This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Showing posts with label গল্প. Show all posts
Showing posts with label গল্প. Show all posts

ভালোবাসার মাঝে, একটি প্রশ্ন | মোস্তফা তোফায়েল

Love, A Question : Robert Frostঅনুবাদ, ভালোবাসার মাঝে, একটি প্রশ্ন -মোস্তফা তোফায়েল


সন্ধার কালে দরোজার কাছে অচেনা অতিথি এসে,
সুদর্শন সে-বরের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে ফেলে।
সবুজ-শুভ্র ছড়ি একখানা ধরা ছিল তার হাতে,
এবং, সে-সাথে আশ্রয়-খোঁজা উদ্বেগ দেয় ঢেলে।
ভাষা ছিল তার চোখের তাকানো, মুখের কথার চেয়ে,
আবেদন শুধু সেই সন্ধায় এতটুকু আশ্রয়,
ফিরে সে দাঁড়ালো তাকিয়ে সুদূরে পথের অপর পাড়ে
জানালার আলো যদিও হয়েছে ক্ষয়।
বর মহোদয় হলেন উদয় তখন বারান্দায়,
বললেন, তা হলে আসুন, আকাশের তারা গুণি,
অতিথি সুজন, আপনি ও আমি প্রশ্ন সুধাই তাকে,
আজিকার রাত কেমন কাটিবে, শুনি।”

মাধবীকুঞ্জ বিছিয়েছে পাতা সকল আঙিনা জুড়ে
নীল জামগাছ নীলে নীলে গেছে ভরে,
হেমন্ত কাল, তবু আসে শীত বাতাস কুয়াশা ভরা;
অজানা অতিথি, যদি জানতেম, কেন তুমি এলে ওরে!
ঘরের ভেতরে, একাকী বধূটি এই সন্ধার কালে
ঝুঁকে বসে আছে খোলা চুল্লির কাছে,
লালাভ আগুনে মুখখানি তার গোলাপির রঙে রাঙা,
ভাবনায় তার কামনামদির মিলন বাসনা আছে।
বর মহোদয় উদাস তাকায় ক্লান্ত পথের দিকে 
তথাপি দেখেন বধূকে তাহার, ঘরে,
কামনা করেন হৃদয় তাহার সোনালি সুখের ফ্রেমে
রূপোলি কাঁটায় বিঁধে আছে অন্তরে।
বর মহোদয় মেহমানে তার কতটুকুই বা দেবে--
রুটি একখানি, টাকাকড়ি দিতে পারে,
আর দিতে পারে এই মুসাফিরে দুহাতে আশীর্বাদ,
ধনবানদের অভিশাপ, ধিক্কারে;

কিন্তু এমন আগন্তুকের আগমন হেতু কী যে
দুটি হৃদয়ের প্রেম ধ্বংসের কাজে
বিয়েবাড়ি এসে দুঃখ বিছিয়ে দিয়ে,
ভাল ছিল জানা, যেহেতু জানেন-না যে।


২১ জানুয়ারি, ২০১৯
পল্লবী, মিরপুর-১২, ঢাকা।

গল্পঃ ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার জুটি


লেখকঃ খাইরুল আনাম
শিকাগো, আমিরিকা থেকে
দু'জায়গায় চাকুরীরত, ইদানিং বিবাহিত, দুই পেশার মানুষের মধ্যে ফোনে কথপোকথনঃ

ইঞ্জিঃ হ্যালো, ঢাকা? এটা কি ঢাকা? হ্যালো, এটাকি ......
ডাঃ  কি হলো? ফোন বেজে ওঠা থেকেই তো আমি হ্যালো, হ্যালো বলে যাচ্ছি। তবু অত চ্যাঁচাচ্ছো কেন?
ইঞ্জিঃ স্যরি। আসলে তুমি না অন্য কেউ ভেবে একটা কনফিউশান হচ্ছিল।
ডাঃ  কে মনে হচ্ছিল? আমার আম্মা না আমাদের কাজের বুয়া? গলার স্বর শুনে নিজের বউ চিনলে না? আশ্চর্য্য!
ইঃ  আবারও স্যরি। তা কেমন আছ বল, মানে ইয়ে, তোমার এ অবস্থায়। মানে ডাক্তার সাহেব কি বলল?
ডাঃ  কি আর বলবে? এখন এডিমা (edema) হয়ে ধুমসি হয়ে যাচ্ছি। একবার নিজে চোখে দেখলে মনে হয় লাথি মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেবে। ডাক্তার বলেছে, পরে এক্‌লামশিয়াও (eclampsia) ও হতে পারে। তখন বুঝবে। বাছার বৌ পাগল হওয়ার এত শখ বেরিয়ে যাবে।

ইঞ্জিঃ   কি সব বলছ? ওগুলোর মানে কি? বাবার জন্মেও তো ওই সব ওয়ার্ডের নাম শুনিনি। খুব খারাপ কিছু?
ডাঃ  বল কি? এ সবের নাম শোন নি? এগুলো তো সবাই জানে। তা তোমার আর দোষ কি? গলা শুনে নিজের বউকেই তো চিনতে পারলে না। তা যাকগে, আজ এত দেরীতে ফোন দিলে যে? কি হয়েছিল?
ইঞ্জিঃ  আর বোলনা। দরকারী কিছু কিনতে সকালে উঠেই চা না খেয়ে দৌড়তে দৌড়তে একটু বাজারে গিয়েছিলাম। দু’তিন জায়গায় ঘুরলাম। কিচ্ছু লাভ হলো না বোয়েচো। মন খারাপ। খালি ব্যাগ নিয়ে বাড়ী ফিরে এসেই তোমাকে ফোন দিলাম। তাই একটু দেরী হয়ে গেল। সামান্য দেরীর জন্য তুমি আবার কিছু মনে ক’রো না।

ডাঃ  আহারে, বেচারা! অত সকাল সকাল বাজারে গিয়েও কোন সুবিধে হলো না? খুব দরকারী কিছু? কি জিনিষটা?
ইঞ্জিঃ  না, মানে তেমন কিছু না। ঐ আর কি, সামান্য কয়েকটা এনট্রপি (Entropy) কিনতে গিয়েছিলাম। দেখলাম একগাদা লোক দোকানটায় হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। ভীড়টা কমতে এগিয়ে গিয়ে দেখি, সব ফর্সা। তো পরের লেনে আইসোথার্ম (Isotherm) এর একটা দোকান ছিল। ভাবলাম এনট্রপি না পাই, অন্তত কেজি দুই আইসোথার্ম না হয় নিয়ে যাই। ও খোদা। সেখানেও সেই একই অবস্থা। আরো দু’সপ্তাহ নাকি দেরী করতে হবে, যে কোন একটা বা দু’টোই পেতে।

ডাঃ তাহলে তো বড় মুস্কিলের কথা। চিটাগাং-এ আর কোথাও পাওয়া যায় না? মানে অন্য কোন দোকানে? তুমি চাইলে আমি নিজে বা আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের বলে ঢাকায় চেষ্টা করে দেখতে পারি। কি ওগুলো?
ইঞ্জিঃ থাক, তোমাকে খামকা কষ্ট করতে হবে না। ওগুলো তেমন কিছু না। ঠিকমতো জানা না থাকলে যত্রতত্র খুঁজে পাওয়াও যায় না। অবশ্য এগুলের নাম সবাই জানে। একেবারে অতি সাধারণ জিনিষ। অনেকটা তোমার ঐ এডিমা বা এক্‌লামশিয়ার মতো।
                                   

শুধু এক দিক না, উল্টোটাও দ্যাখো


শুধু এক দিক না, উল্টোটাও দ্যাখোঃসুহৃদ সরকার
বাবা একটি পত্রিকা পড়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু তার ছোট ছেলেটি বারবার সেটি ধরে টানাটানি করছে। এতে অনেকটা বিরক্ত হয়ে বাবা একটা বুদ্ধি বের করল। পত্রিকা থেকে একটা পাতা ছিঁড়ে ফেললেন - যাতে পৃথিবীর একটা ম্যাপ ছিল। বাবা সেই পৃষ্ঠাটি ছিঁড়ে কয়েক টুকরা করে ছেলেকে দিলেন। 
“এখন তোমার হাতে কিছু কাজ আছে। আমি যে ম্যাপটা দিয়েছি সেটি ঠিকমতো জোড়া লাগাও, ঠিকভাবে।”

বাবা এবার পড়া শুরু করলেন, ভাবলেন এই ম্যাপটা জোড়া লাগানো সোজ কথা নয়। এখন আর বিরক্ত করার সময় পাবে না ছেলেটা। সারাদিন ব্যস্ত থাকবে সেটি নিয়ে। কিন্তু পনের মিনিট পরই ছেলেটা সেই ম্যাপ হাতে নিয়ে হাজির।
“তোমার মা কি তোমাকে ভুগোল পড়াচ্ছে নাকি?” অবাক হয়ে জানতে চাইলেন বাবা।

ভুগোল কি জিনিস আমি জানি না,” বলল ছেলেটি। “কিন্তু এই পৃষ্ঠার উল্টা দিকে একটা মানুষের ছবি আছে, আমি সেই মানুষটাকে জোড়া লাগানোর চেষ্টা করেছি। আর সেটি মিলালেই দেখতে পেলাম পৃথিবীর ম্যাপটাও মিলে গেছে।

কে কতো বড় চোর?



ফ্রান্সের এক ব্যাংকে ডাকাতির সময়...ডাকাত দলের সর্দার বন্দুক হাতে নিয়ে সবার উদ্দেশ্যে বললো, "কেউ কোন নড়াচড়া করবেন না, টাকা গেলে যাবে সরকারের কিন্তু জীবন গেলে যাবে আপনার। তাই ভাবনা চিন্তা করে আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করুন।"
এই কথা শোনার পর, সবাই শান্ত হয়ে চুপচাপ মাথা নিচু করে শুয়ে পড়েছিল।
এই ব্যাপারটাকে বলে "Mind Changing Concept” অর্থাৎ মানুষের ব্রেইনকে আপনার সুবিধা অনুযায়ী অন্যদিকে কনভার্ট করে ফেলা।
সবাই যখন শুয়ে পড়েছিল, তখন এক সুন্দরী মহিলার অসাবধানবশত তার কাপড় পা থেকে কিছুটা উপরে উঠে গিয়েছিল। ডাকাত দলের সর্দার তার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলে উঠল, "আপনার কাপড় ঠিক করুন! আমরা ব্যাংক ডাকাতি করতে এসেছি, রেপ করতে না।"
এই ব্যাপারটাকে বলে "Being Professional” অর্থাৎ আপনি যেটা করতে এসেছেন, ঐটাই করবেন। যতই প্রলোভন থাকুক অন্যদিকে মনোযোগ দেওয়া যাবে না।
যখন ডাকাতরা ডাকাতি করে তাদের আস্তানায় ফিরে এলো.....তখন এক ছোট ডাকাত(MBA পাশ করা) ডাকাত দলের সর্দার(যে Class 5 পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে) -কে বললো, "বস চলেন টাকাটা গুনে ফেলি।"
ডাকাত দলের সর্দার মুচকি হেসে বললো, তার কোনই প্রয়োজন নেই। একটু পরে টিভি ছাড়লেই নিউজ চ্যানেলগুলোই বলে দিবে আমরা কত টাকা নিয়ে এসেছি। ;)
এই ব্যাপারটাকে বলে "Experience" 
অভিজ্ঞতা যে গতানুগতিক সার্টিফিকেট এর বাইরে যেয়েও কাজ করতে পারে, ইহা তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ।
ডাকাতরা চলে যাওয়ার সাথে সাথেই, ব্যাংকের কর্মচারি...ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে ছুটে এসে বললো, স্যার তাড়াতাড়ি চলেন পুলিশকে ফোন দেই....এখন ফোন দিলে ওরা বেশিদূর যেতে পারবে না। 
ব্যাংক ম্যানেজার কর্মচারিকে থামিয়ে দিয়ে বললো, ওদের -কে আমাদের জন্যই এই ২০ মিলিয়ন টাকা নিয়ে যেতে দেওয়া উচিত, তাহলে আমরা যে ৭০ মিলিয়ন টাকার গরমিল করেছি, তা এই ডাকাতির ভিতর দিয়েই চালিয়ে দেওয়া যাবে।
এই ব্যাপারটাকে বলে, "Swim with the tide" অর্থাৎ নিজের বিপদকেও বুদ্ধি দিয়ে নিজের সুবিধা হিসেবে ব্যবহার করা।
কিছু সময় পরেই টিভিতে রিপোর্ট আসলো, ব্যাংক ডাকাতিতে ১০০ মিলিয়ন টাকার ডাকাতি। ডাকাতরা সেই রিপোর্ট দেখে বারবার টাকা গুনেও ২০ মিলিয়ন এর বেশি বাড়াইতে পারল না। ডাকাত দলের সর্দার রাগে ক্রুদ্ধ হয়ে বললো,"শালা আমরা আমাদের জীবনের ঝুকি নিয়ে, এত কিছু ম্যানেজ করে মাত্র ২০ মিলিয়ন টাকা নিলাম। আর ব্যাংক ম্যানেজার শুধুমাত্র এক কলমের খোঁচাতেই ৮০ মিলিয়ন টাকা সরিয়ে দিল। শালা চোর ডাকাত না হয়ে পড়াশোনা করলেই ত বেশি লাভ হইত।"
এই ব্যাপারটাকে বলে "Knowledge is worth as much as gold!"
অর্থাৎ অসির চেয়ে মসী বড়।
ব্যাংক ম্যনেজার হাসছে, কেননা তার লাভ ৮০ মিলিয়ন। ৭০ মিলিয়ন টাকার গরমিল করেও সে আরো ১০ মিলিয়ন টাকা নিজের পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেছে।
এই ব্যাপারটাকে বলে, "Seizing the opportunity/Daring to take risks!"
অর্থাৎ সুযোগ থাকলে তাকে কাজে লাগানোই উচিত। 
তাহলে এই ডাকাতিতে লাভ টা হইলো কার?
তাই লেখাপড়া ই সবচেয়ে বড় বিজনেস।

[ভিনদেশি রম্যরচনা থেকে অনুবাদকৃত]
Collected

জীবনের বাঁকে বাঁকে | কাজী শফিকুর রহমান শফিক

কাজী শফিকুর রহমান শফিক



সময় বহমান। স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক #সুরা_আছরে সময়ের কসম দিয়ে বলেছেন - মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শরিয়ত মোতাবেক না চলার কারণে তো বটে, ফলে মানুষের নৈতিকতার হ্রাস এবং লোভ লালসার পরিমাণ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ অধেল অর্থ এবং অসম প্রতিযোগিতার পিছনে ছুটতে গিয়ে শারীরিক পরিশ্রম কিংবা ব্যায়াম না করা নেশাগ্রস্ত দ্রব্যাদি গ্রহণ এবং অতিরিক্ত খাবার খেতে গিয়ে নিজের শরীর ধ্বংস করে চলছে।

#সুরা_আছরেই মহান আল্লাহ্ পাক আরো বলেছেন  ক্ষতিগ্রস্ত তারাই হবেন না - যাঁরা তাঁর প্রতি ঈমান এনেছেন, সৎকাজ করেছেন, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়ে চলছেন এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছেন। আর মানুষ যদি তা পালন করে অবশ্যই অবশ্যই নৈতিকতার পথে চলবে। দুর হবে সব অন্ধকার।

কৈশোরকালে বিশেষ করে ঈদে এবং বিকালের সময় সাইকেল চালানো কেন্দ্র করে বড় ভাইয়ের সাথে ছোট খাটো বসসা লেগে যেতো।বিশ্ববিদ্যালয় পড়াকালীন পকেটটি ঠুঠো জগন্নাথ হলেও প্রেস্টিজ জ্ঞান ছিল ভরপুর। তাই বাসার আদরের সাইকেলটি অনাদরে এক কোনে পড়ে থাকতে থাকতে নষ্ট হয়ে গেল।

১৯৯৬ সালে নিজের একখানি মোটরবাইক হলো। মোটরবাইকটি হাতে নিয়ে সেদিনেই প্রতিজ্ঞা করলাম - একান্ত প্রয়োজন না পরলে সন্ধ্যায় পর বাহিরে আড্ডা মারতে মোটরসাইকেলটি চালাবো না। রিক্সা বা অন্যকোন বাহনে না চড়ে পা হেটে বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা মারতাম। শারীরিক কসরত না করলেও প্রায় প্রতিদিন কমপক্ষে তিন চার কিলোমিটার পথ হাটাহাটির অভ্যাস হয়ে গেল।

 আজও এই বয়সে বন্ধু বাবুল ( সমাজ) এর সাথে প্রায় তিন  কিলোমিটার দূরত্বের  পৌরমার্কেটে হেটে গিয়ে বাবুল (স্বর্ণ) এর দোকানে আড্ডা মারি। ফিরার পথে অতিরিক্ত ভার না হলে হাতে বাজারের ব্যাগ নিয়ে কোন প্রকার দুশ্চিন্তা না করে আবারো প্রায় তিন কিলোমিটার দূরত্বের পথ হেটে বাসায় ফিরি। মানুষ কে কীভাবে নিবে সেটি তাদের ব্যাপার কিন্তু নিজের শরীর তো আগে।

বর্তমান প্রজন্মের অনেকে ঘর থেকে বেড়াতে চায় না। জাঙ্ক ফুড গ্রহণ, ব্যায়াম আর খেলাধুলা না করার কারণে স্থূল থেকে স্থূলকায় হয়ে পড়ছে।প্রতিবছর মানুষ হৃদরোগ এবং ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছে। ফলে দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা হারিয়ে যাচ্ছে। খাদ্যের ভেজালে দেশ ছয়লাপ হয়ে যাচ্ছে। জাতীয় পত্রিকায় প্রায় দেখা যায় রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করে ফলমূল টাকটা রাখা কৃত্রিম রঙ এবং রাসায়নিক ফ্লেভার মিশ্রিত করে ফলের জুস সহ বিভিন্ন পানীয় এবং জাঙ্ক ফুড তৈরি করছে। এসব অতি মুনাফাখোরদের জন্য আমরা আমজনতা ক্যানসার নামক জীবানু নিয়ে মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছি। সত্যি এ যুগে মানুষ নিজের ইচ্ছায় কিংবা পরোক্ষভাবে কতই না ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

গত দুবছর আগে শখ করে সাইকেল কিনলাম। কয়েকদিন সাইকেল নিয়ে শহরে ঘুরাঘুরি পর্যন্ত করেছিলাম। অনেকে বিস্মিত চোখে তাকিয়ে পর্যন্ত দেখলো। তারপর কী যে হলো সাইকেল চড়া বাদ পরলো। গতকাল ( ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮) সাইকেলটির মেরামত করে আজ আবারো সেটি নিয়ে ধরলার নদীর দিকে গেলাম।

নদীর পানি বাড়ছে। জানিনা সামনে কোন বিপদ আছে কিনা। আমরা মরছি প্রাকৃতিক কারণে, মরছি নির্বুদ্ধিতার কারণে আবার মরছি অতি মুনাফাখোর লোভী ব্যবসায়ীর কারণে।

মহান আল্লাহ্ পাক আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করুন।

ফিরোজ সরকারঃ এক অদম্য শিল্পীর নাম

শিল্পীঃ ফিরোজ সরকার

চার(০৪) বছর বয়সে প্রাণ প্রিয় মা'কে চিরদিনের জন্য হারাবার পর লেখাপড়ায় মন বসতোনা, এমনকি বসাতেও পারতেননা। ভালোলাগতোনা কোন কিছুই। এদিক সেদিক করে চৌঁদিকে ছুটতেন তো ছুটতেন কেবলই কষ্টের বিপরীতে একটু যুত-কিঞ্চিত সুখের তরে। দিন যায় রাত কাটে অন্তরে বাসা বাঁধা কষ্টের সমাধান অসমাপ্তিই রয়ে যায়। বড়ই নিঃসঙ্গতা, একাকিত্ত্ব আর হতাশায় কাটে প্রতিটি মুহূর্ত। জানে ফিরে পাবেনা তবুও পাগলের মত খুঁজে ফেরত মা'কে। 
শান্ত্বনা নামের আল্পনা আর প্রকৃতির সুন্দর্যে খুঁজে নিত শূণ্য হৃদয়ে একতিলক শীতল মমতা
এ যেন শুষ্ক উত্তপ্ত বালির বুকে কিঞ্চিত জলে কেবলই শীতলতা আনার মত। যেখানে বুক ভরেনা শূণ্যতা রয়েই যায় তথাপিও। তবু কিছুটা লেখাপড়া করেছে নানার বাসায়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে একমাত্র অবশিষ্ট আপন সম্বল নানীও বিডিআর বিদ্রোহকালীন সময়ে ইন্তেকাল করেন। আপন বলতে আর কেউ রইলোনা। এমন এ অভাগা দিনে অশান্ত ক্লান্ত কমল মনে বয়ে আসে এক মহিয়সী নারীর প্রেম। বড়ই উল্মাদ হয়ে পড়েন ফিরোজ ভাইয়া। অতঃপর জীবন সঙ্গীনি সেই সে অপূর্ব নারী। শূণ্যতার বুকে পূর্ণতা আর নিরাশার বুকে আশা নিয়ে বাঁচতে শিখেন ফিরোজ ভাই। নিজেকে সাজিয়ে নেন হরেক রঙে। কর্মের সন্ধানে রাজারহাট থেকে ছুটে আসেন কুড়িগ্রাম সদরে। কাজও পান। স্টিল মিস্ত্রির কাজ। মন বসতনা কোন ভাবেই। পরবর্তিতে কলেজ মোড়ে আর্ট স্টোল দেন। মনের আনন্দে অন্তরের মাধুরী মিশায়ে দিন-ভর কাজ আর কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। অনেকবার বিভিন্ন কারনবশত স্থান পরিবর্তন করলেও ২০০৭ সালে তর্তাবোধায়ক সরকার ফকরুদ্দিন এর শাষনামলে উচ্ছ্বেদ করে দেওয়া হয় ফিরোজ ভাইয়ার চির সাধনার সেই আর্ট স্টোল। অর্থনৈতিকভাবে প্রায় পঙ্গু হয়ে যান ভাইয়া। তন্মধ্যে ভাবি হঠাৎ ব্রেইন স্টক করলে বড়ই হিমশিমে পরে যান এবং অনেক ঋৃণ করে বসেন। হাস্যজ্জ্বল সংসারে নেমে আসে এক গাঢ়কালো নিষ্ঠুর নির্মম হতাশা ও দূর্দিন। কিন্তু ভাইয়া তাতেও সাহস হারাননি। একনিষ্ঠ কাজ করতেন। আজ তিনি ঋৃণ মুক্ত প্রায়। তাই অন্য দশ জনের মতই একটু ভালোভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্ন দেখেন তার দুটি বাচ্চার ভালো একটা ভবিষ্যতের। হয়তো প্রশ্ন করছেন নিজেকে, যে কে এই ফিরোজ???
...

ফিরোজ ভাই অন্য কেউ না। একজন সাদামাটা আর সহজ সরল প্রাঞ্জল মনের মানুষ। পেশায় আর্টিস এবং ফটোগ্রাফার।যিনি অসামান্য ঋৃণে ঋৃণী করেছেন কুড়িগ্রামবাসীকে। যার তুলির ছোয়ায় আজও জীবন্ত হয়ে আছে কুড়িগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ফলক, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের শহীদ মিনার, ইতিহাস বিভাগের দেয়ালে দিপ্তমান শেখ মুজিবের সেই ঐতিহাসিক প্রতিচ্ছবি(যা বর্তমানে চুনকামে ঢাকা), রোভার স্কাউট সহ প্রতিটি বিভাগের ব্যানার দেয়ালিকায় জীবন্ত হয়ে আছে উনার হাতের পরশ। যিনি দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রমের দ্বারা কুড়িগ্রামের জর্জ কোর্ট এলাকা, নাট্যশালা, শাপলা চত্ত্বর সহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকাকে স্বপ্নের শহরে রুপায়িত করেছেন তারই পরম তুলির আঁচরে। কথা বলে জানলাম গত ১৯৯৪ থেকে এখন অবধি সূদীর্ঘ পথ পারি দিয়ে কাজ করছেন রাজশাহী, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, পীরগাছা(রংপুর) ও লালমনিরহাট অঞ্চলে। আলপনা, ফম ফন্ট ডিজাইন, বিয়ের যাবতীয় সাজ সজ্জা, বর কনে ও বিয়ের গাড়ি সাজানো, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ব্যানার, পাথর খুদাই সহ হরেক রকম কাজের অভিজ্ঞতায় পুষ্ট ফিরোজ ভাইয়া। কুড়িগ্রামের সাথে সাথে বাহিরে অনেক কদর এবং দর আছে উনার কাজের। শিল্পমনা মানুষটি তার পরিবারকেও গড়ে তুলেছেন সেভাবে। এখন সুখে দিন কাটে অল্প আয়েও। স্বপ্ন দেখেন বড় একটা পুষ্প ভান্ডার করবেন। সেখানে আরো থাকবে ডিজিটাল অনেক যন্ত্রপাতি। যা তার কাজগুলোকে সহজ করে দিবে অনেকাংশে। স্বপ্ন পুরোন হোক ফিরোজ ভাইয়ের, সুখ অসীম সুখ ধরা দেক তার সংসারে। আমাদের সকলের অনুপ্রেরনার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হোক ফিরোজ ভাইয়া।

ফিরোজ সরকার- এক অদম্য শিল্পী | আনু ইসলাম

শিল্পী ফিরোজ সরকার


চার(০৪) বছর বয়সে প্রাণ প্রিয় মা'কে চিরদিনের জন্য হারাবার পর লেখাপড়ায় মন বসতোনা, এমনকি বসাতেও পারতেননা। ভালোলাগতোনা কোন কিছুই। এদিক সেদিক করে চৌঁদিকে ছুটতেন তো ছুটতেন কেবলই কষ্টের বিপরীতে একটু যুত-কিঞ্চিত সুখের তরে। দিন যায় রাত কাটে অন্তরে বাসা বাঁধা কষ্টের সমাধান অসমাপ্তিই রয়ে যায়। বড়ই নিঃসঙ্গতা, একাকিত্ত্ব আর হতাশায় কাটে প্রতিটি মুহূর্ত। জানে ফিরে পাবেনা তবুও পাগলের মত খুঁজে ফেরত মা'কে। শান্ত্বনা নামের আল্পনা আর প্রকৃতির সুন্দর্যে খুঁজে নিত শূণ্য হৃদয়ে একতিলক শীতল মমতা। এ যেন শুষ্ক উত্তপ্ত বালির বুকে কিঞ্চিত জলে কেবলই শীতলতা আনার মত। যেখানে বুক ভরেনা শূণ্যতা রয়েই যায় তথাপিও। তবু কিছুটা লেখাপড়া করেছে নানার বাসায়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে একমাত্র অবশিষ্ট আপন সম্বল নানীও বিডিআর বিদ্রোহকালীন সময়ে ইন্তেকাল করেন। আপন বলতে আর কেউ রইলোনা। 


এমন এ অভাগা দিনে অশান্ত ক্লান্ত কমল মনে বয়ে আসে এক মহিয়সী নারীর প্রেম। বড়ই উল্মাদ হয়ে পড়েন ফিরোজ ভাইয়া। অতঃপর জীবন সঙ্গীনি সেই সে অপূর্ব নারী। শূণ্যতার বুকে পূর্ণতা আর নিরাশার বুকে আশা নিয়ে বাঁচতে শিখেন ফিরোজ ভাই। নিজেকে সাজিয়ে নেন হরেক রঙে


এমন এ অভাগা দিনে অশান্ত ক্লান্ত কমল মনে বয়ে আসে এক মহিয়সী নারীর প্রেম। বড়ই উল্মাদ হয়ে পড়েন ফিরোজ ভাইয়া। অতঃপর জীবন সঙ্গীনি সেই সে অপূর্ব নারী। শূণ্যতার বুকে পূর্ণতা আর নিরাশার বুকে আশা নিয়ে বাঁচতে শিখেন ফিরোজ ভাই। নিজেকে সাজিয়ে নেন হরেক রঙে। কর্মের সন্ধানে রাজারহাট থেকে ছুটে আসেন কুড়িগ্রাম সদরে। কাজও পান। স্টিল মিস্ত্রির কাজ। মন বসতনা কোন ভাবেই। পরবর্তিতে কলেজ মোড়ে আর্ট স্টোল দেন। মনের আনন্দে অন্তরের মাধুরী মিশায়ে দিন-ভর কাজ আর কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। অনেকবার বিভিন্ন কারনবশত স্থান পরিবর্তন করলেও ২০০৭ সালে তর্তাবোধায়ক সরকার ফকরুদ্দিন এর শাষনামলে উচ্ছ্বেদ করে দেওয়া হয় ফিরোজ ভাইয়ার চির সাধনার সেই আর্ট স্টোল। অর্থনৈতিকভাবে প্রায় পঙ্গু হয়ে যান ভাইয়া। তন্মধ্যে ভাবি হঠাৎ ব্রেইন স্টক করলে বড়ই হিমশিমে পরে যান এবং অনেক ঋৃণ করে বসেন। হাস্যজ্জ্বল সংসারে নেমে আসে এক গাঢ়কালো নিষ্ঠুর নির্মম হতাশা ও দূর্দিন। কিন্তু ভাইয়া তাতেও সাহস হারাননি। একনিষ্ঠ কাজ করতেন। আজ তিনি ঋৃণ মুক্ত প্রায়। তাই অন্য দশ জনের মতই একটু ভালোভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্ন দেখেন তার দুটি বাচ্চার ভালো একটা ভবিষ্যতের। হয়তো প্রশ্ন করছেন নিজেকে, যে কে এই ফিরোজ???


ফিরোজ ভাই অন্য কেউ না। একজন সাদামাটা আর সহজ সরল প্রাঞ্জল মনের মানুষ। পেশায় আর্টিস এবং ফটোগ্রাফার।যিনি অসামান্য ঋৃণে ঋৃণী করেছেন কুড়িগ্রামবাসীকে। যার তুলির ছোয়ায় আজও জীবন্ত হয়ে আছে কুড়িগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ফলক, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের শহীদ মিনার, ইতিহাস বিভাগের দেয়ালে দিপ্তমান শেখ মুজিবের সেই ঐতিহাসিক প্রতিচ্ছবি(যা বর্তমানে চুনকামে ঢাকা), রোভার স্কাউট সহ প্রতিটি বিভাগের ব্যানার দেয়ালিকায় জীবন্ত হয়ে আছে উনার হাতের পরশ। যিনি দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রমের দ্বারা কুড়িগ্রামের জর্জ কোর্ট এলাকা, নাট্যশালা, শাপলা চত্ত্বর সহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকাকে স্বপ্নের শহরে রুপায়িত করেছেন তারই পরম তুলির আঁচরে। কথা বলে জানলাম গত ১৯৯৪ থেকে এখন অবধি সূদীর্ঘ পথ পারি দিয়ে কাজ করছেন রাজশাহী, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, পীরগাছা(রংপুর) ও লালমনিরহাট অঞ্চলে। 


আলপনা, ফম ফন্ট ডিজাইন, বিয়ের যাবতীয় সাজ সজ্জা, বর কনে ও বিয়ের গাড়ি সাজানো, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ব্যানার, পাথর খুদাই সহ হরেক রকম কাজের অভিজ্ঞতায় পুষ্ট ফিরোজ ভাইয়া। কুড়িগ্রামের সাথে সাথে বাহিরে অনেক কদর এবং দর আছে উনার কাজের। শিল্পমনা মানুষটি তার পরিবারকেও গড়ে তুলেছেন সেভাবে। এখন সুখে দিন কাটে অল্প আয়েও। স্বপ্ন দেখেন বড় একটা পুষ্প ভান্ডার করবেন। সেখানে আরো থাকবে ডিজিটাল অনেক যন্ত্রপাতি। যা তার কাজগুলোকে সহজ করে দিবে অনেকাংশে। স্বপ্ন পুরোন হোক ফিরোজ ভাইয়ের, সুখ অসীম সুখ ধরা দেক তার সংসারে। আমাদের সকলের অনুপ্রেরনার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হোক ফিরোজ ভাইয়া।

গল্প: নিঃশব্দ কান্না | বাদশা সৈকত

লেখকঃ বাদশা সৈকত


ছেলে একদিন ভার্সিটি থেকে বাড়ি আসলো এবং রাতের খাবারের পর বাবা-মায়ের পাশের ঘরে শুয়ে পড়লেন। কিন্তু ছেলে ঘুমাতে পারলো না। রাত যতই গভীর হতে থাকলো বাবার গোঙ্গানীর শব্দটা ততই বাড়তে থাকলো। সাথে শুকনো কাশির ঢকাশ ঢকাশ শব্দ। মায়েরও কোকানীর শব্দটা রাতের নিস্তদ্ধতাকে দুরে ঠেলে ছেলের কানে আঘাত করতে থাকলো।

বাবা মায়ের এ অবস্থা দেখে ছেলে বিছানা ছেড়ে উঠে বাবা-মায়ের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে তাদের ডাকতে থাকলো। ছেলের কন্ঠ শুনে মা কোন রকমে বিছানা ছেড়ে উঠে দরজা খুলে দিলো। সে নাগাত বাবারও গোঙ্গানীর শব্দটা বন্ধ হয়ে গেছে।
ছেলে তার মাকে বললো-
         -আজও দুজনেই ঔষধ খাননি।
মা কোন কথা না বলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে।
ছেলে আবার বললো-
         -কথা বলছেন না কেন? ঔষধ কি শেষ হয়ে গেছে?
এবার মা বললেন-
          -তোর বাবা ঔষধ আনতে ভুলে গেছে।
ছেলে বললো-
          -আমি জানি বাবা কেনন ঔষধ আনতে ভুলে যান। আমি না কতবার বলেছি আমাকে আর টাকা পাঠাতে হবে না। আমি টিউশনি করেই আমার লেখা-পড়ার খরচ চালিয়ে নিচ্ছি। বুঝেছি বাবা বাজারে ঔষধ কেনার টাকা নিয়ে গিয়ে সেই টাকাই আবারও আমাকে পাঠিয়েছে।

ছেলে আর কোন কথা না বলে তার ঘরে ফিরে গিয়ে বিছানায় গা দিলো। কিন্তু বাকী রাত আর ঘুমাতে পারলো না। যদিও বা বাবা-মায়ের গোঙ্গানীর শব্দটা তেমন আর শোনা যাচ্ছিলো না। ছেলে জানে তার বাবা-মা কতটা কষ্ট করে শরীরের কষ্টগুলোকে চেপে রেখেছে। যাতে করে ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে তাদের কষ্টের শব্দ শুনে কোন কষ্ট না পায়।

ছেলে একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে তাদের অতীত আর বর্তমানের কথা ভাবতে থাকলো।
কৃষক পরিবারের অতীতটা ভালোই কাটছিল তাদের। ছেলে-মেয়েদের লেখা-পড়া আর সংসারের ব্যায়ভার বেড়ে যাওয়ায় অভাব তাদের সংসারে হাতছানী দিতে থাকে। সামান্য জমির ধান, গাছের সুপারীর টাকায় এখন আর কুলায় না। তারপরও বাবা-মা ছেলে-মেয়েদের এই আশায় নিজের জীবনকে বাজি রেখে লেখা-পড়া করাচ্ছেন যে তারা একদিন শিক্ষিত হয়ে সরকারী চাকুরী করবে। তখন আর অভাব নামের কোন দ্বৈত্য ঘরের ভিতর প্রবেশ করতে পারবে না।

এসব ভাবতে ভাবতে এক সময় ফজর হয়ে আসলো। ছেলে ভাবে তার বাবা-মা হয়তো বর্তমানের বাস্তবতা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তারা ভাবেন তাদের অসুখের কষ্টের চেয়ে সন্তানের না খেয়ে থাকার কষ্টটাই তাদের কাছে বেশি বেদনা দায়ক। অথচ বাবা-মায়ের এই খাঁটি কষ্টের আশাগুলোই বন্দী হয়ে আছে দেশে রাজনীতির ঘাঁড়ে পা রাখা কিছু ভন্ড, কুলাঙ্গার নেতার হাতে। এই ব্লাডি বাস্ট্রার্ডরা জানেই না এসব সন্তানদের বাবা-মা তাদের সন্তানদের কতটা চাপা কষ্ট বুকে ধারন করে লেখা-পড়া শেখান। তারা শুনতেই পান না এসব পরিবারের কষ্টের নিঃশব্দ কান্না গুলি।