This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

রেলমন্ত্রীর কাছে আন্তঃনগর ট্রেনের দাবী জানালো 'কুড়িগ্রাম সোসাইটি'


কুড়িগ্রাম থেকে সরাসরি ঢাকা পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেন চলাচলের দাবি নিয়ে রেলপথ মন্ত্রীর সাক্ষাৎ করেছে ঢাকায় বসবাসরত কুড়িগ্রাম জেলাবাসীর সংগঠন ‘কুড়িগ্রাম সোসাইটি, ঢাকা’র একটি প্রতিনিধি দল।

সোমবার(১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এমপি হোস্টেলে রেলপথ মন্ত্রী এডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজনের সাথে দেখা করেন সমিতির সদস্যরা।
এ সময় রেলমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে কুড়িগ্রাম থেকে সরাসরি ঢাকা পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবি উপস্থাপন করেন তারা। রেলমন্ত্রী সবার কথা মনযোগ দিয়ে শোনেন এবং সার্বিক বিষয় খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের সময় কুড়িগ্রাম সোসাইটির উপদেষ্টা সালেক সাব্বির আহমেদ রুবেল, সোসাইটির সহ-সভাপতি কুড়িগ্রামের কৃতী কন্যা সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও ক্রীড়া সংগঠক রেহেনা পারভিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন রিপন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম পারভেজ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান,রাকিবুল হাসান রাহুল, প্রচার সম্পাদক আনু ইসলাম,সহ-প্রচার সম্পাদক মমিনুল ইসলাম,তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাকিউল ইসলাম বাপ্পি ও অন্যন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কে কতো বড় চোর?



ফ্রান্সের এক ব্যাংকে ডাকাতির সময়...ডাকাত দলের সর্দার বন্দুক হাতে নিয়ে সবার উদ্দেশ্যে বললো, "কেউ কোন নড়াচড়া করবেন না, টাকা গেলে যাবে সরকারের কিন্তু জীবন গেলে যাবে আপনার। তাই ভাবনা চিন্তা করে আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করুন।"
এই কথা শোনার পর, সবাই শান্ত হয়ে চুপচাপ মাথা নিচু করে শুয়ে পড়েছিল।
এই ব্যাপারটাকে বলে "Mind Changing Concept” অর্থাৎ মানুষের ব্রেইনকে আপনার সুবিধা অনুযায়ী অন্যদিকে কনভার্ট করে ফেলা।
সবাই যখন শুয়ে পড়েছিল, তখন এক সুন্দরী মহিলার অসাবধানবশত তার কাপড় পা থেকে কিছুটা উপরে উঠে গিয়েছিল। ডাকাত দলের সর্দার তার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলে উঠল, "আপনার কাপড় ঠিক করুন! আমরা ব্যাংক ডাকাতি করতে এসেছি, রেপ করতে না।"
এই ব্যাপারটাকে বলে "Being Professional” অর্থাৎ আপনি যেটা করতে এসেছেন, ঐটাই করবেন। যতই প্রলোভন থাকুক অন্যদিকে মনোযোগ দেওয়া যাবে না।
যখন ডাকাতরা ডাকাতি করে তাদের আস্তানায় ফিরে এলো.....তখন এক ছোট ডাকাত(MBA পাশ করা) ডাকাত দলের সর্দার(যে Class 5 পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে) -কে বললো, "বস চলেন টাকাটা গুনে ফেলি।"
ডাকাত দলের সর্দার মুচকি হেসে বললো, তার কোনই প্রয়োজন নেই। একটু পরে টিভি ছাড়লেই নিউজ চ্যানেলগুলোই বলে দিবে আমরা কত টাকা নিয়ে এসেছি। ;)
এই ব্যাপারটাকে বলে "Experience" 
অভিজ্ঞতা যে গতানুগতিক সার্টিফিকেট এর বাইরে যেয়েও কাজ করতে পারে, ইহা তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ।
ডাকাতরা চলে যাওয়ার সাথে সাথেই, ব্যাংকের কর্মচারি...ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে ছুটে এসে বললো, স্যার তাড়াতাড়ি চলেন পুলিশকে ফোন দেই....এখন ফোন দিলে ওরা বেশিদূর যেতে পারবে না। 
ব্যাংক ম্যানেজার কর্মচারিকে থামিয়ে দিয়ে বললো, ওদের -কে আমাদের জন্যই এই ২০ মিলিয়ন টাকা নিয়ে যেতে দেওয়া উচিত, তাহলে আমরা যে ৭০ মিলিয়ন টাকার গরমিল করেছি, তা এই ডাকাতির ভিতর দিয়েই চালিয়ে দেওয়া যাবে।
এই ব্যাপারটাকে বলে, "Swim with the tide" অর্থাৎ নিজের বিপদকেও বুদ্ধি দিয়ে নিজের সুবিধা হিসেবে ব্যবহার করা।
কিছু সময় পরেই টিভিতে রিপোর্ট আসলো, ব্যাংক ডাকাতিতে ১০০ মিলিয়ন টাকার ডাকাতি। ডাকাতরা সেই রিপোর্ট দেখে বারবার টাকা গুনেও ২০ মিলিয়ন এর বেশি বাড়াইতে পারল না। ডাকাত দলের সর্দার রাগে ক্রুদ্ধ হয়ে বললো,"শালা আমরা আমাদের জীবনের ঝুকি নিয়ে, এত কিছু ম্যানেজ করে মাত্র ২০ মিলিয়ন টাকা নিলাম। আর ব্যাংক ম্যানেজার শুধুমাত্র এক কলমের খোঁচাতেই ৮০ মিলিয়ন টাকা সরিয়ে দিল। শালা চোর ডাকাত না হয়ে পড়াশোনা করলেই ত বেশি লাভ হইত।"
এই ব্যাপারটাকে বলে "Knowledge is worth as much as gold!"
অর্থাৎ অসির চেয়ে মসী বড়।
ব্যাংক ম্যনেজার হাসছে, কেননা তার লাভ ৮০ মিলিয়ন। ৭০ মিলিয়ন টাকার গরমিল করেও সে আরো ১০ মিলিয়ন টাকা নিজের পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেছে।
এই ব্যাপারটাকে বলে, "Seizing the opportunity/Daring to take risks!"
অর্থাৎ সুযোগ থাকলে তাকে কাজে লাগানোই উচিত। 
তাহলে এই ডাকাতিতে লাভ টা হইলো কার?
তাই লেখাপড়া ই সবচেয়ে বড় বিজনেস।

[ভিনদেশি রম্যরচনা থেকে অনুবাদকৃত]
Collected

কে এই ছক্কা ছয়ফুর?



নাইমুল ইসলাম:

ছক্কা ছয়ফুরের ব্যাপারে অনেক শুনেছি,  লেখা পড়লাম এই প্রথম। 
আরিফ রহমান এর থেকে কপি করে টাইমলাইনে রেখে দিলাম।
---------------------------------------------
এক অনন্য সাধারণ বাংলাদেশি! বাংলার ইতিহাসে আর কখনো এমন মানুষের জন্ম হবে কি না সন্দেহ!

তাঁর নাম ছয়ফুর রহমান। পেশায় ছিলেন বাবুর্চি। খুব নামিদামি বাবুর্চি এমন নয়। সিলেটের সালুটিকর নামের একেবারেই গ্রাম্য বাজারের পাশের ছাপড়া ঘরের দিন আনি দিন খাই বাবুর্চি। তাঁর দ্বিতীয় পেশা ছিল ঠেলাগাড়ি চালনা। যখন বাবুর্চিগিরি করে আয় রোজগার হতো না তখন ঠেলাগাড়ি চালাতেন। কিন্তু এই লোকটির ছিল অসম সাহস। যেকোনো ইস্যুতে তিনি একেবারেই জনসম্পৃক্ত রাজনীতি করতেন। ধরুন সালুটিকর থেকে শহরে আসার বাসভাড়া আটআনা বেড়ে গেছে। ছয়ফুর রহমান কোর্ট পয়েন্টে একটা মাইক বেঁধে নিয়ে ওইদিন বিকালে প্রতিবাদ সভা করবেনই করবেন।

নিজেকে আল্লার গোলাম মো. ছয়ফুর রহমান বলে পরিচয় দিতেন। এমপি থেকে রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্রপতি থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান বা তারও নিচে নেমে ইউপি চেয়ারম্যান পদে লড়াই; তার এসব লীলাখেলায় জনগণের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি হলেও তিনি একজন বীর মুক্তিযেদ্ধা ও সুবক্তা।

বক্তা হিসেবে অসম্ভব রসিক লোক ছিলেন। ছড়ার সুরে সুরে বক্তৃতা করবেন। তারপর মূল ইস্যু নিয়ে অনেক রসিকতা করবেন; কিন্তু দাবি তাঁর ঠিকই থাকবে।

তার বক্তৃতা শুনতে সাধারণ শ্রমজীবি মানুষের ভিড় হতো। তো বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরেই তিনি একটুকরো কাপড় বের করে সামনে রাখতেন। তারপর সবাইকে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় বলতেন, 'আমি এই যে আপনাদের জন্য আন্দোলন করতেছি, আমার মাইকের খরচ দিবে কে? মাইকের খরচ দেন।'

অদ্ভুত ব্যাপার হল, কোনোদিনই মাইকের খরচ উঠতে দেরি হয়েছে এমনটা হয়নি। দুই টাকা, এক টাকা করে তার সামনের কাপড়টি ভরে উঠত। তারপর যখন তিনশ' টাকা হয়ে গেল তখন মাইকের খরচ উঠে গেছে; তিনি তার কাপড়টি বন্ধ করে দিতেন।

অনেক সময় তার লেখা বই বিক্রি করেও জনসভার খরচ তুলতেন। অদ্ভুত কয়েকটি চটি সাইজের বই ছিল তার। একটির নাম 'বাবুর্চি প্রেসিডেন্ট হতে চায়'। সেই বইটির পেছনে তার দাত-মুখ খিচানো একটা সাদাকালো ছবি, নিচে লেখা 'দুর্নীতিবাজদেরকে দেখলেই এরকম ভ্যাংচি দিতে হবে'।

ছয়ফুর রহমান প্রথম দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আশির দশকের শুরুতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে। তখন দেশে সরাসরি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেন। তো সব প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নিরাপত্তার জন্যই সঙ্গে পুলিশ দেওয়া হলো। ছয়ফুর তাঁর নিরাপত্তার জন্য দেিয়া পুলিশ প্রত্যাখ্যান করে বললেন, 'এদেরকে খাওয়ানোর সাধ্য আমার নাই'। তবু সরকারি চাপাচাপিতে তাকে নূন্যতম দুইজন পুলিশ সঙ্গে নিতে হলো।

সে সময় দেখা যেত রিক্সায় দুইপাশে দুই কনেস্টবল আর ছয়ফুর রহমান রিক্সার মাঝখানে উঁচু হয়ে বসে কোথাও যাচ্ছেন।

নির্বাচনে খারাপ করেননি। সেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ৬০-৬৫ জন প্রার্থীর মাঝে আট নম্বর হয়েছিলেন। তারপর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'আমি দেশের আট নম্বর প্রেসিডেন্ট। ইলেকশনের দিন বাকি সাতজন মারা গেলে আমি প্রেসিডেন্ট হতে পারতাম।'

অদ্ভুত এবং মজাদার সব নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল তাঁর। যেমন, দেশের কোনো রাস্তাঘাট পাকা করার দরকার নেই! রাস্তা তুলে দিয়ে সেখানে খাল করে ফেলতে হবে! নদীমাতৃক দেশে সেই খাল দিয়ে নৌকায় লোকজন চলাচল করবে! খালের পানিতে সেচ হবে-সব সমস্যার সহজ সমাধান।

তিনি যদি কোনোভাবে ক্ষমতায় যেতে পারেন, তাহলে সিলেটের সুরমা নদীর উপরে বিশাল আকৃতির একটি দাঁড়িপাল্লা লটকানোর ওয়াদা করতেন। পাল্লার পাশে একটা অফিস খুলে একজন কর্মকর্তা নিয়োগ করবেন; যার কাজ হবে সিলেটে কোনো অফিসার নিয়োগ হলে প্রথমে তাকে দাঁড়িপাল্লায় তুলে ওজন করে অফিসে রেকর্ড রাখবেন। বছর ছয়মাস পরে তাকে আবারও পাল্লায় উঠানো হবে। এতে যদি দেখা যায় তার ওজন বেড়েছে তাহলে নির্ঘাত বোঝা যাবে সিলেটের মানুষের কাছ থেকে ঘোষ খাইয়া বডি বানাইছে। আর ঘোষখোর অফিসারের রক্ষা নাই।

ঘোষখোর ধরার এই অভিনব পদ্ধতির কথা তিনি সিলেটের কোর্ট পয়েন্টে টুলের উপর দাঁড়িয়ে প্রায়ই বক্তৃতা দিয়ে জনগণকে মাতিয়ে রাখতেন।

তাঁর দলের নাম ছিল 'ইসলামি সমাজতান্ত্রিক দল'। সেই দলে কোনো সদস্য নেওয়া হতো না। এমনকি উনার স্ত্রীকেও সদস্য করেননি। তিনি বলতেন, 'একের বেশি লোক হলেই দল দুইভাগ হয়ে যাবে'।

ছক্কা ছয়ফুর বেশ কয়েকবার নির্বাচন করেছেন। কখনোই তাঁকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি; সবাই মজার ক্যান্ডিডেট হিসেবেই নিয়েছিল। কিন্তু তিনি ১৯৯০ সালের উপজেলা নির্বাচনে সিলেট সদর উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে এক কাণ্ড ছিল বটে।

যথারীতি ছয়ফুর রহমান প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর প্রতীক-ডাব। তিনি একটা হ্যান্ডমাইক বগলে নিয়ে একা একা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। পোস্টার লিফলেট কিছুই নেই। কিন্তু বক্তৃতা তীর্যক। বাকি প্রার্থীদেরকে তুলাধুনা করে ফেলছেন। এরকম এক সন্ধ্যায় সিলেটের টিলাগড়ে তার উপর অন্য এক প্রার্থীর কয়েকজন পান্ডা হামলা করে বসল।

পরের দিন সেই খবর গোটা শহরে ছড়িয়ে পড়ল। সাধারণ মানুষ বিরক্ত হলো। আহা! একেবারেই সাধারণ একটা মানুষ, তাঁর সঙ্গে গুন্ডামি করার কী দরকার ছিল?

ওইদিন বিকালে স্কুল ছুটির পর প্রথম মিছিল বের হলো সিলেট পাইলট স্কুলের ছাত্রদের উদ্যোগে। মিছিল লালদিঘীর রাস্তা হয়ে বন্দরবাজারে রাজাস্কুলের সামনে আসার পর রাজাস্কুলের ছেলেরাও যোগ দিল। ব্যস, বাকিটুকু ইতিহাস। মুহূর্তেই যেন সারা শহরে খবর হয়ে গেল। সন্ধ্যার মধ্যেই পাড়া-মহল্লা থেকে মিছিল শুরু হলো ছয়ফুরের ডাব মার্কার সমর্থনে। একেবারেই সাধারণ নির্দলীয় মানুষের মিছিল। পাড়া মহল্লার দোকানগুলোর সামনে আস্ত আস্ত ডাব ঝুলতে থাকল। রিক্সাওয়ালারা ট্রাফিক জ্যামে আটকেই জোরে জোরে 'ডাব, ডাব' বলে চিৎকার শুরু করে! সেই স্লোগান ম্যাক্সিকান ওয়েভসের মতো প্রতিধ্বনি হয়ে এক রাস্তা থেকে আরেক রাস্তায় চলে যায়। অনেক প্রেসমালিক নিজেদের সাধ্যমতো হাজার দুইহাজার পোস্টার ছাপিয়ে নিজেদের এলাকায় সাঁটাতে থাকলেন। পাড়া-মহল্লার ক্লাব-সমিতিগুলো নিজেদের উদ্যোগে অফিস বসিয়ে ক্যাম্পেইন করতে থাকল।

অবস্থা এমন হলো যে, ছয়ফুর রহমানকে নির্বাচনী সভায় আনার এপয়েন্টমেন্ট পাওয়াই মুশকিল হয়ে গেল।

ছয়ফুর রহমান ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তাঁদের অফিস ছেড়ে দিল ছয়ফুরের নির্বাচনী প্রচার অফিস হিসেবে। পাড়ায় পাড়ায় ছেলেরা তাঁর নির্বাচনী জনসভার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু সেখানে আনতে হলেও আগে মূল অফিসে গিয়ে ৫০০ টাকা এডভান্স করে আসতে হয়, নইলে ছয়ফুর রহমান আসেন না! কারণ, তাঁর বাবুর্চিগিরি বন্ধ হয়ে গেছে। ফুলটাইম নির্বাচন করতে হলে সংসার খরচ দরকার।

আমার মনে হয় তিনিই একমাত্র প্রার্থী, যাকে তাঁরই নির্বাচনী জনসভায় নিয়ে আসার জন্য উল্টো টাকা দিতে হচ্ছে।

নির্বাচনের দিন জনগণ এক মহ-বিস্ময় প্রত্যক্ষ করল। আওয়ামীলীগের প্রার্থী ইফতেখার হোসেন শামীম জামানত রক্ষা করেছিলেন। আর মেজর জিয়ার দল সহ বাকি সবারই জামানত বাজেয়াপ্ত হলো। ডাব প্রতীকে ছয়ফুর পেয়েছিলেন ৫২ হাজার ভোট আর চাক্কা প্রতীকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ইফতেখার হোসেন শামীম পেয়েছিলেন ৩০ হাজার ভোট।

দক্ষিণ সুরমার এক কেন্দ্রে ছয়ফুর রহমানের ডাব পেয়েছিল ১৮০০+ ভোট! ওই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রজাপতি মার্কা পেয়েছে কুল্লে ১ ভোট।

আরও অবাক করা একটি ব্যাপার ঘটে নির্বাচনের দিন। প্রায় ভোটকেন্দ্রে জনগণ ডাব
মার্কার ব্যালেটের সাথে টাকাও ব্যালেটবাক্সে ঢুকিয়ে দেয়।

নির্বাচনের পরে ছয়ফুর রহমানের নাম পড়ে গেল ছক্কা ছয়ফুর। তিনি হাসিমুখে সেই উপাধি মেনে নিয়ে বললেন, 'নির্বাচনে ছক্কা পিটানোয় মানুষ এই নাম দিয়েছে'।

উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ছক্কা ছয়ফুর সফল ছিলেন। তাঁর মূল ফোকাস ছিল প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষা ঠিক করা। হুটহাট যেকোনো প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রাইমারি স্কুলে ঢুকে পড়তেন। শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলেই শোকজ করে দিতেন। সেই সময় প্রাইমারি স্কুলগুলো উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণে ছিল অনেকটাই।

তবে ছয়ফুর রহমানকে চ্যালেঞ্জ নিতে হয় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কারণে। ইউনিয়ন পরিষদের দুর্নীতি বন্ধে তিনি ছিলেন আপসহীন। এতে ক্ষিপ্ত চেয়ারম্যানরা একজোট হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিলে যতদূর মনে পড়ে তাঁর উপজেলা চেয়ারম্যানশিপ স্থগিত করে মন্ত্রণালয়। পরে ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে উপজেলা পরিষদ বাতিল করে দিলে ছক্কা ছয়ফুরের স্বল্পমেয়াদী জনপ্রতিনিধিত্বের চিরতরে ইতি ঘটে।

এক নির্বাচনে খরচের জন্য তিনি কিছু টাকা সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কোনো কারণে হয়নি। কিন্তু ছয়ফুর জনগণের টাকা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে সেই ঐতিহাসিক কোর্টপয়েন্টে আবার আসলেন। এসে বলেলেন, ‘আপনারা তো আমাকে নির্বাচনে খরচ চালানোর জন্য কিছু টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু যেহেতু নির্বাচন হচ্ছে না; তাই আমি আপনাদের টাকাগুলো ফেরত দিতে চাই।’ লোকজন অনেক খুশি হয়ে বলল, ‘আমরা টাকা ফেরত নিতে চাই না; এগুলো আপনি নিয়ে নিন’

তিনি যখন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলেন তখন রেজিষ্টারি মাঠে তার প্রথম জনসভা ছিল। হাজার হাজার মানুষের ঢল। তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তিনি তার বক্তব্যে প্রথমেই সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন,
‘আমার নির্বাচনের শুরুতে আমার দুইটা ঠেলাগাড়ি ছিল। সংসার চলে না তাই একটি বেছি লাইছি। আর আমার বাড়িতে আপনারার বসাবার জায়গা ও নাই। পয়লা যখন রিলিফের চালান পাইমু সেখান থেকে কিছু বেছিয়া আপনারার বসাবার জায়গা করবো যদি আপনারা অনুমতি দেন।’

তখন হাজার হাজার জনগণ একসাথে হেসে উঠে বলল, ‘অনুমতি দিলাম’।

তিনি ছোট ছোট কয়েকটি বইও রচনা করেন। 'বার্বুচি প্রেসিডেন্ট হতে চায়', ‘পড়, বুঝাে, বল’ তার আলোচিত বই।

অভাবের কারনে তিনি নৌকার মাঝিগিরিও করেছেন।বক্তৃতায় নিজেকে আল্লার গোলাম মোঃ ছয়ফুর বলে পরিচয় দেওয়া ছক্কা ছয়ফুর ওরফে ডাব ছয়ফুর আজ আর নাই। কিন্তু তাঁর কথাগুলো মানুষের অন্তরে রয়ে গেছে।

জীবনের শেষ সময়ে এই মহান মানুষটি সিলেট ডিসি অফিসের বারান্দায় চিকিৎসা খরচের দাবীতে অনশন করেছিলেন এবং দাবীও আদায় করেছিলেন। চিরকালীন দারিদ্রের সঙ্গে যুদ্ধ করেই এই মানুষটি পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। সরলপ্রাণ এই সমাজবিপ্লবীর প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা।

নোট : এই লেখার কিছু অংশ একটা ছদ্মনামের আইডি থেকে পাওয়া। পরে ওই লেখাটা দেখা যায় আরিফ জেবতিক নামে একজন অনেক আগে লিখেছেন। আর বাকি অংশ লোকমুখে শোনা থেকে আমি লিখেছি।

লিখেছেন আরিফ জেবতিক। কালের কন্ঠে পত্রিকায় আবুল কালাম আজাদের ফেসবুক থেকে নেয়া বলে প্রকাশ করেছিল।

প্রিয় স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন



আপনার ক্ষুরধার মস্তিষ্ক আমাদের গর্ব করবার মত একটা স্মৃতিসৌধ উপহার দিয়েছিল। আমরা আপনাকে একটি যন্ত্রণাদায়ক জীবন ও মৃত্যু উপহার দিয়েছি। আপনার মৃত্যুদিন আমরা ভুলে গেছি। গুগল নিউজের গত কয়েক দিনের হিস্ট্রি ঘেঁটেও বাঙলায় আপনার মৃত্যুদিন পালন করার কোন খবর দেখলাম না।
আমাদের ক্ষমা করে দিবেন। 

"স্মৃতিসৌধ বানাবার পর খুনের হুমকি দিয়ে বেনামি চিঠি পাঠানো হত তাঁকে প্রতিনিয়ত। একটা সময় হুমকি পেতে পেতে প্রবলভাবে মানসিক বিপর্যয় ঘটে তাঁর। অ্যা বিউটিফুল মাইন্ড মুভিটা যারা দেখেছেন, তারা বুঝতে পারবেন আরও ভালোভাবে। সর্বক্ষণ ভয়ে থাকতেন মানুষটা,নিষেধাজ্ঞা আর হুমকির বাস্তব এবং অলীক ভয় ঘিরে থাকতো তাকে,অসম্ভব প্রতিভাবান এই মানুষটার চিন্তা-চেতনাই এলোমেলো করে দিয়েছিল।এমনভাবেই যে জীবদ্দশায় দুই-তিন বারের বেশী স্মৃতিসৌধে যাওয়া হয়নি তাঁর।
অথচ এতো বড় একজন রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব হওয়া সত্ত্বেও তাঁর চিকিৎসা তো দূরে থাক,সামান্য খোঁজটাও কেউ নেয়নি।

যেন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় অপরাধ ছিল ৭টা স্তম্ভে একটা জাতির সবচেয়ে গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরা!

স্মৃতিসৌধের ডিজাইন করার সম্মানী পাবার কথা ছিল ২ লাখ টাকা, আয়কর চাওয়া হয়েছিল এর ৫০%, অর্থাৎ এক লাখ টাকা। ১৯৮২ সালের ১৬ ডিসেম্বর যখন জাতীয় স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করেন সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মানুষটাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। রাষ্ট্রীয় ভিভিআইপিরা চলে যাওয়ার পর তিনি সেখানে গিয়ে জনতার কাতারে দাঁড়িয়ে দেখেছিলেন তাঁর অমর সৃষ্টি!
একজন সৈয়দ মাইনুল হোসেন এবং তাঁর প্রতি রাষ্ট্রের এবং জনগণের সম্মাননা!" আমাদের সর্বান্তকরণে ক্ষমা করবেন স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন।

*সংগৃহীত 

কুড়িগ্রামে গলা কাটা লাশ উদ্ধার



কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে আব্দুল মজিদ ওরফে মজু পাগলা (৫০) কে গলা কেটে হত্যা করে তার নতুন অটোরিক্সা ছিনতাই করেছে দুবৃত্তরা। গত সোমবার দিবাগত রাতে আন্ধারীরঝাড় ইউনিয়নের বীর-ধাউড়ারকুটি গ্রামের বড়ইতলা ব্রীজের নীচে তার গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। নিহত মজু পাগলা ওই ইউনিয়নের খামার আন্ধারীরঝাড় গ্রামের মৃত: ময়েজ উদ্দিনের পূত্র। সে ৫দিন পূর্বে অটোরিক্সাটি ক্রয় করেছিল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবীর জানান, রিক্সা ছিনতাইয়ের উদ্দ্যেশে গলা কেটে হত্যাকান্ডটি ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং লাশটি ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
অটোরিক্সা চালক আব্দুল মজিদ মজু পাগলার হত্যায় জড়িত মিজানুর রহমানকে আটক ক‌রে‌ছে এবং অ‌টো রিক্সা সহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

ধন্যবাদ ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবীর সহ পুলিশ প্রশাসনকে।

জীবনের বাঁকে বাঁকে | কাজী শফিকুর রহমান শফিক

কাজী শফিকুর রহমান শফিক



সময় বহমান। স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক #সুরা_আছরে সময়ের কসম দিয়ে বলেছেন - মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শরিয়ত মোতাবেক না চলার কারণে তো বটে, ফলে মানুষের নৈতিকতার হ্রাস এবং লোভ লালসার পরিমাণ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ অধেল অর্থ এবং অসম প্রতিযোগিতার পিছনে ছুটতে গিয়ে শারীরিক পরিশ্রম কিংবা ব্যায়াম না করা নেশাগ্রস্ত দ্রব্যাদি গ্রহণ এবং অতিরিক্ত খাবার খেতে গিয়ে নিজের শরীর ধ্বংস করে চলছে।

#সুরা_আছরেই মহান আল্লাহ্ পাক আরো বলেছেন  ক্ষতিগ্রস্ত তারাই হবেন না - যাঁরা তাঁর প্রতি ঈমান এনেছেন, সৎকাজ করেছেন, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়ে চলছেন এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছেন। আর মানুষ যদি তা পালন করে অবশ্যই অবশ্যই নৈতিকতার পথে চলবে। দুর হবে সব অন্ধকার।

কৈশোরকালে বিশেষ করে ঈদে এবং বিকালের সময় সাইকেল চালানো কেন্দ্র করে বড় ভাইয়ের সাথে ছোট খাটো বসসা লেগে যেতো।বিশ্ববিদ্যালয় পড়াকালীন পকেটটি ঠুঠো জগন্নাথ হলেও প্রেস্টিজ জ্ঞান ছিল ভরপুর। তাই বাসার আদরের সাইকেলটি অনাদরে এক কোনে পড়ে থাকতে থাকতে নষ্ট হয়ে গেল।

১৯৯৬ সালে নিজের একখানি মোটরবাইক হলো। মোটরবাইকটি হাতে নিয়ে সেদিনেই প্রতিজ্ঞা করলাম - একান্ত প্রয়োজন না পরলে সন্ধ্যায় পর বাহিরে আড্ডা মারতে মোটরসাইকেলটি চালাবো না। রিক্সা বা অন্যকোন বাহনে না চড়ে পা হেটে বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা মারতাম। শারীরিক কসরত না করলেও প্রায় প্রতিদিন কমপক্ষে তিন চার কিলোমিটার পথ হাটাহাটির অভ্যাস হয়ে গেল।

 আজও এই বয়সে বন্ধু বাবুল ( সমাজ) এর সাথে প্রায় তিন  কিলোমিটার দূরত্বের  পৌরমার্কেটে হেটে গিয়ে বাবুল (স্বর্ণ) এর দোকানে আড্ডা মারি। ফিরার পথে অতিরিক্ত ভার না হলে হাতে বাজারের ব্যাগ নিয়ে কোন প্রকার দুশ্চিন্তা না করে আবারো প্রায় তিন কিলোমিটার দূরত্বের পথ হেটে বাসায় ফিরি। মানুষ কে কীভাবে নিবে সেটি তাদের ব্যাপার কিন্তু নিজের শরীর তো আগে।

বর্তমান প্রজন্মের অনেকে ঘর থেকে বেড়াতে চায় না। জাঙ্ক ফুড গ্রহণ, ব্যায়াম আর খেলাধুলা না করার কারণে স্থূল থেকে স্থূলকায় হয়ে পড়ছে।প্রতিবছর মানুষ হৃদরোগ এবং ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছে। ফলে দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা হারিয়ে যাচ্ছে। খাদ্যের ভেজালে দেশ ছয়লাপ হয়ে যাচ্ছে। জাতীয় পত্রিকায় প্রায় দেখা যায় রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করে ফলমূল টাকটা রাখা কৃত্রিম রঙ এবং রাসায়নিক ফ্লেভার মিশ্রিত করে ফলের জুস সহ বিভিন্ন পানীয় এবং জাঙ্ক ফুড তৈরি করছে। এসব অতি মুনাফাখোরদের জন্য আমরা আমজনতা ক্যানসার নামক জীবানু নিয়ে মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছি। সত্যি এ যুগে মানুষ নিজের ইচ্ছায় কিংবা পরোক্ষভাবে কতই না ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

গত দুবছর আগে শখ করে সাইকেল কিনলাম। কয়েকদিন সাইকেল নিয়ে শহরে ঘুরাঘুরি পর্যন্ত করেছিলাম। অনেকে বিস্মিত চোখে তাকিয়ে পর্যন্ত দেখলো। তারপর কী যে হলো সাইকেল চড়া বাদ পরলো। গতকাল ( ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮) সাইকেলটির মেরামত করে আজ আবারো সেটি নিয়ে ধরলার নদীর দিকে গেলাম।

নদীর পানি বাড়ছে। জানিনা সামনে কোন বিপদ আছে কিনা। আমরা মরছি প্রাকৃতিক কারণে, মরছি নির্বুদ্ধিতার কারণে আবার মরছি অতি মুনাফাখোর লোভী ব্যবসায়ীর কারণে।

মহান আল্লাহ্ পাক আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করুন।

কবিতা: দেখা | নাজমীন মর্তুজা

নাজমীন মর্তুজা


কবিতা: দেখা | নাজমীন মর্তুজা

জানালায় থুতনি ঠেকিয়ে চাঁদ দেখছি
নীল কিরণ কার কথা বলে ...
যামিনীর শেষ  যামে চলো চুমুক দেই
চাঁদের কিরণে ডানার পালক ভারী হয়ে যাচ্ছে ,
দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে হুঁশ ...
যামের পর যাম ....
এই বারে হুঁশ বেহুঁশ !
ঠোঁটের ভেতরে ঠোঁট
কথার ভেতরে কথা
    শুধু
চোখের ভেতরে চোখ
দেখার ভেতরে দেখা
    আর
আমাকে চাঁদের কিরণ বানালে
হই আলোর ভারে একা !

অঙ্গিকারনামা | আনজানা ডালিয়া

আনজানা ডালিয়া

অঙ্গিকারনামা | আনজানা ডালিয়া

আমি নিন্ম স্বাক্ষরকারী অঙ্গিকার করছি,
আমি আর কোনদিন-
চাঁদনীরাতে লেকের স্বচ্ছ জলে দুজনের মুখচ্ছবি দেখতে চাইবনা।
সাগরের বালুকায় তোমার নাম লিখবোনা লাভবৃত্তে।
পাহাড়চূড়ায় তোমায় নিয়ে মেঘের সাথে লুকোচুরি করবোনা।
চাইবোনা শীতের সকালে বকুল এনে মালা গেঁথে দাও।
বলবোনা সাঁঝবেলায় আমার জানালায় একটিবার উঁকি দিয়ে চোখাচোখি হতে।
কারন আমি প্রতিদিন,
তারা গুনতে গিয়ে শুকতারাটির পাশে তোমাকেও গুনি।
তারার দেশে দারুন ভাব নিয়ে আছো তুমি।


নাগেশ্বরীর নেওয়াশীতে ডাকাতের হানা


গতরাত(০৬/০১/১৯) এ কুড়িগ্রাম জেলাস্থ নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের ঘরজেয়াটারী গ্রামের ইসমাইল শেখের বাড়ি ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ইসমাইল শেখের
পিতাঃআলহাজ্জ মাওঃ মোঃমজিবুর রহমান শেখ,
পেশাঃশিক্ষক,গংগারহাট দাখিল মাদ্রাসা।
ঠিকানাঃ ৭নং নেওয়াশী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড এর ঘরজেয়াটারী গ্রাম।

বিস্তরিত পড়ুন ইসমাইল হোসেন পাঠানো নিচের বার্তাটিতেঃ-
ভাই,
আমি তো আমার বাবাকে নিয়ে রংপুরের এক ক্লিনিকে আছি। বাবা খুব অসুস্থ। আমার গ্রামের বাড়িতে ছোট ভাই, নানি এবং ফুপু আছে। ওনাদের সবাইকে অজ্ঞান করে দুর্বৃত্তরা বাড়ি ডাকাতি করেছে। তিন ভরি সোনার অলংকার, নগদ ৪১হাজার ৬শত টাকা, পানির পাম্প ১টি, কাপড়, মায়ের চেক বইসহ অনেক কিছু নিয়ে যায় ডাকাতরা। বাড়ির আটটি রুমের দরজা ভেঙ্গে এই কাজগুলো করেছে। গত রাতে এই ঘটনা ঘটে।

ফেব্রুয়ারিতে- প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা


সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগের পরীক্ষা (এমসিকিউ পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষা) আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বিষয়ে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া পরবর্তী ২ মাসের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষার শেষ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এবার প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ২৪ লাখের বেশি চাকরিপ্রত্যশী আবেদন করেছেন। সারাদেশে ১২ হাজার আসনের বিপরীতে তারা এ ‘যুদ্ধে’ বসবেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এ এফ এম মনজুর কাদির জাগো নিউজকে বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সঙ্কট নিরসনে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হয়। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হওয়ায় কথা থাকলেও নানা কারণে তা পিছিয়ে গেছে। সময় বিলম্ব হলেও পরীক্ষার আয়োজনের সকল প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারিতে লিখিত পরীক্ষা আয়োজনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে এই মন্ত্রণালয়ে নতুন মন্ত্রী আসছেন, তার অনুমোদন নিতে হবে। নতুন মন্ত্রী অনুমোদন দিলে ফেব্রুয়ারিতে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করতে কোনো বাঁধা থাকবে না। পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা শেষ করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত সভা বসার কথা রয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। লিখিত পরীক্ষার পর নতুন করে আরও ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে
এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য বারের চেয়ে ২০১৮ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী আবেদন করেছেন। গত বছরের ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে ২৪ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।
আবেদনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪ লাখ ৫২ হাজার ৭৬০, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৫, রাজশাহী বিভাগে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৯২৫, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩০, বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮২৭, সিলেট বিভাগে ১ লাখ ২০ হাজার ৬২৩, রংপুর বিভাগে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৩৬৮ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২ লাখ ৮২ হাজার ৪৩৭ জন আবেদন করেছেন।
ডিপিই কর্মকর্তারা জানান, সর্বশেষ নিয়োগে প্রায় ১২ লাখ প্রার্থী আবেদন করেছিল। এই হিসাবে আবেদনকৃত প্রার্থীর সংখ্যা এবার দ্বিগুণ। গত নিয়োগে সারাদেশে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৬২। এবার দ্বিগুণ প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয় ২০ সেটের বেশি প্রশ্ন তৈরি করা হতে পারে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরিসহ পরীক্ষা গ্রহণে নেতৃত্ব দেয় ডিপিই। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আরও কড়াকড়ি আনা এবং সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে এবার প্রশ্ন নির্বাচন ও আসন বিন্যাস নির্ধারণ করবে মন্ত্রণালয়।
নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। পরীক্ষার সময়সূচি, ওএমআর ফরম ডিজাইন ও মূল্যায়ন, ফলাফল প্রকাশ কার্যক্রম কোন পদ্ধতিতে করা হবে তা নিয়ে বুয়েটের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এবারও আগের মতই লিখিত ও মৌখিক দুই স্তরেই পরীক্ষা নেয়া হবে। আগের নিয়ম অনুযায়ী এমসিকিউ পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষা ৮০ নম্বর ও ভাইভায় ২০ নম্বর থাকবে।
জানা গেছে, বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৬৪ হাজার ৮২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক শূন্য রয়েছে। এ কারণে নতুন করে আরও ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পুরনো নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তার আলোকে নারী আবেদনকারীদের ৬০ শতাংশ কোটায় এইচএসসি বা সমমান পাস এবং পুরুষের জন্য ৪০ শতাংশ কোটায় স্নাতক বা সমমান পাস চাওয়া হয়।
লিখিত পরীক্ষায় আসন প্রতি তিনজনকে (একজন পুরুষ ও দুইজন নারী) নির্বাচন করা হবে। মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
প্রার্থীরা dpe.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। এছাড়া ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশাবলী এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) পাওয়া যাবে।
২৮ বছর পর সিলেট যুগের অবসান
সেই ১৯৯১ সালের পর এই প্রথম অর্থ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন এমন একজন, যার বাড়ি সিলেট বিভাগের বাইরে। অর্থাৎ দীর্ঘ ২৮ বছর একচেটিয়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন সিলেট বিভাগের কেউ না কেউ। এবার তার অবসান ঘটছে।
রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম জানান, গঠিত হচ্ছে ৪৬ সদস্যের মন্ত্রিসভা। এই মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী থাকছেন। এর মধ্যে আ হ ম মোস্তফা কামাল এমপিকে গুরুত্বপূর্ণ অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে দেয়া হচ্ছে। কুমিল্লা-১০ আসন থেকে তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচীত হন।
বঙ্গভবনে সোমবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ হবে। এরপর থেকেই নতুন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীরা তাদের দায়িত্ব শুরু করবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ১৯৯১ সালে স্বৈর শাসকের অবসান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় গঠিত প্রথম সরকারের আমলে পঞ্চম জাতীয় সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান এম সাইফুর রহমান। অর্থ মন্ত্রণালয়ে সেই থেকে শুরু হয় সিলেট যুগ। সাইফুর রহমান ছিলেন সিলেট-১ ও মৌলভীবাজার-৩-এর সংসদ সদস্য।
এরপর ১৯৯৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ বাতিল হলে সে বছরই সপ্তম জাতীয় সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান শাহ এ এম এস কিবরিয়া। ২০০১ সালে বিএনপি আবারও সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ফের সাইফুর রহমান অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। এই সরকারের আমলেই আওয়ামী লীগের সফল অর্থমন্ত্রী এবং তৎকালীন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য শাহ এ এম এস কিবরিয়া ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি তার নির্বাচনী এলাকা সিলেটের হবিগঞ্জে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন।
শাহ এ এম এস কিবরিয়ার অবর্তমানে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ যখন আবার সংসদ গঠন করে, তখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান আবুল মাল আবদুল মুহিত। সিলেট-১ আসনের এই সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নবম ও দশম সংসদে নিরিবচ্ছিন্নভাবে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে ১২টি বাজেট ঘোষণা করেন। এ সময়ে নানা মন্তব্য করে আলোচনায় থাকেন তিনি। তার আমলেই মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। অবশেষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আবুল মাল আবদুল মুহিত রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার ঘোষণা দিলে তার ছেড়ে দেয়া আসন সিলেট-১-এ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পান তারই ছোট ভাই এ কে আবদুল মোমেন।
এদিকে বিভিন্ন সময় অবসরের কথা বলে আসলেও গত ১ জানুয়ারি সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে আরও এক বছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারেন তিনি। বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোনও কিছু বললে, আমি না করি না।

সূত্রঃ ঢাকা লাইভ