This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Showing posts with label বই. Show all posts
Showing posts with label বই. Show all posts

বিবর্তনবাদ কি বৈজ্ঞানিক সত্য ?

মানুষের উৎপত্তি কিভাবে এ নিয়ে দীর্ঘদিন বিজ্ঞান, দর্শণ ও ধর্মের মাঝে বির্তক চলছে। মানুষের একটা বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সে নতুনকে জানতে চায়। আর সে জন্যই সে রাজত্ব করছে দূর মহাকাশে, সাগর তলে এবং মর্ত্যরে এ পৃথিবীতে। পৃথিবীর প্রধান চারটি ধর্মই বলছে মানুষের উৎপত্তি এক জোড়া নর-নারী থেকে।




কিন্তু বিজ্ঞানের মূল কথাই হল প্রাকৃতিক ঘটনাগুলোর যথার্থ কারণ অনুসন্ধান ও তার পর্যবেক্ষণ। তাই আজকের এ বিশাল মানবজাতি কিভাবে আসল, প্রাণের উৎপত্তি কিভাবে এ প্রশ্নের উত্তর প্রাপ্তি বিজ্ঞানের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।

বর্তমান সময়ে একটি  ‘ Theory’  বা তত্ত্ব সবার মাঝেই প্রচলিত। আমাদের অধিকাংশ মানুষের এ তত্ত্বটি নিয়ে একটি ভুল ধারনা রয়েছে। সেটি হল ডারউইনের বিবর্তবাদ ( Evolution),  এ তত্ত্ব অনুযায়ী মানুষের উৎপত্তি বানর থেকে। আর সবাই ভাবতে থাকে বিজ্ঞান ও ধর্ম সাংঘর্ষিক। আমাদের মাঝে সে ভুল ধারণাটি সেটি হল আমরা ভাবি বিবর্তনবাদ বৈজ্ঞানিক সত্য বা, এর পিছনে অনেক শক্তিশালী যুক্তি রয়েছে। আসলে বিবর্তনবাদ হল Theory  বা, তত্ত্ব, কোন Fact,  বা, বৈজ্ঞানিক সত্য না। অর্থাৎ, এটি এখনও অপ্রমানিত। তাহলে যে, প্রশ্নটি সবার মনে জাগে যেটি হল এ অপ্রমানিত তত্ত্বটি এত ব্যাপকভাবে কেন প্রচারিত হল? এর উত্তরটি আসলে পাওয়া যায় ইতিহাসের পাতায়। গ্যালিলিও যখন বাইবেলের বিপক্ষে কথা বললেন তখণ তাঁকে হত্যা করা হল। আর এটি তখণকার সময়ে প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানীদের মনে দাগ কেটেছিল। সে সময় থেকে ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের বিরোধ শুরু হল। যখন বিবর্তনবাদ প্রকাশিত হল তখণ অধিকাংশ বিজ্ঞানীরা এটি সমর্থন করেছিল কারণ এটি ধর্মের বিরুদ্ধে যায়। আজও শুধু ধর্মের বিরুদ্ধে যায় বলেই এটি এত ব্যাপকভাবে প্রচলিত।

বিবর্তনবাদ কী? এর আরেকটি নাম হল প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদ  Tneory of natural Selection) এর মূল কথাটা এমন, ‘‘ প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সরল কোষ ধীরে ধীরে জটিল হয়ে এবং সরল জীব টিকে থাকার জন্য প্রাকৃতিক নিয়মেই পরিবর্তিত হয়ে জটিল অবস্থার রূপ নেয়।’’

সংক্ষেপে বলতে গেলে, ”Survival of the fittest”  পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়িয়ে নেওয়ার জন্য জীব সরল থেকে জটিল হয়। ডারউইন এ তত্ত্বটি দেন ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর বিখ্যাত গবেষনাপুস্তক ”Origin of species by means of natural selection”.  এ তত্ত্বটি তিনি দেন গেলাপেগোস দ্বীপে চার বছর গবেষনার পর। তিনি খাবার গ্রহণের উপর পাখিদের ঠোঁটের আকৃতির পরিবর্তন লক্ষ্য করে এই তত্ত্বটি দেন। বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান এতটাই অগ্রসর যা তখনকার সময়ে ছিল না। তাই জেনেটিকস্ মাইক্রোবায়োলজি, এমব্রায়োলজি এ শাখাগুলো বিকাশের সাথে সাথে নতুন নতুন তথ্য উম্মেচিত হয় এবং বিবর্তনবাদ একটি পঙ্গু তত্ত্বের রূপ নেয়। এখানে কতগুলো যুক্তি দেওয়া হল যা বিবর্তনবাদকে একটি ভিত্তিহীন তত্ত্বে রূপান্তরিত করে।

 

যুক্তি নং ১ : স্লাইডেন এবং সোয়ান যারা কোষ তত্ত্বের প্রবর্তক তাঁরা বলেছেন ”Every cell comes from a pre-existing   cell”  প্রত্যেকটি কোষ শূন্য থেকে আসে না। তার অবশ্যই একটি মাতৃকোষ থাকে। ভারউইনের বিবর্তবাদ এটির ব্যাখ্যা দিতে পারে না যা কিভাবে জীবনের উৎপত্তি হল। আর সে জন্য বিবর্তনবাদ একটি ভ্রান্ত তত্ত্বে পরিণত হয়েছে।

যুক্তি নং ২ : DNA  হচ্ছে জীবনের রাসায়কি ভিত্তি। এ DNA  এর উপাদান ৫টি কার্বন, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও ফসফরাস। DNA  গুলো অ্যামিনো এসিড তৈরী করে আর এই অ্যামিনো এসিডগুলো প্রোটিন তৈরী করে। আজকের বিজ্ঞান আমাদের বলে একটি DNA অনু যদি হঠাৎ করে তৈরী হত ( বিবর্তনবাদ অনুযায়ী) তবে এর সম্ভাবনা 1/10-268  যা শূন্যের কাছাকাছি। এমনকি বিশ্ব জগতের সব অনুপরমানু একত্রিত করেও একটি DNA  তৈরী করা সম্ভব না। বর্তমান এত উচ্চমানের গবেষনাগারেও বিজ্ঞানীরা শূন্য থেকে কোষ তৈরী করতে সক্ষম না।

যুক্তি নং ৩ : Thermodynamics এর 2nd Law  অনুযায়ী, প্রত্যেকটি সিস্টেম সুশৃঙ্খল অবস্থা থেকে বিশৃঙ্কল অবস্থার দিকে যায় যদি বাহিরের কোন শক্তি এটিকে নিয়ন্ত্রন না করে। ডারউইনের বিবর্তবাদ অনুযায়ী প্রাকৃতিক নিয়মেই সুশৃঙ্খল ভাবে সরল জীবগুলো জটিল অবস্থার রূপ নেয়। Thermodynamics এর সূত্রানুযায়ী, স্রষ্টার সুশৃঙ্খল পরিকল্পনা ছাড়া প্রাকৃতিক নিয়মে  কখনোই সরল জীবগুলো জটিল অবস্থা লাভ করতে পারে না। তাই Tneromodynamics যা প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক সত্য তা বিবর্তনবাদকে অস্বীকার করে।

যুক্তি নং ৪: পৃথিবীর এ বিচিত্র প্রাণীর সমারোহ দেখে আমরা কখনোই ভাবতে পারি না মানুষের উৎপত্তি বানর থেকে। কেননা প্রত্যেকটি প্রাণীর ক্রোমোসোম সংখ্যা নির্দিষ্ট। এর কম বা, বেশি হলে প্রাণীটি তার অস্তিত্ব হারায়। বানরের ক্রোমোসোম থেকে মানুষে উৎপত্তি হওয়াটা বিজ্ঞানের কাছে হাস্যকর।

যুক্তি নং ৫: Muation  বিবর্তনবাদের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। বিবর্তনবাদ অনুযায়ী সরীসৃপ হতে বিবর্তিত হলে এসেছে পক্ষীকূল। আজকের বিজ্ঞান প্রমাণ কর যে, Muation  অর্থাৎ জীনের পরিবর্তনের মাধ্যমে কোনো জীবের বৈশিষ্ঠ্যের পরিবর্তন করা যায় কিন্তু কখনোই বাঘ থেকে হাতী তৈরী করা সম্ভব না। তাই বিবর্তনবাদ অনুযায়ী, সরীসৃপ থেকে পাখির উদ্ভবের ঘটনাটি অবৈজ্ঞানিক।

যুক্তি নং ৬: নৃতত্ত্ববিদরা মানুষের উৎপত্তির ধারাকে চারটি ভাগে ভাগ করেন। এগুলো হলঃ অস্ট্রালোপিথেকাস, হোমো ইরেকটাস হোমোএভিলাস এবং হোমোসেপিয়েনস। বিবর্তনবাদের সাথে এই স্তরগুলোর কোন মিল নেই যা এর অগ্রহণযোগ্যতার একটি কারণ।

যুক্তি নং ৭: সম্প্রতি নাসা থেকে দুটি মহাকাশ যান পাঠানো হয় মঙ্গল গ্রহে। সেখানে পানির উপস্থিতি দেখা যায়। কিন্তু সেখানে কোন জীবনের উৎপত্তি হয় নি। বিবর্তনবাদ অনুযায়ী, যেহেতু সেখানে জীবনের উৎপত্তি হওয়ার পরিবেশ ছিল সেখানে প্রাকৃতিক নিয়মে জীবনের বিকাশ ঘটার কথা। এর কারণ হল, বিবর্তনবাদ বলতে আসলে কিছু নেই। প্রত্যেকটি জিনিসই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়।

যুক্তি নং ৮:  বিবর্তনবাদকে যারা সমর্থন করেন তারা ফসিল ( Fossil)  গুলো থেকে যুক্তি দেখান। মানুষ ও Primate  গোত্রের প্রাণীদের Skull গুলো নিয়ে সাদৃশ্য খুঁজে বের করে তারা মানুষের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। তাই আজ তারা সবচেয়ে বড় প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন কেননা জিরাফ এবং জেব্রার মত প্রাণীদের ক্ষেত্রে এ ফসিলগুলো উপর্যুক্ত সত্যতা প্রমাণ করে না। অন্য কোন প্রাণীদের ক্ষেত্রে সাদৃশ্য পাওয়া যায় নি।

যুক্তি নং ৯:  বিবর্তবাদ অনুযায়ী প্রতিকূল পরিবেশে টিকে যাকার জন্য প্রাণীদের দৈহিক কাঠামোর পরিবর্তন ঘটে এবং জীবটি তার নিজস্বতা হারিয়ে অন্য একটি প্রজাতিতে পরিণত হয়। আজকের বিজ্ঞান বলে পরিবেশের সাথে সাথে জীবরে কিছু জীনগত পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে জীবটির কিছু বৈশিষ্ট্যর পরিবর্তন ঘটে কিন্তু কখনোই জীবটি অন্য প্রজাতির আরেকটি জীবে পরিণত হয় না। এটি ‘Genetics’ এর একটি শক্তিশালী বৈজ্ঞানিক সত্য। তাই বিবর্তনবাদ আজ তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন। নোবেল বিজয়ী কয়েকশ বিজ্ঞানী আছেন যারা বিবর্তনবাদকে সমর্থন করেন নি। স্যার ওয়াটসন ও ক্রীক তাঁদের মধ্যে অন্যতম।

যুক্তি নং ১০: বিবর্তনবাদ যদি সত্যই হবে তবে বর্তমান একজন মানব শিশুকে মানব পরিবেশ হতে সম্পূর্ন পৃথক করে বনজ পরিবেশে আর একটি বানরকে মানব পরিবেশে আনলেতো অভিযোজন প্রক্রিয়ার ফলে মানব শিশু বানরে আর বানর মানবে পরিনত হবার কথা । কিন্তু তা চিরকাল অসম্ভব যা বুঝিয়ে দেয় যে ডারউইনের বিবর্তনবাদ একটি মিথ্যা যুক্তি ।

 যুক্তি নং ১১: যারা বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করেন তাদের জন্য আর একটি প্রশ্ন যে একটি মাত্র কোষ থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্ট আজকের এই জটিল মহাবিশ্বের সকল । ঠিক সেই কোষটির সৃষ্টিকর্তা কে ? কোথা থেকে পেল তার বিভাজন ক্ষমতা ? সেটার কি জীবন আর বিবেক ছিল ? সেটা কোন পরিবেশে ছিল ? কে প্রথম ঐ কোষটি প্রকৃতিক ভাবে নির্বাচন করেছিলেন ?
যুক্তি নং ১২: আমরা যে কাগজে লিখি তার উৎস কি? এর উৎস গাছ। যদি কেউ বলে, অনেক বছর পূর্বে প্রাকৃতিক পরিবর্তনের কারণে গাছ থেকে কাগজের উৎপত্তি হয় এবং সেই কাগজে তৈরী হয় খাতা তা কি আপনি বিশ্বাস করবেন? কখনোই না, কারণ একটি ছোট শিশু ও বুঝতে পারে কাগজ কারখানাতে কারিগরের পরিশ্রমে তৈরী হয়। তাই আজকের এ জীবজগৎ হঠ্যাৎ করে সৃষ্টি তা মানা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক ও অযৌক্তিক।

মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। তার উৎপত্তি বানর থেকে হতে পারে না। যদি তাই হয় তবে মানুষের আধ্যাতিক ও পারলৌকিক জীবন, তার আবেগ, অনুভূতি, সমাজ রাষ্ট্র সব কিছুই অর্থহীন। বিবর্তনবাদ কোনো বৈজ্ঞানিক সত্য নয়। এটি এখনোও একটি তত্ত্ব। এর সাহায্যে প্রজনন তত্ত্বকে ব্যাখ্যা করা সহজ তাই এখনো ও অনেকে এটিকে ব্যবহার করে থাকেন। বিজ্ঞান যতই অগ্রসর হচ্ছে বিবর্তনবাদ ততই অকেজো হয়ে পড়ছে। একদিন বিজ্ঞান মানুষের উৎপত্তি সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিবে। মানুষ জানতে পারবে তার অস্বিত্ব কিভাবে এল।

http://anukgc.blogspot.com/?m=1






সখিনা সুলতানা ঝর্ণার "পিঙ্গল জীবন" নিয়ে আমার কিছু কথা

"পিঙ্গল জীবন" উপন্যাসের প্রচ্ছদ


শুরুতে এমন চমৎকার একটা বই উপহার দেওয়াতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করত শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি, "পিঙ্গল জীবন" উপন্যাসের শ্রদ্ধেয় ঔপন্যাসিক সখিনা সুলতানা ঝর্ণাকে।
.


সার-সংক্ষেপ ও সার্থকতাঃ


"পিঙ্গল জীবন" উপন্যাসের কেন্দ্রিয় চরিত্র- কুসুম। অত্যন্ত নম্র-ভদ্র এবং রুপ-লাবণ্যে সে যেন একটি সদ্যফোঁটা গোলাপ। বাবা-মা এবং ছোট দুই ভাইসহ বস্তির একটি জীর্ণ ভাড়াটে বাড়িতে তাদের বাস। দুঃখের সংসার বলে ম্যাট্রিক পাশের পর লেখাপড়া বিসর্জন দিয়ে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ নিতে হয় তাকে। কিন্তু, তার রুপ-লাবণ্য এবং সুন্দর্য তারই শত্রু হয়ে দাঁড়ায়। দুধে আলতা রুপ দেখে দুলাল দালালসহ ফ্যাক্টরির আর কিছু মানুষরুপি নরপশু তার শরীর উপভোগ করতে নির্লজ্জ বেপরোয়া হয়ে উঠে। তাই কুসুমকে চরম দুঃসময়েও ইজ্জত রক্ষার্থে ফ্যাক্টরির কাজ ছেড়ে দিতে হয়। তরাঙ্গায়িত জীবন বসে থাকবার নয়। তাই সে বাসাবাড়িতে রান্নার কাজ নেয়। আফজাল আহমেদের পল্টনের বাসায় সকাল ছ'টায় যায়, রান্না শেষে ঠিক সন্ধ্যায় নিজ কুঠিরে ক্লান্ত-শ্রান্ত শরীর নিয়ে ফিরে আসে কুসুম। এভাবে একটানা খাটুনি চলতে থাকে কুসুমের। কিন্তু, ভাগ্যের নির্মমতায় কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার নরপশুদের কালো থাবায় পড়তে হয় তাকে। এই নরপশুগুলো হলো, আবরার(আফজাল সাহেবের ছেলে) ও তার পাঁচ বন্ধু। ভাগ্যিস তার হাতে ফলকাঁটা ছুরি ছিল, আর তা এলোপাতারি চালিয়ে অনেক আঘাত এবং ধস্তাধস্তির পর নিজেকে মুক্ত করে কুসুম। একের পর এক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে জর্জরিত জীবন নিয়ে অবর্ণনীয় দুঃখের মধ্য দিয়ে কাঁটতে থাকে তার সময়গুলো। অপার দুঃস্বপ্ন ঘিরে বসে তাকে। যেন নিজের জীবন নিজের কাছে অসহ্য হয়ে ওঠে তার।
লেখক একথা বলতে গিয়ে বলেছেন-

"গরিবের ঘরে সুন্দরী যুবতী মেয়ে থাকা মানে সাক্ষাৎ যমদূত থাকা।"


.
অনেক টানাপোড়ানের জীবন কুসুমের। তবু মনস্থির করলো নিজের পায়ে নিজেকে দাঁড় করাবেই, অর্থা আত্ম-প্রতিষ্ঠিত হবে। তাই, নিজ বাসায় গড়ে তুললো ব্লক এবং নার্সারি। তার পাশাপাশি গ্রাম-গঞ্জে বিক্রি করে শাড়ি-কাপড়। রাত-দিত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করতে হয় তাকে। এভাবে সমাজের অনেক লাঞ্চনা-বঞ্চনা এবং কটাক্ষকে অতিক্রম করে কুসুম হয়ে ওঠে নারী সমাজে এক আত্মবিশ্বাস এবং মানদন্ডের নাম। লেখকের ভাষায় বলতে গেলে যেন অবলা কুসুম হয়ে ওঠে-


"অলরাউন্ডার কুসুমে।"
.
লেখক তার কলমের যাদুকরী শক্তিতে বস্তির সেই নম্র-ভদ্র এবং ভীত মেয়েটিকে যেভাবে রুপায়িত করে আমাদের সম্মুখে ফুঁটে তুলেছেন তাতে পরিষ্কার যে, লেখকের মানষপটে নারী মুক্তির এক অনির্বাণ শিখা সদা প্রোজ্জ্বলিত। মূলত সেই শক্তির বলে লেখক সমাজের উপেক্ষিত, অবহেলিত ও নির্যাতিত নারী সমাজের প্রতি জোড়ালো আহ্বান করে বলেছেন, আমাদের মুক্তির জন্য সবার আগে আমাদেরই(নারীদেরই) জাগতে হবে। অপরদিকে আফজাল আহমেদ আপরাধের দায়ে নিজ পুত্রকে আইনের সপর্থ করে যে বিরল দৃষ্টান্তের জন্ম দিয়েছেন তা মূলত- আজকের এই বিবেক বিবর্জিত সমাজে বিবেকেরই শুভোদয়।
অনিশ্চিত মুক্তির বেদনা নিয়ে যখন অবহেলিত, উৎপীড়িত, নির্যাতিত এবং অবলা নারী সমাজ একবুক হুতাশায় বলে- গরিবের আবার ইজ্জত কী?
ঠিক তখনি ভীত-সন্ত্রস্ত নারী সমাজের মুক্তির দূত হয়ে লেখক ঘোষণা করলেন জাগরণী মুক্তির বার্তা-
আলরাউন্ডার শব্দটা কী শুধুই পুরুষের জন্য?
এর মধ্য দিয়ে পুরিষ্ফূটিত হয় লেখকের হৃদয়ে জমানো নারী সমাজের মুক্তির প্রবল বাসনা। লেখক সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই লেখালেখি করেন এ কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁর লেখনি যেমন ধারালো তেমনি মাধুর্যপূর্ণ। প্রেম, দ্রোহ আর মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধ তাঁর সাহিত্যের বড় গুণ। পরিশেষে বলা যায়, "পিঙ্গল জীবন" লেখকের একটি অনবদ্য সৃষ্টিকর্ম ও সার্থক উপন্যাস।


বইয়ের নাম ও ধরণঃ
"পিঙ্গল জীবন", উপন্যাস


ঔপন্যাসিকঃ
সখিনা সুলতানা ঝর্ণা


Fb Link:
Sakhina Sultana Jharna


লেখক পরিচিতিঃ
জন্ম স্থান রাজশাহী জেলা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায় থেকে লোকপ্রশাসনে কৃতিত্বের সাথে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। বিসিকে কর্মজীবনের শুরু হলেও মাঝে কুষ্টিয়া মহিলা কলেজে শিক্ষকতা এবং বর্তমান টিএমএসএসে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করছেন। তিনি একাধারে কবি, লেখক, প্রাবন্ধিক, সমাজকর্মী এবং গার্লস গাইড। কবির প্রকাশিত অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ "নিপুন শব্দস্রোত" (যৌথ), "ছোঁয়ালে তোমার হাতখানি", "ধোঁয়াচ্ছন্ন কুয়াশা" (যৌথ), পিঙ্গল জীবন ইত্যাদি।


প্রকাশনীঃ
বলাকা


প্রকাশকঃ
শরীফা বুলবুল


প্রচ্ছদঃ
মোস্তাফিজ কারিগর


ISBN:
978-984-93137-9-3


ওয়েব সাইটঃ
www.balakaprokashon.com


পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ
৯৪


মূল্যঃ
২০০/-


প্রাপ্তিস্থানঃ
বলাকা প্রকাশনী


ব্যক্তিগত মতামতঃ
"যখন কবি আর কবিতা নিয়ে যুদ্ধ তখন পিঁছিয়ে পড়া নারীর কবিতার ময়দানে এক পাহাড় প্রত্যয় ও দৃঢ় বিশ্বাসের নাম- 'সখিনা সুলতানা ঝর্ণা'।"

ফ্রি ডাউনলোড করুন

A BROKEN DREAM: Rule of Law, Human Right, & Democracy by JUSTICE SURENDRA KUMAR SINHA