনও আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী দেখিনি। এবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এমপি পেয়েছি। আমারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বঙ্গকন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এমপি উপহার দিয়েছি। আমাদের দাবী এ আসনের নির্বাচিত প্রার্থী আছলাম ভাইকে মন্ত্রী করা হোকে। নাগেশ্বরী প্রেক্লাবের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, দুধকুমরের উপর সেতু নির্মাণ, নদী খনন, নদী শাসন, বাঁধ নির্মাণ, নন এমপিও স্কুল কলেজগুলোকে এমপিওভুক্ত করা, সড়ক পাকা করণ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎসহ সকল প্রকার উন্নয়নের জন্য আছলাম ভাইকে মন্ত্রী করা আমাদের জোর দাবি। ভূরুঙ্গামারী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মন্টু বলেন, আমরা প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী ও বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আছলাম ভাইয়ের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেছি। আমাদের এ অঞ্চল অনেক পিছিয়ে তাই আমাদের আছলাম ভাইকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। প্রভাষক রফিকুল ইসলাম বলেন, এই অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ এবং শিল্প কারখানা না থাকায় বেকারত্ব ও দারিদ্র্য সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এ সমস্যা দূরীভূত করতে গ্যাস সরবরাহসহ ইপিজেডের মত শিল্পাঞ্চলের প্রয়োজন। আর এ আশা পূরণ করতে হলে চাই সরকারদলীয় মন্ত্রী। নাগেশ্বরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক প্রধান বলেন, আমরা সকলে সম্মিলিতভাবে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করেছি। একইভাবে আমাদের সমন্বিত দাবি আছলামের নামটা মন্ত্রীসভায় থাকবে। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-১ আসনে ৮জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধ করে আছলাম হোসেন সওদাগরের নৌকা মার্কা ১ লাখ ২২হাজার ১৪ ভোট পেয়ে স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লীগের প্রথম এমপি নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম ঐক্যফ্রন্ট-বিএনপি মনোনিত প্রার্থী সাইফুর রহমান রানার ধানের শীষ পায় ১ লাখ ১৭ হাজার ৯শ ৩৫ ভোট।

কুড়িগ্রামের জন্য কুড়িটি দাবি


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
চিলমারী টু ঢাকা রুটে ভাওয়াইয়া এক্সপ্রেস চালু, রৌমারী পর্যন্ত রেললাইন ও গ্যাসলাইন সম্প্রসারণ, ৩টি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বিশ্ববিদ্যালয় চালু ও নির্বাচনী আইন সংস্কারসহ 'কুড়িগ্রামের জন্য কুড়িটি দাবি' সংসদ প্রার্থীদের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভূক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে তারা বলেন, গণকমিটি জন্মের পর থেকে দৃঢ়ভাবে একটানা লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে চিলমারীতে পেদীখাওয়া বাঁধের ক্ষতিপূরণ আদায়, চিলমারীকে রক্ষায় ব্রহ্মপুত্রের ডানতীর রক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ণ, রমনা লোকাল দুইবার চলাচল, বাঁধের বাসিন্দাদের সম্মতিবিহীন ও পুনর্বাসনহীন উচ্ছেদ প্রতিরোধ ও চিলমারী নদীবন্দর চালুর দাবি প্রতিষ্ঠা; উলিপুরে বুড়িতিস্তা আন্দোলন, সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের গঙ্গাধর নদী অবৈধ বালু উত্তোলন ঠেকানোসহ জেলা সদরে একটি শাটল ট্রেন আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও নদনদীর ড্রেজিং এর প্রতিশ্রুতি আমরা পেয়েছি।
আন্দোলনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, রেলমন্ত্রীর সাক্ষাৎ আমরা পেয়েছি কিন্তু নিজ এলাকার সাংসদরা দরখাস্তে সুপারিশ তো দূর কি বাৎ, সাক্ষাৎ পর্যন্ত করেননি। সাক্ষাৎ এর জন্য তাজুল চৌধুরীর পিএস ঘুষ পর্যন্ত নিয়েছে। তাই ভোটের আগে সাফ কথা জানিয়ে দিতে চাই, আমাদের দাবিগুলো তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভূক্ত করা না হলে ব্যালটের মাধ্যমে উপযুক্ত জবাব আমরা দিব।

আমাদের দাবিসমূহ :
১. চিলমারী টু ঢাকা রুটে ভাওয়াইয়া এক্সপ্রেস চালু।
২. ভূরুঙ্গামারী-নাগেশ্বরী, রৌমারী-রাজীবপুর ও কুড়িগ্রামের বাকি অংশে ১ টি করে মোট ৩ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন।
৩. চিলমারী টু রৌমারী/রাজীবপুর নৌ রুটে ফেরী সার্ভিস চালু।
৪. সোনাহাট টু কুড়িগ্রাম ও রৌমারী টু জামালপুর রেল লাইন চালু ও চিলমারী নদীবন্দর বাস্তবায়ন।
৫. রৌমারীকে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করা, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর স্থাপন ও ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করা।
৬. ব্রহ্মপুত্রসহ সকল নদনদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে কৃষি জমিসহ প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষা করা।
৭. ব্রহ্মপুত্রের খনিজ সম্পদ ব্যবহারপূর্বক কাঁচ শিল্পসহ অন্যান্য শিল্প স্থাপন এবং বাকি বালু দিয়ে ব্রহ্মপুত্রের দুই পাশে শহর গড়ে তুলে চরবাসিকে আধুনিক জীবনের সাথে যুক্ত করা।
৮. ব্রহ্মপুত্রে চরে হারিয়ে যাওয়া বন পুনরুদ্ধার করে বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য সৃষ্টি ও মাছ-পাখি-কাছিম-শুশুকের বাস্তুসংস্থান নিশ্চিত করা।
৯. ৩শ মেঃওয়াট সম্পন্ন কয়েকটি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা।
১০. আগামি ৫ বছরে রাষ্ট্রীয় খরচে ৫লক্ষ শ্রমিককে বিদেশে প্রেরণ করতে হবে।
১১. লালমনিরহাটে বিমানবন্দর ও আধুনিক রেলকারখানা স্থাপন করতে হবে।
১২. নাগেশ্বরীর রায়গঞ্জ হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত হাসপাতালে পরিণত করতে হবে।
১৩. কুড়িগ্রাম জেলাকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা ও ব্রহ্মপুত্রের তীর ধরে উলিপুর-চিলমারী ব্যাপী মেরিন ড্রাইভ সড়ক স্থাপন করা।
১৪. চরগবেষণাকেন্দ্র স্থাপন করা।
১৫. হাটগুলোতে সরকারি ক্রয়কেন্দ্র স্থাপন ও হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা।
১৬. চিলমারী-হরিপুর সেতুর নকশাঁয় রেলপথ যুক্ত করা।
১৭.দেশের প্রতিটি উপজেলায় সরকারি গ্রন্থাগার স্থাপন ও অডিটরিয়ামগুলোকে সংস্কার করা এবং প্রতিটি জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘর স্থাপন।
১৮. অবৈধ ফকরুদ্দীন সরকারের দল নিবন্ধন আইন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার আইন বাতিলের দাবি তোলা।
১৯. এক স্তরের সরকারের বদলে দুই স্তরের সরকারের দাবি তোলা। যেন কেন্দ্রীয় সরকার ও সাংসদগণ শুধু আইন প্রবর্তন করবেন আর স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিরা উন্নয়ন কাণ্ড পরিচালনা করবেন। এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণকে যেকোন সময় প্রত্যাহার করা যায়।
২০. ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কার পূর্বক জনগণের হাতে ফেরান, প্রধানমন্ত্রী নামক পদের বদলে সবার হাতে ক্ষমতার বন্টন এর দাবি সংসদে তুলতে হবে।
জেলা কমিটির সভাপতি সালেহা ইয়াসমিন লাইলীর সভাপতিত্বে দাবিনামা পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট প্রদীপ কুমার রায়। এছাড়াও জেলা ও উপজেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সীমাহীন দুর্ভোগে ২০ হাজার জনসাধারণ

রতনপুর থেকে মধুরহাইল্যা রাস্তার বেহাল দশা

  • হাফিজুর রহমান হৃদয়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:


কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রতনপুর থেকে মধুর হাইল্যা পর্যন্ত কাচা রাস্তাটি বেহাল অবস্থা হওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার জনসাধারণ। পাকাকরণ না হওয়ায় শিক্ষা ও ব্যবসাসহ অন্যান্য উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে। সরেজিমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের রতনপুর এলাকা থেকে নাগেশ^রী পৌরসভার মধুর হাইল্যা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার কাচা রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। কোনো যান চলাচল করতে পারে না। রাস্তাটি দিয়ে বোর্ডেরবাজার, আদর্শপাড়া, সাপখাওয়া, তেলিয়ানিপাড়, মোল্লারভিটা, মধুরহাইল্যাসহ কয়েক এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচলল করে। ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষাসহ সকল প্রকার যোগাযোগের মাধ্যম এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে প্রায় ১ হাজার জনসাধারন। বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়নে এসব অঞ্চলের মানুষ খুশি থাকলেও তাদের মাঝে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই রাস্তাটি। সামান্য বৃষ্টিতেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। বেহাল রাস্তাটিতে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানা-খন্দক। বিভিন্ন জায়গায় দেবে গিয়ে উঁচু-নিচু হয়েছে। বৃষ্টির দিনে পানি আর কাদা জমে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় পথচারীদের। অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের কারনে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার এসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। এ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি তুলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে আন্দোলন করে আসছেন সামাজিক সংগঠন উচ্ছ¡াস এর যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান। তিনি প্রতিনিয়ত সাংবাদিক, স্থানীয় সরকার, রাজনীতিবিদ, ও সরকারি কর্মকর্তাসহ, চেয়ারম্যানগণকে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি তুলে ধরছেন। এ বিষয়ে মিজানুর রহমান মিজান বলেন, সাপখাওয়া বাজারে আমার ছোট খাটো একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু বাজার যেতে আমাদের কষ্টের সীমা থাকে না। বৃষ্টির দিনে রাস্তা দিয়ে চলাচর করতে পারি না। সাপখাওয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ডা. শেখ মো. নুর ইসলাম জানান, আমাদের বাড়ি থেকে বাজার যাওয়া আসার রাস্তাটিতে কয়েক জায়গায় বড় বড় গর্ত ও খানা খন্দক রয়েছে। গাড়ি নিয়ে বের হওয়া যায না। বৃষ্টির দিনে যাতায়াতই বন্ধ করি। নাগেশ^রী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী মোর্শেদা, লিজা বলেন প্রতিনিয়ত আমরা এ রাস্তা দিয়ে কলেজে যাই। রাস্তা খরাপের কারনে দ্বিগুন ভাড়া দিলেও রিকশা যায় না। তাই হেঁটে যেতে হয়। সাপখাওয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, রয়হান, লিপা, রাহাত বলেন বৃষ্টির দিনে আমরা স্কুলে যেতে পারি না। আমাদের অনেক সমস্যা হয়। অনেক সময় পিছলে পড়ে যায় অনেকেই। রতনপুর এলাকার বাসিন্দা রায়গঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসম আব্দুল্লাহ আল ওয়ালিদ মাসুম বলেন, কয়েক এলাকার মানুষের চলাচলের মাধ্যম এই রাস্তা। কিন্তু এই কাচা রাস্তাটি পাকাকরণ না হওয়ায় অনেকদূর ঘুরে উপজেলা ও জেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়। এতে খরচও দ্বিগুণ পড়ে। রাস্তাটি অবিলম্বে পাকাকরণ হলে প্রায় ২০হাজার মানুষ কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে। উপজেলা প্রকৌশলী বাদশা আলমগীর বলেন রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য একটি প্রকল্পে ধরা আছে। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে।

কুড়িগ্রামে দুই কিশোর-কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার



  • হুমায়ুন কবির সূর্য্য, কুড়িগ্রাম থেকেঃ




আজ(১৯/০৯/১৮) কুড়িগ্রামে দুই কিশোর-কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার ভোরে সদর উপজেলার বিসিক শিল্পনগরীর কাছে নলেয়ার পাড় এলাকায় পরিত্যক্ত সেচ পাম্পের কাছে তাদেরকে পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকান্ড বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, নিহতের মধ্যে সেলিনা আক্তার (১৪) আমিন উদ্দিন দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ডাকুয়াপাড়া গ্রামের জাবেদ আলীর মেয়ে। অপর কিশোর জাহাঙ্গীর আলম (১৬) কুড়িগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র এবং পাশর্^বর্তি পূর্ব কল্যাণ গ্রামের সৈয়দ আলীর পূত্র। সদর থানা পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করে। মরদেহ দুটি’র গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। 
স্থানীয়রা জানান, নিহত দু’জনকে সাইকেলে করে গতকাল ঘুড়তে দেখেছে অনেকেই। স্থানীয়দের ধারণা প্রেমের সম্পর্ক থেকে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবার উদ্দেশ্যেই তারা বের হয়েছিল। 
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম জানান, সুরতহাল রির্পোট অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে হত্যাকান্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

জরীফ উদ্দীনের খোলা চিঠি | জরীফ উদ্দীন

জরীফ উদ্দীন


তুই গরীব, তুই কথা কইস না।
তুই না খেয়ে মর কিংবা বিষ আলু খেয়ে মর। তবুও তুই প্রশ্ন করবি না কেন তুই দারিদ্র্যের শীর্ষে। না তুই বলতেই পাবি না কারণ এখানে শুধু তুই থাকিস না থাকে ভদ্দর লোকও। ওদের ইজ্জত বলতে তো কথা আছে!
শরম তখন লাগে না যখন কেউ জাল পরে গতর ঢাকে? ইজ্জত তখন যায় না যখন বিষাক্ত আলু খেয়ে মানুষ মারা যায় খুদার তাড়নায়? যখন চড়া মূল্য দিতে না পারায় বাসের সাদে করে ঢাকা, ফেনি, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা যায় কাজের জন্য  কিংবা যখন ফিরে আসে। তখন কোথায় থাকে আপনাদের লজ্জা? তোরা এই প্রশ্নও করতে পাবি না। কারণ তোরা গরিব।
তোদের জেলা দারিদ্র্য শীর্ষে থাক। তুইও বছরের পর বছর চ্যাম্পিয়ন হ দারিদ্র্যে। আর ওরা ওদের জমিদারি টিকিয়ে রাখুক, ওদের ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়াক, ওদের ছেলে মেয়েররা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল পড়ুক, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুক, ঢাকায় ওরা ফ্লাট কিনে নেক, ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করুক ইত্যাদি ইত্যাদি। তুই চেয়ে দেখ। কারণ তুই পাবি না তোর ভাগ্যের চাকা উল্টাতে। 
আর যদি চাকা উল্টাতে চাস তাহলে আওয়াজ তোল:

১. বালাসিঘাট-দেওয়ানগঞ্জ টানেলের সাথে লালমনিরহাট/কুড়িগ্রাম জেলাকে যুক্ত করতে চিলমারী-সুন্দরগঞ্জ তিস্তা সেতুতে রেলপথ যুক্ত কর। 
২. বর্তমান চিলমারী-ঢাকা রুটে ভাওয়াইয়া এক্সপ্রেস চালু; 
৩. একাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা; 
৪. নবায়ণযোগ্য ৫শ মেঃ ক্ষমতার সৌরবিদ্যূৎকেন্দ্র নির্মাণ; 
৫. সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক বিশ্ববিদ্যালয়; 
৬. মাছ-পাখি-প্রাণ ও জমি রক্ষায় স্থানীয় ও জাতীয় বালুদস্যুদের হটাও ও ব্রহ্মপুত্রের খনিজ ভিত্তিক শিল্পায়ণ; 
৭. রৌমারীকে মুক্তাঞ্চল হিসেবে গেজেট প্রকাশ, ভাঙ্গন থেকে রক্ষা ও গ্যাস পাইপ-রেললাইন সম্প্রসারণ; 
৮. কুড়িগ্রাম থেকে সোনাহাট স্থলবন্দর পর্যন্ত রেলসংযোগ; 
৯. চিলমারী টু রৌমারী/রাজীবপুর ফেরী সংযোগ চালু; 
১০. লালমনিরহাট বিমানবন্দর পুনরায় চালু; 
১১. মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত গরীব কৃষকদের রক্ষা; ১২. কুড়িগ্রাম জেলার জন্য বিশেষ বাজেট চালু করতে হবে।

কুড়িগ্রামে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি নিজেই প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছে

কুড়িগ্রামে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আমিনুর রহমান

১৯৮৫ সালে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের পিছনে সরকারী খাস জায়গায় প্রতিষ্ঠিত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলামকে অযৌক্তিক অজুহাতে চলতি বছরের ২৪ জুলাইয়ে সাময়িক বরখাস্ত করার পর থেকে বিদ্যালয়টিতে হযবরল অবস্থা দেখা দেয়।


আজ ৯ সেপ্টম্বর বেলা ১২ টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলা প্রেসক্লাবের একদল সাংবাদিক সরেজমিনে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী  বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখতে পান কাগজ কলমে ১শত ৪ জন শিক্ষার্থী থাকলেও বাস্তবে মাত্র ১৭জন শিক্ষার্থী এবং ১০ শিক্ষকের মধ্যে ৫জন শিক্ষকের দেখা পাওয়া যায়।

প্রতিমাসে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুলে কর্মরত ১৯ জন শিক্ষক কর্মচারীর বেতন খাতে প্রায় ৩ লাখ টাকা আসে। এতো অর্থ ব্যয়ের মাধ্যম্যে আমাদের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী সন্তানরা কতখানি শিক্ষা অর্জন করে ? এ বিষয় সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে হবে।

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সব চেয়ে বড় দৃষ্টিকটু বিষয় হচ্ছে বর্তমানে এ বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিন আল পারভেজ। একজন ইউএনও কিভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।

কুড়িগ্রামের হীরকখণ্ড সাবেক জাতীয় দলের ফুটবলার কোহিনূর রহমান | আব্দুল কাইয়ুম রন্জু

জাতীয় দলের ফুটবলার কোহিনূর রহমান




ভারত উপমহাদেশ থেকে হাতছাড়া হয়ে যাওয়া মূল্যবান হীরকখন্ড কোহিনূর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দখলে গেলেও  ৭০ দশকে এসে কোহিনূর নামের এক মুল্যবান মানব সম্পদের দেখা মেলে উত্তরের অবহেলিত জনপদ কুড়িগ্রামের মোল্লা পাড়ায় ।বাবা জনাব আব্দুল খালেক এবং মা বেগম শামসুন নাহারের চতুর্থ পুত্র হয়ে এ পৃথিবীতে আগমন কোহিনূর রহমানের । সেসময় বাবা-চাচারা কুড়িগ্রামের অত্র অঞ্চলে ফুটবল শাসন করতো । তাঁদের দেখানো পথে একজন কোহিনূর রহমানের সৃষ্টি কুড়িগ্রামে ।                   

তখন ফুটবলের স্বর্ণযুগ । এমনই সময় কোহিনূর একটু একটু আলো ছড়াতে শুরু করলো কুড়িগ্রামের ফুটবলের সূতিকাগার খ্যাত মোল্লাপাড়ায়। বাড়ির সামনে বিস্তর গওহরপার্ক মাঠ । সেই মাঠেই সকাল-বিকেল অনুশীলন। একজন বিখ্যাত ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন চোখে মুখে । মূলত কোহিনুরের ফুটবলে হাতেখড়ি কুড়িগ্রাম পুরাতন শহরের রিভার ভিউ হাই স্কুলে। খুব অল্প বয়স থেকে তাঁর নৈপুণ্যের দ্যুতি ছড়াতে থাকে দেশের ফুটবল অঙ্গনে । ঢাকা ,খুলনা ,রংপুরসহ বিভিন্ন জেলার লীগে ও টুর্নামেন্টে নজর কাড়া পারফর্মেন্স ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে ঢাকা দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লীগের দল সাধারণ বীমায় খেলার সুযোগ করে দেয় । পরের বছর শান্তিনগরের হয়ে আগাখান গোল্ড কাপে অংশগ্রহণ করেন । থাইল্যান্ডের রাজবিথী ক্লাবের বিপক্ষে দ্রুত গতিতে গোল করে কোহিনূর প্রশংসা কুড়ান । ১৯৭৭ খ্রিঃ তিনি ঢাকা প্রথম বিভাগের নামীদল ওয়াপদার হয়ে আগাখান গোল্ড কাপে সুনাম অর্জন করেন । ১৯৭৮ খ্রিঃ ঢাকা প্রথম বিভাগ লীগে ওয়াপদার হয়ে ৮টি গোল করেন । দিলকুশার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে হ্যাট্রিক করেন । ১৯৭৮ খ্রিঃ শেরেবাংলা কাপ জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে টাঙ্গাইলের বিরুদ্ধে জয়সুচক গোল করে রংপুর জেলা দলকে ফাইনালে তুলে নিয়ে আসার পিছনে কোহিনূরের অনবদ্য অবদান আজও অম্লান স্মৃতি হয়ে আছে।

১৯৭৯ খ্রিঃ কুড়িগ্রামের গর্ব কোহিনুব্র রহমান এ দেশের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাব ঢাকা মোহামেডানের সাদাকালো জার্সি গায়ে জড়ান । ক্ষিপ্ত গতি সম্পন্ন এই রাইট উইঙ্গার সেই মৌসুমে লীগের প্রথম খেলায় ধানমন্ডি ক্লাবের বিরুদ্ধে জয়সুচক গোলটি করেন। ১৯৮২ খ্রিঃ লীগের শেষ খেলায় লীগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর বিপক্ষে গোল করেন । সে বছর ঢাকা লীগে মোহামেডানের কৃতি স্টাইকার সালাম মুর্শেদি ২৭টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড অর্জন করেন যা অদ্যাবধি কেউ ভাঙ্গতে পারেনি। সালাম মুর্শেদির এই সর্বোচ্চ  গোলদাতার পিছনে কোহিনূর অসামান্য অবদান রাখেন। সে মৌসুমে মোহামেডান লীগ চ্যাম্পিয়ন হয় ।

১৯৮৩খ্রিঃ মারাত্মক ইনজুরিতে পড়ে কোহিনূরের ফুটবল ক্যারিয়ারে ছন্দপতন হয়। নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে ১৯৮৫ খ্রিঃ  পর্যন্ত কোহিনূর ঢাকা প্রথম বিভাগ লীগে কখনো ঢাকা ওয়ান্ডারর্স বা অন্য কোন দলের হয়ে খেলেন । ১৯৮৬ শেরেবাংলা কাপ জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে কুড়িগ্রাম জেলা দলকে সেমিফাইনালে উঠার পিছনে কোহিনূর বিশেষ ভুমিকা রাখেন। সে বছরই তিনি ফুটবলের জগত থেকে অবসর নিয়ে অ্যামেরিকায় পরিবার পরিজনসহ স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।       

এ দেশের ফুটবলের ইতিহাসে কোহিনূরের উল্লেখযোগ্য সাফল্যঃ--

ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান দলের সদস্য ১৯৮০,১৯৮১,১৯৮২

লীগ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান ক্লাবের সদস্য ১৯৮০.১৯৮২

বাংলাদেশের প্রথম ক্লাব হিসাবে ঢাকা মোহামেডান ভারতের দুর্গাপুরে আশীষ-

জব্বার স্মৃতি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় তিনি সে দলের সদস্য ছিলেন।

জাতীয় দলের হয়ে সবুজ দলের পক্ষে ১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৮১ খ্রিঃ জাতীয় দলের হয়ে পাকিস্তানে কায়েদা আজম ট্রফি খেলেন ।

১৯৮২ দিল্লীতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন ।

সোনালী অতীতে কোহিনূর রহমান ঃ-   

সত্তর-আশি দশকে দেশব্যাপী ফুটবলের মাতম । ফুটবল জোয়ারে ভাসছি আমরা। ঢাকা প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগের পয়েন্ট টেবিল আমাদের হাতের গনায়। রেডিও টিভিতে চোখ কান পেতে থাকি । দৈনিক বাসি পত্রিকায় খেলার পাতা নিয়ে কাড়াকাড়ি করি । পাক্ষিক ক্রীড়া জগতের খোঁজে এদিক ওদিক চেয়ে থাকি । গোটা দেশ দুটো শিবিরে বিভক্ত । একদিকে ঐতিহ্যের প্রতীক ঢাকা মোহামেডান আর অন্যদিকে আধুনিকতার প্রতীক আবাহনী ক্রীড়া চক্র। এখন যেমন বিশ্বকাপ ফুটবলে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পতাকায় ছেয়ে যায় দেশ ঠিক তখন আবাহনী-মোহামেডানের খেলায় সাদা-কাল আকাশী-হলুদ পতাকায় ছেয়ে যায় সারা দেশ । আমি আবাহনীর মেঝভাই জালাল হোসেন লাইজু মোহামেডানের । এক বাড়িতে দুই দলের পতাকা নিয়ে টানাটানি। সেই ফুটবলের ক্রেজে কুড়িগ্রামের একজন কোহিনুর ঢাকা মোহামেডানে খেলছে চোখ মন গর্বে ভোরে যায় ।কখন যে সমর্থন দূর্বার ছুটে চলা কোহিনূর ভাইয়ের পায়ের কারুকাজে মিশে যায় বুঝাই যায় না । ভিতর থেকে মনটা বলে উঠে আবাহনী জিতুক তবে কোহিনূরভাই গোল দিক।

কোহিনূর পাগল আমার মেঝভাই তার পুরো রুমটা কোহিনূরভাইয়ের ছবির পেপার কাটিংএ ভেসে দিয়েছে। রুমের দেওয়ালে চোখ পাততেই ১১ নম্বর জার্সির ছড়াছড়ি । তখন ঢাকা মোহামেডানে ১১ নম্বর জার্সিতে রাইট উইঙ্গার হিসেবে কোহিনুরভাই আর ১২ নম্বর জার্সিতে লেফট উইঙ্গার হিসেবে গাফফার বল নিয়ে ছুটে চলায় স্টাইকার সালাম গোলের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। কোহিনূর ভাইয়ের পায়ে বল আর পূর্ব গ্যালারী থেকে হটপেটিস হটপেটিস বলে ভক্তদের আমুদেয় চিৎকার । আমরা অপেক্ষায় থাকি লীগ শেষে কবে কোহিনূরভাই কুড়িগ্রামে ফিরবে। আমাদের আইডল তখন কোহিনূরভাই। হবেই না বা কেন ? রোগ,শোক,অভাব অনটনের কুড়িগ্রামের তখন অহংকার করে বলার মত আর কি বা আছে !   

ক্রিকেটের সুদিনে ফুটবল ক্রেজ এখন অতীত । তবুও সার্বিক চেষ্টা চলছে ফুটবলের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার । পুরো দেশের মত কুড়িগ্রামেও চলছে বিভিন্ন কর্নার থেকে ফুটবলের উন্নয়নের নানাবিধ প্রচেষ্টা । ফুটবল হউক কুড়িগ্রামের নগরী এই আহবানে সাড়া দিয়ে সুদূর অ্যামেরিকা থেকে কোহিনূরভাই হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন । এখন প্রতিনিয়ত তার মনটা এখানেই পড়ে থাকে।

ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়াতে,এদেশের ফুটবলকে বিশ্বমানে পৌঁছাতে প্রয়োজন দ্রুত ফুটবল কাঠামোকে ঢেলে সাজানো ,সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন খাতে পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানো সর্বোপরি কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে ফুটবল প্রেম হৃদয়ে ধারণ তবেই হয়তো একাধিক কোহিনূরের পায়ের আওয়াজ শুনতে পাবে কুড়িগ্রাম তথা গোটা বাংলাদেশ ।


-----
পুনশ্চঃ 
লেখা এবং ছবি লেখকের fb ID থেকে সংগৃহীত।