This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Showing posts with label কবিতা. Show all posts
Showing posts with label কবিতা. Show all posts

আমার কোন দুঃখ নাই | আনু ইসলাম

আমার কোন দুঃখ নাই
আনু ইসলাম






কালে-অকালে চলার পথে
কোন রমনীর রঙিন হাত থেকে
একটিও গোলাপ পেলাম না বলে
আমার কোন দুঃখ নাই,
কেননা, ঐ একটি গোলাপের বিপরীতে
হৃদয়ের জমিনে আমি-
হাজারো গোলাপ ফুঁটায় দিয়েছি তাই।
.
হাতের'পর হাত রেখে
ফুঁটন্ত সকালে অথবা গোধূলি সন্ধ্যে
কেউ এক-সাথে চললো না বলে
আমার কোন দুঃখ নাই,
কেননা, ঐ একটি হাতের বিপরীতে
পথে-পথে, রাজপথে-
লক্ষ-কোটি বিপ্লবী বাহুর ঝংকার শুনতে পাই।
.
শুধু দারিদ্র্যের দায়ে
মাঠে-ঘাঠে, পৃথিবীর প্রান্তে-প্রান্তে
উপেক্ষা, অবহেলার শেষ নাই বলে
আমার কোন দুঃখ নাই,
কেননা, ঐ উপেক্ষা, অবহেলার বিপরীতে
তোমাদের ভব-দরিয়ায় আমি-
নিযুত-নিযুত প্রেমের সাম্পান বাইয়া যাই।

বিজয় আসলে | ক্লান্ত মুসাফির



বিজয় যে দিন আসবে বন্ধু
সবাই দেখবে চেয়ে।
বুকে জড়িয়ে নিবে তোমায়
অনেক ভালপেয়ে।
বলবে সবাই তোমায় এসে
তোমার সাথে ছিলাম।
তোমার জন্য তুলসি তলায়
জল দিয়েছিলাম।
ফুলের মালা,গিফট উপহার
আরও কত কিছু।
সবায় তখন সালাম দিয়ে
ঘুরবে পিছু পিছু।
খাতির যত্ন করবে তোমার
ধরবে তোমার পা।
স্বার্থ খানি শেষ হলেই
খুজে পাবে না....

কবিতাঃ মন চুন্নি

মন চুন্নি -এ বি সিদ্দিক 


আমার সুখের ঘরে দিয়ে তালা
হারিয়ে ফেলেছি চাবি,
সেই চাবি নাকি তুই পেয়েছিস
বল কবে ফেরৎ দিবি?

আমার ভালোবাসার ব্যাংকে রে তুই বারবার চালাস হামলা,
হাতেনাতে এবার পরেছিস ধরা
এবার ঠেলা সামলা!

চুরি বিদ্যা মহা বিদ্যা
যদি না পরতিস ধরা,
ধরা যখন পরেছিস এবার
তখন বুঝবি এতে কত প্যাড়া।


কবিতা: দেখা | নাজমীন মর্তুজা

নাজমীন মর্তুজা


কবিতা: দেখা | নাজমীন মর্তুজা

জানালায় থুতনি ঠেকিয়ে চাঁদ দেখছি
নীল কিরণ কার কথা বলে ...
যামিনীর শেষ  যামে চলো চুমুক দেই
চাঁদের কিরণে ডানার পালক ভারী হয়ে যাচ্ছে ,
দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে হুঁশ ...
যামের পর যাম ....
এই বারে হুঁশ বেহুঁশ !
ঠোঁটের ভেতরে ঠোঁট
কথার ভেতরে কথা
    শুধু
চোখের ভেতরে চোখ
দেখার ভেতরে দেখা
    আর
আমাকে চাঁদের কিরণ বানালে
হই আলোর ভারে একা !

অঙ্গিকারনামা | আনজানা ডালিয়া

আনজানা ডালিয়া

অঙ্গিকারনামা | আনজানা ডালিয়া

আমি নিন্ম স্বাক্ষরকারী অঙ্গিকার করছি,
আমি আর কোনদিন-
চাঁদনীরাতে লেকের স্বচ্ছ জলে দুজনের মুখচ্ছবি দেখতে চাইবনা।
সাগরের বালুকায় তোমার নাম লিখবোনা লাভবৃত্তে।
পাহাড়চূড়ায় তোমায় নিয়ে মেঘের সাথে লুকোচুরি করবোনা।
চাইবোনা শীতের সকালে বকুল এনে মালা গেঁথে দাও।
বলবোনা সাঁঝবেলায় আমার জানালায় একটিবার উঁকি দিয়ে চোখাচোখি হতে।
কারন আমি প্রতিদিন,
তারা গুনতে গিয়ে শুকতারাটির পাশে তোমাকেও গুনি।
তারার দেশে দারুন ভাব নিয়ে আছো তুমি।


কবিতা: 'পার্ট টাইম প্রেমিক' | দেবযানী কথাসব



ঘুম ভেঙে একটা আদর্শ স্বপ্ন
সিনেমার মতো সকাল বা
বান্ধবীর চুলে মেঘ ভাঙা সূর্যের আলোর
খেলার সাথে

কু ঝিক ঝিক পাখির হঠাৎ উড়ে যাওয়ার
একান্ত কাব্যিক সুখের খোঁজে
তুমি পাহাড়ে।

প্রতিদিনের গদগদে থলথলে মগজ-
প্রশ্ন হীন নিরর্থক মানুষের বাঁচা
তোমাকে অবশ করেছিল

তাই ওয়েসিসের প্রেমের খোঁজে
একটা গোলাপি সন্ধে দেখতে
তুমি মরুভূমি

জিপসি রমণীর কড়া চুড়ি হাত
নাকের নোলক রোদে চমকালেও পায়ের
লোহার বেড়ি দাসত্বের
ক্ষয়িষ্ণু প্রমাণ

মগজের রাসায়নিক বিক্রিয়া কতটা
ম্যানিপুলেট করে
এ বিষয়ে একটা পোস্টমডার্ন আর্টিকেল
লেখার বোধ করো, তুমি

মুখ তুলে দেখ ক্যামেলের সারি মিশে যায়
হরাইজনে, আর সেই নারী
তোমার পাশে
গল্পের তরে।

সমুদ্রের ঢেউয়ের ফেনার সাথে
আকাশের যুগ যুগান্তের পরকীয়া প্রেমের
লুকোচুরি
তোমাকে অতিপূর্ব আনন্দ বা দুঃখ কিছুই
দিতে না পারায়,‌ পড়ে থাকা
ভাঙা নৌকায় বসে
বিকিনির তেষ্টায় কাতর হও।

কখনও বা গভীর জঙ্গলে বুনো শুয়োরের
চিৎকারে সচকিত হতে হতে
দূরবিণে হায়নার সঙ্গম দৃশ্যের সাক্ষী
হওয়ার বাসনায়

গাছের মাচায় বা অনিবার্য ভয়ে
রাত-ঘুম ভেঙে খোঁজ প্রাগৈতিহাসিক সেই
নারীর বুক
একান্ত সমর্পনে ।

বছরে কয়েক বার এমন অ্যাটাক হয়
জীবন মধ্যবিত্ত হয়ে গেলে বেশি
বাকি সব ঠিক ঠাক চলে

ম্যানেজ করাটায় জীবনের আর্ট
তাই খেলে যেতে হয় ফুটবল
কখনো সখনো
হাতে বল এলে।

ইচ্ছাঘোড়া | শাহাজাদা বসুনিয়া

শাহাজাদা বসুনিয়া


তুমি ছাড়া কোন নারীকে স্পর্শ করেনি আমার মন
বৈষ্ণব পদাবলীর মতোই স্বভাব তোমার
এখানে-সেখানে মনটা লাফিয়ে উঠে,
মধ্যরাতেও নিজের প্রেমকে চিনি
নিজেকে সামলিয়ে রাখি, আর কত কাল ?
সেই থেকে তোমাকে চিনি-যখন প্রকাশের
বয়স হয়নি আমার অথচ উস্কানি দিয়েছো তুমি।
হাঁটতে হাঁটতে এই কথা-সেই কথা তোমার সাথে
ইচ্ছে-অনিচ্ছের প্রতি কোন জোর ছিল না
হাতটাও ধরেনি আগা-গোড়া থেকে
ভাবনা থেকে বিচ্যুত নই, নারীকে স্পর্শ
করা নাকি পাপ-তাই তোমাকে ছুঁইনি অনন্তকাল।
আমাদের শুরু-শেষটা কেবলই স্বপ্নমাত্র
বাস্তব ও স্বপ্নে এখনও শরীর কেঁপে ওঠে
বাস্তবটা সব নয়-এখানেও একটি সত্য আছে
এখনও মনে হয় দেখে আসি তোমাকে নিঝুমরাতে
আমি তো যেতেই চাই, ছুঁইতেই চাই তোমাকে,
তুমি ছাড়া আর কোন নারীকে ছুঁতে পারেনি আমার মন।

একুশ দুর্বার প্রলয় | আনু ইসলাম



একুশ,
তুমি দীপ্ত- দুর্বার প্রলয়
তুমি করেছ বাংলা ভাষা জয়,
তুমি চির অমর ফুলের ভ্রোমর
তোমার নেই, নেই কোন ক্ষয়-
তুমিই দ্বীপী প্রলয়।
একুশ,
তুমি ফিনকে পরা রক্তের দান
রেখেছ তুমি লাখ শহীদের মান,
মা বঙ্গের তুমিই প্রাণ
বাহবা তোমার তরে-
একুশ নামের বীর জোয়ান।
একুশ,
তোমাতে কেন গোলা বারুদের গন্ধ ?
তুমি লাশের পিঠে লাশে গড়া স্তম্ভ !
তুমি স্বাধীন বনের পাখি
তোমার জয়ের নেশায়-
বাংলার সর্বস্বই ভাসায়েছে আঁখি।
একুশ,
তুমি পথিকের পিপাসার জল
তুমি লাল সবুজের মাঝে টলমল,
তোমার কপালের লাল টিপ
রফিক, শফিক, জব্বারের-
রক্তে গড়া ভাষার প্রদীপ।
একুশ,
তুমি বাংলা বর্ণমালার অ, আ প্রতীক।

স্বপ্ন | বিপ্লবী সাজু

                      বিপ্লবী সাজু


তুই আর কত স্বপ্ন দেখাবি...অভি
সিড়ি বেয়ে চাদের দেশে 
নিবি।
কাগজের নৌকা করে
মহাসাগর পাড়ি দিবি।

মহাকাশে স্যাটেলাইট হয়ে নয়
নক্ষত্র হয়ে জ্বলবি নিশিত রাতে।
সারা গায়ে চাদের আলো মেখে
চিনতে যেন পারেনা কেউ প্রাতে।।

মেঘলা আকাশে একটু লূকোচূরি

হালকা খুনটুসি।

চঞ্চলা বালিকার বাম পাজরে
হালকা দেওয়া ঘুসি।

বৃষ্টি হয়ে ভিজিয়ে দিতে..
কিশোরীর নরম গা।
সাবধানে চলতে গিয়েও
পিছলে পরবে পা ।।

অট্টহেসে  তাকিয়ে কিশোর 
কিশোরীর পানে চেয়ে।
ঝরের তালে উম্মাদ বালক
আপন মনে গেয়ে।

কবিতাঃ মুক্ত পাখি | শামীমা আক্তার

শামীমা আক্তার

অসংখ্যবার  একটা পাখিকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে,
প্রতিবারই মুক্ত করা হয়েছে, নীলাকাশে যেন স্বাধীনভাবে উড়তে পারে,
এবার খুব ভেবে চিন্তে পাখিটাকে এমনিভাবে মুক্ত করে দেয়া হবে,
সে খুজে পাবে না তার নীলাকাশটা, 
যেথায় সে বিশুদ্ধ নি:শ্বাস নিতো প্রাণভরে, 
পাখি চায়, নীলাকাশ সর্বক্ষেত্রে রাজত্ব,
নীলাকাশ চায়, স্বাধীন আকাশে কারোও হস্তক্ষেপ থাকবে না,
তবে পাখি কি পারে নীলাকাশের সাথে?
পারতো, যদি পাখিটা নি:স্বার্থ হতো,
পাখিটা এখন নীলাকাশ ছেড়ে পালাতে পাড়লে বাঁচে,
এমনি পাখি আর নীল আকাশের সংঘাত ক্রমশই জটিল,
এ জটিলতা অবসান হবার নয়।

আমি-ই তুমি | নাহার কৃপা

নাহার কৃপা

কল্পনার এক তোমার সাথে কত যে ব্যালে নাচ নেচেআমি-ই তুমি

কল্পনার এক তোমার সাথে কত যে ব্যালে নাচ নেচে যাই আমি !
আঙ্গুলে আঙ্গুলে ছোঁয়া লাগা মুদ্রা আমায় মাতাল করে দেয়।
আমার এক হাত হয়ে যাই আমি, অপর হাত তুমি।
আমি অনামিকা যেন কথা কই তুমি তর্জনীর সঙ্গে।
তোমার বৃদ্ধাঙ্গুলে রাজটিকা পড়ি আমি আমার করতলের চন্দনে।
মাঝে মাঝে বিদেশী ব্যালের সাথে প্রতিবেশী ভরত মিশিয়ে দেই অজান্তে।
নিজেই মাথার দুপাশে তুমি সূর্য আমি চন্দ্র হয়ে যাই।
পরক্ষনেই আবার পিরিতি বেড়ে গেলে তুমি এলিয়েন হয়ে যাও।
এসব কলার একপর্যায়ে আমার দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে।
তোমাকে স্বামী হিসেবে পাওয়ার ভিনগ্রহী এক স্বপ্ন নিয়ে
আমি পৃথিবীর বুকে নেমে আসি।
বধির আমি পৃথিবীর কিছুই শুনতে পাইনা কিছুটা সময়।
নিশ্চুপ নিরিবিলি তোমার আমার মাতাল করা তালের কাছে
তখন সবকিছু বেতাল মনে হয়।
দ্বিতীয় দীর্ঘশ্বাসে শ্রবন সচল হলে,
কল্পনার ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ি আমি-ই তুমি।

বিঃদ্রঃ- আগের লেখা যাই আমি !
আঙ্গুলে আঙ্গুলে ছোঁয়া লাগা মুদ্রা আমায় মাতাল করে দেয়।
আমার এক হাত হয়ে যাই আমি, অপর হাত তুমি।
আমি অনামিকা যেন কথা কই তুমি তর্জনীর সঙ্গে।
তোমার বৃদ্ধাঙ্গুলে রাজটিকা পড়ি আমি আমার করতলের চন্দনে।
মাঝে মাঝে বিদেশী ব্যালের সাথে প্রতিবেশী ভরত মিশিয়ে দেই অজান্তে।
নিজেই মাথার দুপাশে তুমি সূর্য আমি চন্দ্র হয়ে যাই।
পরক্ষনেই আবার পিরিতি বেড়ে গেলে তুমি এলিয়েন হয়ে যাও।
এসব কলার একপর্যায়ে আমার দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে।
তোমাকে স্বামী হিসেবে পাওয়ার ভিনগ্রহী এক স্বপ্ন নিয়ে
আমি পৃথিবীর বুকে নেমে আসি।
বধির আমি পৃথিবীর কিছুই শুনতে পাইনা কিছুটা সময়।
নিশ্চুপ নিরিবিলি তোমার আমার মাতাল করা তালের কাছে
তখন সবকিছু বেতাল মনে হয়।
দ্বিতীয় দীর্ঘশ্বাসে শ্রবন সচল হলে,
কল্পনার ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ি আমি-ই তুমি।

-----
পুনশ্চঃ ছবি এবং লেখা লেখকের fb ID থেকে সংগৃহীত।


কবিতা : তোকে নিয়ে প্রেম | দেবযানী কথাসব

দেবযানী কথাসব


চল প্রেম ,তোকে নিয়ে পাতুরি 
বানাই, ধিমে আঁচে 
তপ্ত তাওয়াই সেঁকে, 
কিছুটা পুড়িয়ে ।

চল যমুনার জলে করি উদ্দাম-
ঢেউ সাগর জল কেলি 
যত রাখালের সাথে

গোকুলের অলিতে গলিতে নষ্টামি 
ধর্ম সমাজ ট্যাবুজ  শিকল  ধাস্টামি
ঘুঙুরে উড়িয়ে 

চল যাই কানহাইয়ার বাড়ি 
রুক্মিণী বৌ তার, বেগুন ভর্তায় 
লাল চুড়ি হাত
গরুরা জাবর কাটে
যদি ধর্মের চাকা আবারো 
ঘোরে।

তোকে নিয়ে হাডুডুডূ খেলি
রক্ত রাঙা শিশুর শরীর চোলি
থ্রিসাম ফোর্থসাম অ'সাম খেলা
ব্যাপক শুরু হবে

ঘামে ভেজা শরীর সিমেন চুমু
জাতীয় গান গাবে।

তোকে নিয়ে বিহারের হাটে
দেখি শেফালি কেমনে বিকোয় 
মাংসের কারবারি সব আসে পাশে 
ওৎ  পেতে রয় 

চল ঘুরে আসি শ্মশানের ঘাটে
কত শত লাল বেনারসি চোলি 
নববধূ মুখ 
অনাগত স্বপ্নের ছাই
পুড়ে যাওয়া সুখ
ডাঁই হতে থাকে ।

ইসকন টিসকন যাই 
মাথা চুল মুড়িয়ে  টুড়িয়ে ফেলি

কিংবা ধরমশালা গিয়ে 
দলাই লামার সাথে চলি।

তোকে নিয়ে আরো কয়েকটা 
রামায়ণ  মহাভারত বা ট্রয়ের যুদ্ধ 
হওয়া চায়
ক্লিওপেট্রার সম্মানে 

কামান বারুদে শুধু ফুল, রঙঝুরি 
আলো
এবার ভালবাসায় 

অনেক ঘৃণার লড়াইয়ে ক্লান্ত হয়ে
একটা ভালোবাসার যুদ্ধের 
অপেক্ষায়। আমি ।


-----

পুনশ্চঃ ছবি ও লেখা লেখকের fb ID থেকে সংগৃহীত।

কবিতা : প্রেম | দেবযানী কথাসব

দেবযানী কথাসব

কবি দেবযানী কথাসব
চলো, আর একবার আমার প্রেমিক 
হয়ে যাও 
আমিও  গাছ-কোমর ধনেখালি 
পাড় শাড়ি।

আরো একবার তোমার হাসিতে
ধুয়ে যেতে যেতে ঈশ্বরী
 হয়ে যাবো
কিম্বা ধানক্ষেত ফিঙে।

এলো মেলো হয়ে যাওয়া ক্ষণ
বদলে যাওয়া আঙুল ছোঁয়া 
স্তব্ধ সময় 

আবেগ বিবাগী মন 
কবিতা শব্দের মাঝে আড়াল
পিয়াসী হলে

কামরাঙা  সকালের আলো
মাধবীলতার হাসিতে বেফাঁস ।

আর একবার মাতাল হতে 
সাগর বালি আড়ি
খুচরো ঝিনুক কিম্বা আমাদের 
স্বপ্ন বালি বাড়ি 
ভেসে যাওয়া ঢেউয়ে ।

কত কত পাহাড়ের খাঁজে 
আমাদের হাসিগুলো যতো
এখনো ঘুরে ঘুরে যায় 

তারই সাথে মিশে যাওয়া 
দীর্ঘশ্বাসে উদাসী হাওয়া,
 হয়তো ।

চলো আর একবার প্রেমিক 
হয়ে যাও
স্বপ্নদের ছুঁয়ে নেওয়া আদর 
জল রঙ
ক্যানভাসে ইচ্ছে ঘোড়ারা ছোটে
আমার উপোসী ঠোঁটে ।

ছোট ছোট কষ্ট গুলোকে যদিনা 
কষ্ট মনে হয়
ক্ষয়ে যাওয়া বিশ্বাসেরা 
ততো বড়ো ক্ষয় যদিনা মনে হয়

এখনো ঠোঁটের হাসি কনা 
কিছুটা  দামি মনে হয়
চলো, 
প্রেমিক হয়ে যাই ।।

-----
পুনশ্চঃ ছবি এবং লেখা কবির fb ID থেকে সংগৃহীত।

নির্বাক কোকিল

কোকিল



সে বসন্তেই কোকিলের সুর থেমে গেল
চিরদিনের তরে যৌবনের অপমৃত্যু হল
তার সময় তার সংসার ধুলোয় লুটে গেল
দুঃখ শোকে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠলো।
সে ক্ষোভে অভিমানে-
আর কোনদিন গান করলো না
বহমান কালের খেয়ায়
আর কোনদিন আনন্দে মাতলো না।
এখন, 
আগের মত তার শক্তি নেই
দেহে তারুন্যের উদ্দম নেই
চোখের চাহনিতে প্রেম নেই
তার মুক্ত আকাশ নেই, সবুজ প্রকৃতি নেই।
দুরন্ত কোকিল,
এখন শূণ্য আকাশে উড়াল দিতে ভয় পায়
ধরিত্রীর নরম সবুজ ঘাঁষে পা ফেলে চলতে ভয় পায়।
তাই সে নির্জন নিঃসঙ্গতা ভালোবাসে
আলোকে অস্থির হয়ে অন্ধ্যকার ভালোবাসে।
তার ভেতরের জ্বালা
গ্রীষ্মের দাবদাহে খেলা করে
তার শীতল অশ্রু
বর্ষার অথৈজলে মিশে চলে
হাড় কাঁপানো প্রখর শীতেও
কোকিল স্বাক্ষি শিমুলের ডালে বসে থাকে।
অতঃপর,
প্রাকৃতিক নিয়মে বসন্ত নেমে আসে
নতুন করে পৃথিবী ও প্রকৃতি সাজে 
বৃক্ষ ও তরুলতায় ফুলের মুকুল আসে
শিমুলের রক্তরাঙা ফুল ফোঁটে
মাটির বুকে উল্লাসে মেতে ওঠে মানুষ নামের অমানুষগুলো
কোকিলের ক্ষত-বিক্ষত রক্তাক্ত হৃদয়ে-
ভেসে ওঠে প্রিয়সীর পবিত্র মুখ
ভেসে ওঠে বুলেটবিদ্ধ প্রিয়সীর নিথর রক্তমাখা শরীর
কানে ভেসে আসে প্রিয়সীর করুন চিৎকার...
নির্বাক কোকিলের অশ্রু গড়িয়ে চলে
সে সুখের এ অপবিত্র নগরীকে শত ধিক্কারে বিদায় জানায়
এ বসন্তেই উড়াল দেয় দুঃখের নগরীতে।
-----
কবিতাঃ নির্বাক কোকিল
কবিঃ আনু ইসলাম

হে সব্যসাচী

আনু ইসলাম


শতরুপা রুপে অপরুপা
হেথা প্রিয়তমা ধরলার বক্ষে পলির রঙ্গ,
ভরা যৌবনে প্রবাহমান
চির ক্ষরস্রোতা ব্রহ্মপুত্রের উত্তাল তরঙ্গ।
নিরুদ্দেশের উদ্দেশে ছুটে
নিয়ত আসতে স্মৃতি ঘেরা বাহের দেশে,
বজ্রকণ্ঠত জনসমুদ্রে
'মঙ্গা নয় চাঙ্গার দেশ' রটিলে স্ব-বেশে।
প্রত্যুষ রবি- রাতের চন্দ্র
নীলাম্বর-নীলাচল-মিষ্ট পবন সঙ্গ,
হে কবি- হে সব্যসাচী
সর্বকাল ধরে তোমাতে বিস্মিত বঙ্গ।
জন্ম ধন্য হে- গর্বিত মোরা
কুড়িগ্রামের মাটিতে প্রথম ডেকেছ মা,
কাঁদিয়ে বাংলা চলিলে তুমি
পিঞ্জর জুড়িলো জননী ফের ডাকিলে মা।
------
কবিতাঃ হে সব্যসাচী
কবিঃ আনু ইসলাম

কথা দিয়েছিলে | সখিনা সুলতানা ঝর্ণা

কবিঃ সখিনা সুলতানা ঝর্ণা


কথা দিয়েছিলে মাছরাঙ্গা গোধূলিতে
আমাদের হবে কথা।
তোমার কথার ঝংকারে ঝঙ্কৃত হবো।
হবো শিহরিত।
রক্ত কণিকায় জোয়ার বইবে
আছড়ে পড়বে বিশুষ্ক হৃদয়কূলে।
প্রেমের মঞ্জরি অশ্রুকণা হয়ে ঝরবে
আমার আঁখিপল্লবে
সিক্তপ্রায় তুমিও হবে শিহরিত।
তোমার রক্ত কণিকায় শিহরণ জাগবে
চাইবে আমাকে বুকের পিঞ্জরে দুহাতে
পিষ্ঠ করতে।
কিন্তু,
তুমিতো কথা রাখলে না!
আমি ইথারে কান পেতেছি ;
বাতাসে আঁচল মেলেছি;
নীলিমায় চোখ রেখেছি ;
তবুও তুমি কথা রাখলে
না।
কথা দিয়েছিলে মাছরাঙ্গা গোধুলিতে
আমাদের হবে কথা।
------
                    কবিতাঃ কথা দিয়েছিলে
                 কবিঃ সখিনা সুলতানা ঝর্ণা

যেনে নিয়ো তবে | কবিতা


ভালোবাসার প্রতীক

ফুটফুটে সকাল; ঘুম থেকে জেগে
যখন দর্পণ সম্মুখে তুমি দাঁড়াবে এলো কেশে
যদি আনমনা তোমার মাঝে খুঁজে পাও আমায়
যেনে নিয়ো তবে তুমি ভালোবাস আমায়।

প্রিয় কবিতায় বা প্রিয় কোন নোভেলে
যদি তোমায় বলা কথাগুলোর মিল খুঁজে পাও
অথবা খুঁজে পাও সেখানে তোমার আমায়
যেনে নিয়ো তবে তুমি ভালোবাস আমায়।

হঠাৎ গভীর রাতে ঘুম ভেঙে গেলে
যদি তোমার শান্ত চোখের ভাঁজে, বুকের ভিতরে
নিভৃতে লজ্জাহীনভাবে খুঁজে পাও আমায়
যেনে নিয়ো তবে তুমি ভালোবাস আমায়।

গাঢ় চাঁদনী রাতের অসীম আসমানে
যদি ঐ দূরের তারকার দেশে তুমি হারিয়ে যাও
আর তোমার অশান্ত মন খুঁজে ফেরে আমায়
যেনে নিয়ো তবে তুমি ভালোবাস আমায়।

পরে প্রতীক্ষার সকাল নামবে ধরায়
তোমার বাগানের সদ্য ফোঁটা গোলাপের পাঁপড়িতে
যদি মুচকি হাসো ক্ষণিক; গোলাপ দিবে আমায়
যেনে নিয়ো তবে তুমি ভালোবাস আমায়।
--------
কবিতাঃ যেনে নিয়ো তবে
 কবিঃ আনু ইসলাম

আমার কোন দুঃখ নাই | কবিতা

ভালোবাসার উপহার


fb তে পরতে ক্লিক করুনঃ শঙ্খচিল

কালে-অকালে চলার পথে
কোন রমনীর রঙিন হাত থেকে
একটিও গোলাপ পেলাম না বলে
আমার কোন দুঃখ নাই,
কেননা, ঐ একটি গোলাপের বিপরীতে
হৃদয়ের জমিনে আমি-
হাজারো গোলাপ ফুঁটায় দিয়েছি তাই।

হাতের'পর হাত রেখে
ফুঁটন্ত সকালে অথবা গোধূলি সন্ধ্যে
কেউ এক-সাথে চললো না বলে
আমার কোন দুঃখ নাই,
কেননা, ঐ একটি হাতের বিপরীতে
পথে-পথে, রাজপথে-
লক্ষ-কোটি বিপ্লবী বাহুর ঝংকার শুনতে পাই।

শুধু দারিদ্র্যের দায়ে
মাঠে-ঘাঠে, পৃথিবীর প্রান্তে-প্রান্তে
উপেক্ষা, অবহেলার শেষ নাই বলে
আমার কোন দুঃখ নাই,
কেননা, ঐ উপেক্ষা, অবহেলার বিপরীতে
তোমাদের ভব-দরিয়ায় আমি-
নিযুত-নিযুত প্রেমের সাম্পান বাইয়া যাই।
------
কবিতাঃ আমার কোন দুঃখ নাই
কবিঃ আনু ইসলাম