This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Showing posts with label জাতীয়. Show all posts
Showing posts with label জাতীয়. Show all posts

প্রিয় স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন



আপনার ক্ষুরধার মস্তিষ্ক আমাদের গর্ব করবার মত একটা স্মৃতিসৌধ উপহার দিয়েছিল। আমরা আপনাকে একটি যন্ত্রণাদায়ক জীবন ও মৃত্যু উপহার দিয়েছি। আপনার মৃত্যুদিন আমরা ভুলে গেছি। গুগল নিউজের গত কয়েক দিনের হিস্ট্রি ঘেঁটেও বাঙলায় আপনার মৃত্যুদিন পালন করার কোন খবর দেখলাম না।
আমাদের ক্ষমা করে দিবেন। 

"স্মৃতিসৌধ বানাবার পর খুনের হুমকি দিয়ে বেনামি চিঠি পাঠানো হত তাঁকে প্রতিনিয়ত। একটা সময় হুমকি পেতে পেতে প্রবলভাবে মানসিক বিপর্যয় ঘটে তাঁর। অ্যা বিউটিফুল মাইন্ড মুভিটা যারা দেখেছেন, তারা বুঝতে পারবেন আরও ভালোভাবে। সর্বক্ষণ ভয়ে থাকতেন মানুষটা,নিষেধাজ্ঞা আর হুমকির বাস্তব এবং অলীক ভয় ঘিরে থাকতো তাকে,অসম্ভব প্রতিভাবান এই মানুষটার চিন্তা-চেতনাই এলোমেলো করে দিয়েছিল।এমনভাবেই যে জীবদ্দশায় দুই-তিন বারের বেশী স্মৃতিসৌধে যাওয়া হয়নি তাঁর।
অথচ এতো বড় একজন রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব হওয়া সত্ত্বেও তাঁর চিকিৎসা তো দূরে থাক,সামান্য খোঁজটাও কেউ নেয়নি।

যেন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় অপরাধ ছিল ৭টা স্তম্ভে একটা জাতির সবচেয়ে গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরা!

স্মৃতিসৌধের ডিজাইন করার সম্মানী পাবার কথা ছিল ২ লাখ টাকা, আয়কর চাওয়া হয়েছিল এর ৫০%, অর্থাৎ এক লাখ টাকা। ১৯৮২ সালের ১৬ ডিসেম্বর যখন জাতীয় স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করেন সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মানুষটাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। রাষ্ট্রীয় ভিভিআইপিরা চলে যাওয়ার পর তিনি সেখানে গিয়ে জনতার কাতারে দাঁড়িয়ে দেখেছিলেন তাঁর অমর সৃষ্টি!
একজন সৈয়দ মাইনুল হোসেন এবং তাঁর প্রতি রাষ্ট্রের এবং জনগণের সম্মাননা!" আমাদের সর্বান্তকরণে ক্ষমা করবেন স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন।

*সংগৃহীত 

ঠিকানা পেল 'স্বাধীন'



অবশেষে পাগলি নাসিমার সন্তানের মা হলেন জোবেদ আলীর কন্যা মৌসুমী। মৌসুমী- মমিনুল দম্পত্তির ১০ বছরের বিবাহিত জীবনে কোন সন্তান নেই। তারা শিশুটিকে দত্তক নিতে চেয়েছিলেন। তাই আজ বিকেল ৪ টায় জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন নিজ হাতে এই শিশু স্বাধীনকে মৌসুমীর কোলে তুলে দেন। এসময় তিনি ফুলবাড়ীর সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার  দেবেন্দ্র নাথ ওঁরাও এর পক্ষ থেকে শিশুটির জন্য ১০০ ডলার মৌসুমীর হাতে তুলে দেন। জেলা প্রশাসক পাগলি নাসিমার সন্তান জন্মের পরে পরেই হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তিনি শিশুটির নামও রেখেছিলেন 'স্বাধীন'!  শিশু ও মা পাগলির চিকিৎসার তদারকি করেছেন।

মৌসুমী- মমিনুল শিশুটির সাথে তার জন্মদাত্রী পাগলি নাসিমারও দায়িত্ব নেন।

পাগলীর সন্তান ও আমাদের অবস্থান | বাদশাহ্ সৈকত

বাদশাহ্ সৈকত
লেখকঃ বাদশাহ্ সৈকত

আবারো পাগলীকে নিয়ে লিখতে বাধ্য হলাম। কেন না বার বার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি সত্যিই আমাকে কিছুটা হলেও মর্মাহত করে তুলেছে। এর আগেও "পাগলীর সন্তান প্রসব" শিরোনামে একটি লেখা লিখেছিলাম। আবারো একই ঘটনা। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে এক পাগলীর ছেলে সন্তান প্রসব। কিন্তু সেই সন্তানের জনকদের আমরা খুঁজে বের করতে পারি না।

আমাদের এতো পুলিশ, গোয়েন্দা, ডিবি, এসবি থাকতে পাগলীদের সাথে যৌন সঙ্গমকারীদের খুঁজে পাই না। নাকি অভিযোগ কারী না থাকলে এই জেনাকারী পুরুষদের খোঁজার কোন নিয়ম নাই। নাকি পাগলীদের ধর্ষনের বিষয়ে এদেশের সংবিধানে কোন আইন নাই এজন্যই তাদের খোঁজা হয় না। নাকি সেখানে কোন লাভ-লসের হিসাব নাই এজন্য সে বিষয়ে প্রশাসনের কোন মাথা ব্যাথা নাই।

ঘটনার বিবরন দেয়ার আগে পাগল বা পাগলী বিষয়ে আমার উপলদ্ধির কথা বলতে চাই। সেটা এরকম যে সৃষ্টি কর্তা এই মানব জাতির মধ্যে কিছু মানুষকে পাগল বানিয়েছেন। যাতে করে যারা পাগল হননি তারা এই পাগলদের দেখে ভাবতে পারেন যে সৃষ্টি কর্তা যে কোন মুহুর্তে তাদেরকেও পাগল বা পাগলী বানাতে পারেন। এই উপলদ্ধি থেকেই তারা যেন সৃষ্টি কর্তাকে ভয় করেন।

আর একটা উপলদ্ধি কথা না বললে নয়। আমার উপলদ্ধিতে পাগল হলো একটা সম্পুর্ণ স্বাধীন চেতনার নাম। পাগলদের কোন ঘর-বাড়ি থাকে না। তাদেরকে কোন ঘর-বাড়িতে আপনজনেরাও আটকিয়ে রাখতে পারে না। তারা দেশের আইন মানে না, রাজনীতি করে না। কাজ করে না, ব্যবসা-বানিজ্যও করে না। ভালো পোশাক পড়ে না, ভালো খাবারও খায় না। এক কথায় পৃথিবীতে তাদের কোন দায় বদ্ধতা নেই।

কিন্তু হাসপাতালে সন্তান জন্ম দেয়া এই পাগলী কোন দায় বদ্ধতা থেকে সন্তান জন্ম দিলো। নাকি আমাদের মতোই সুস্থ দিনের বেলায় ভদ্র কোন পুরুষ তাকে দায় বদ্ধতায় ফেলে দিয়েছে।
পাগলীর সন্তান জন্ম দেয়ার এ ঘটনায় প্রাগৈতিহাসিক গল্পটার কথা মনে পড়ে গেল। এক সময়ের ডাকাত শেষ বয়সে এসে ভিক্ষা বৃত্তি করে খেলেও তার কিন্তু যৌবনের ক্ষধা শেষ হয়ে যায়নি। সে সময় সুযোগ বুঝে এক ভিখারিনীকে কাঁধে তুলে জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং যৌন ক্ষুধা মিটায়। বাঁধা দেয় না ভিখারিনীও। কেন না তারও তো একই ক্ষুধা আছে। এমন ঘটনা সন্তান জন্ম দেয়া এ পাগলীর ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে। কিন্তু সেটারও তো তদন্ত হওয়া উচিৎ নয় কি?
আর যদি কোন পাগল পাগলীর সাথে প্রাগৈতিহাসিকের মতো ঘটনা না ঘটিয়ে থাকে তাহলে এর দায়ভার কে নিবে।

গুটি কয়েকজন যুবক বা ব্যাক্তি পাগলীর প্রেগনেন্ট হওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে অতি উৎসাহী হয়ে তাকে জোড় করে রাস্তা থেকে এনে হাসপাতালে ভর্তি করায় এবং ফ্রীতে মেডিকেল চেকআপ করিয়ে প্রেগনোন্সির বিষয়টি নিশ্চিত হয়। কিন্তু এই পাগলী তারপর থেকে সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও তাকে পাহাড়া দেয়ার দায়িত্ব কেউ নেয়নি। কেন না এই সময়ের মধ্যে পাগলী বহুবার হাসপাতাল ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়েছ আবার ফিরে এসেছে অবস্থায় গর্ভবতী পাগগলীর দাযভার নিতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। এ রকম একটা অবস্থার এক সময হাসপাতালেই পাগলীর প্রসব বেদনা শুরু হয় এবং পাগলী একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে।

বিষয়টি জানার পর অনেকেই উৎসাহী হয়ে ওঠে এবং হাসপাতালে পাগলীর সন্তান ও পাগলীকে দেখতে যাচ্ছেন। এমন কি পাগলী ও তার সন্তানকে জামা কাপড়ও কিনে দিচ্ছেন। শুধু তাই নয় কুড়িগ্রামের  জেলা প্রশাসকও জামা-কাপড় পাঠিয়েছেন।
এখন আমার যেটা চাওয়া সেটা হলো যারা পাগলীকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন এবং প্রশাসনের যারা বিষয়টি অবগত হয়েছেন তাদের উচিৎ পাগলীর সন্তানের বাবা যেই হোক তাদেরকে খুঁজে বের করা এবং মুখশ উন্মোচিত করা। তানাহলে মানুষের চরিত্র নিমজ্জিত হতে হতে তলানীতে গিয়ে ঠেকবে।



পুনশ্চঃ ছবি এবং লেখা লেখকের fb প্রোফাইল থেকে সংগৃহীত।

পাগলী মা হলেও বাবা হয়নি কেউ

পথের পাগলী


পোস্টটি করছেনঃ আসাদুজ্জামান আরিফ

মা কে পেলো, কিন্তু বাবা কে?
প্রশ্নটি সারাজীবন থেকেই যাবে তার।
মায়ের কোলে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে এক পিতৃ পরিচয়হীন বাঙালী। যার মায়ের সাথে নিজের কামনা পূরণ করেছে আমাদের সমাজের কে বা কাহারা। তার ফসল আজ পৃথিবীতে আগমন করলো। কিন্তু শুধুই সে মা পেলো। তার বাবা কে তা কেউ জানেনা। সেদিন Jahanur Rahman Khokon ভাই সহ গেলাম কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে একজন রোগীকে দেখার জন্য। আকাশটাও কিছুক্ষণের জন্য ঝড়লো। রোগী দেখে বের হবো এমতাবস্তায় দেখা হলো ছোটভাই Ah Med Sabbir এর সাথে। ওর সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে বিদায় নিলাম। কিন্তু গেটে এসে দেখলাম হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের গেটে মানুষের ভীড়। এগিয়ে গেলাম বিষয় কি তা দেখার জন্য। দেখলাম এই পাগলী বোনটা চিৎকার করছে। হাসপাতালের একজন লোক শুধু বলছে যে পেটে বাচ্চা আছে বোধহয়। সবাই তাকে দেখছে। অবশেষে আমি,  খোকন ভাই ও এখন অপরিচিত লোক তাকে ধরে এমার্জেন্সী ওয়ার্ডের সামনে একটা স্ট্রেচারে শোয়ালাম। এগিয়ে এলো সাব্বির। খোকন ভাই নিজেই অভিভাবকের দ্বায়িত্ব নিলেন। পাগলীকে ভর্তি করানো হতেই আমি ও সাব্বির তাকে নিয়ে গেলাম প্রসূতি ওয়ার্ডে। খোকন ভাই ভর্তির কাগজ পত্র নিয়ে এলে দ্বায়িত্বে থাকা নার্স পরীক্ষা করে আমাদের শিউর করলেন যে পেটে বাচ্চা আছে। কিছু কাপড়ের দরকার ছিলো। Ferose Sarker গুরুকে ফোন করায় কিছুক্ষণ পর তিনি আসলেন কাপড়গুলো নিয়ে। আমরা অপেক্ষা করতেছিলাম। ফোনে আর.এম.ও স্যারের সাথে যোগাযোগ করার পর তিনি আশ্বস্ত করলেন। এক চাচী পাগলীকে কিছু পাউরুটি পানিতে ভিজিয়ে খাওয়ালেন। অত:পর আমরা সেখান থেকে বের হয়ে বিদায় নিলাম। পরবর্তীকালে খোকন ভাই খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন। আমি হঠাৎ অসুস্থ্য হওয়ায় আর যেতে পারিনি। আজ শুনলাম পাগলী তার সেই অনাগত সন্তান প্রসব করেছে।
সেই বাচ্ছাটির জন্য শুভ কামনা রইলো। পাশাপাশি খোকন ভাইকেও ধন্যবাদ সর্বদাই খোঁজ নেয়ার জন্য।


পুনশ্চঃ 
ছবি এবং পোস্ট লেখকের fb প্রোফাইল থেকে সংগৃহীত।