This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

আমার কোন দুঃখ নাই | আনু ইসলাম

আমার কোন দুঃখ নাই
আনু ইসলাম






কালে-অকালে চলার পথে
কোন রমনীর রঙিন হাত থেকে
একটিও গোলাপ পেলাম না বলে
আমার কোন দুঃখ নাই,
কেননা, ঐ একটি গোলাপের বিপরীতে
হৃদয়ের জমিনে আমি-
হাজারো গোলাপ ফুঁটায় দিয়েছি তাই।
.
হাতের'পর হাত রেখে
ফুঁটন্ত সকালে অথবা গোধূলি সন্ধ্যে
কেউ এক-সাথে চললো না বলে
আমার কোন দুঃখ নাই,
কেননা, ঐ একটি হাতের বিপরীতে
পথে-পথে, রাজপথে-
লক্ষ-কোটি বিপ্লবী বাহুর ঝংকার শুনতে পাই।
.
শুধু দারিদ্র্যের দায়ে
মাঠে-ঘাঠে, পৃথিবীর প্রান্তে-প্রান্তে
উপেক্ষা, অবহেলার শেষ নাই বলে
আমার কোন দুঃখ নাই,
কেননা, ঐ উপেক্ষা, অবহেলার বিপরীতে
তোমাদের ভব-দরিয়ায় আমি-
নিযুত-নিযুত প্রেমের সাম্পান বাইয়া যাই।

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ৩বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ


কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ৩ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হোসেন আলী (১৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার(২৭মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে উপজলোর সদর ইউনিয়নের বাওয়াইরগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় শনিবার(২৮র্মাচ) নির্যাতিত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ।
অভিযুক্ত হোসেন আলী রৌমারী সদর ইউনিয়নের বাওয়াইরগ্রাম এলাকার মৃত কোরবান আলীর ছেলে।
রৌমারী থানার ওসি আবু মো: দিলওয়ার হাসান ইনাম এ তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন।

নির্যাতনের শিকার শিশুটির পরিবার ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকালে সু-কৌশলে ওই শিশুটিকে কোলে নেয় প্রতিবেশী হোসেন আলী। সরল বিশ্বাসে ওই শিশু সন্তানকে ওই যুবকের কাছে রেখে বাড়ির পাশে জিঞ্জিরাম নদীতে গোসল করতে যায় শিশুটির মা। এসময় সুযোগ বুঝে শিশুটিকে পাশের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে হোসেন আলী। এ সময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে ধর্ষক হোসেন আলী পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজলো স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই হোসেন আলীকে আটক করে থানায় নেয়।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিত শিশুর পরিবারসহ এলাকাবাসী। রৌমারী থানার ওসি আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইনাম জানান, অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। নির্যাতিত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। চিকিৎসকের বরাদ দিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, প্রাথ‌মিকভা‌বে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।



যেখানে ভুল করে ৯৯শতাংশ মানুষ!


আমরা জানি, সরলীকরণের বাইবেল খ্যাত টেকনিক হচ্ছে- BODMAS.

[যেখানে, B তে ব্রাকেট, O তে এর, D তে ভাগ, M তে গুণ, A তে যোগ এবং S তে বিয়োগ]
বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, 'এর' এবং 'গুণ' আপারেটর দুইটির ক্ষেত্রে দুই বা ততধিক সংখ্যাকে গুণ করতে হয়। কিন্তু এদের মধ্যে রয়েছে বিস্তর তফাৎ। কেননা, 'এর' অপারেটরের কাজ করতে হয় ভাগের আগে কিন্তু গুণ অপারের কাজ করতে হয় ভাগের পরে। অর্থাৎ, আমরা এই সিদ্ধানে উপনীত হতে পারি যে, সরলীকরণের ক্ষেত্রে-
(২ এর ৩) এবং (২×৩) একই জিনিস নয়।

এখন ম্যাথটি সমাধান করা যাক-
১২÷২(৬-৭+৪)×২
=১২÷২(১০-৭)×২
=১২÷২(৩)×২
=১২÷৬×২
=২×২
=৪

সমস্যা এবং সমাধাণঃ
উপর্যুক্ত সমাধানে ৩য় লাইনটি[১২÷২(৩)×২] এই ম্যাথটির ক্ষেত্রে সবচেয়ে ক্রিটিক্যাল। যত ভুল বুঝাবুঝি সব এই লাইনটির কারণেই। এই লাইনে আপনি কোন কাজটি আগে করবেন তা হচ্ছে মূল কথা। এখানে ১২÷২ আগে নাকি ২(৩) আগে নাকি (৩)×২ আগে নাকি ২(৩)×২ আগে? এই প্রশ্নের সমাধান পেতে হলে জানতে হবে ২(৩) এর গোপন রহস্য। এখানে ২(৩) মূলত গানিতিক অপারেটর 'এর' কে নির্দেশ করে। অর্থাৎ- ২(৩) হচ্ছে মূলত '২ এর ৩'। তাহলে লাইটির মধ্যে পর্যায়ক্রমে আগে ÷ চিহ্ন, তারপর 'এর' চিহ্ন, তারোপর হচ্ছে × চিহ্ন। তাহলে BODMAS অনুসারে আগে 'এর' অর্থাৎ ২(৩) এর কাজ করতে হবে।

এখন ৪র্থ লাইন[১২÷৬×২] এ রয়েছে ÷ এবং × চিহ্ন। আপনি কোন কাজটি আগে করবেন? অবশ্যই '১২÷৬' এর কাজ। কারণ ভাগের পরে গুণের কাজ করতে হয়।

এখন প্রশ্ন হতে পারে যে, ২(৩) কিভাবে 'এর' অপারেটরকে নির্দেশ করে? তাহলে চলুন...
প্রথমে আমরা সাধারণ ক্যালকুরেটরের কথায় আসি। এই ক্যালকুলেটরগুলো এমন ভাবে প্রোগ্রামিং করা যাতে গাণিতিক অপারেশনের মৌলিক সামান্য কিছু অপারেশণ করা সম্ভব। যেমন সরলীকরণের ক্ষেত্রে যে ৬টি গাণিতিক অপারেটর(ব্রাকেট, এর, ভাগ, গুণ, যোগ, বিয়োগ) কাজ করতে হয় তার মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বন্ধনী এবং 'এর' এর কাজ সাধারণ ক্যালকুলেটর করতে পারে না। এটি এই ক্যালকুলেটরের সীমাবদ্ধতা। আপনি এ সকল ক্যালকুলেটরে যখনি ১২÷২(৬-৭+৪)×২ তুলতে যাবেন দেখবেন ১২÷২×(৬-৭+৪)×২ লেখা হয়ে গেছে। আর এখানেই ঘটলো বড় ভুল(অর্থাৎ ভাগের পর ২ এর ঠিক পরে শুধু প্রথম বন্ধনী না ওঠে ×( উঠেছে। এভাবেই ভুলভাবে সমাধান আসে ৩৬। [স্ক্রিন শর্ট ১ দেখেন]

এখন আপনি যদি ঐ অতিরিক্ত গুণ চিহ্নটি তুলে ans পেতে ক্যালকুলেটর চাপেন তবে ক্যালকুলেটর বলবে 'wrong format' অথবা, ক্যালকুলেটর কোন কাজ-ই করবে না। [স্ক্রিন শর্ট ২ দেখেন]

তাহলে কী ম্যাথটি আমরা ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে করতে পারবো না???
পারবো, অবশ্যই পারবো। এর জন্য প্রয়োজন একটি সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর।

স্ক্রিন শর্ট ৩ এ দেখুন আমি নিজ ইচ্ছায় ম্যাথটিতে একটি অতিরিক্ত × চিহ্ন ব্যবহার করেছি। অবশ্য এর একটি বিশেষ কারণ আছে। তা পরে বলছি। দেখুন এক্ষেত্রে উত্তর দেখাচ্ছে ৩৬।

এখন স্ক্রিন শর্ট ৪ লক্ষ করুণ-

এখানে ম্যাথটি ঠিকঠাক উঠানো হয়েছে। চাইলে আপনিও প্রাকটিস করতে পারেন। এখন উত্তর দেখেন ৪(চার)। তো কথা হচ্ছে যে, যদি আমরা ২(৩)×২ এর ক্ষেত্রে ২(৩) কে ২×৩ হিসাবে বিবেচনা করি তবে স্ক্রিন শর্ট ৩ এবং ৪ এ একই উত্তর দেখার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে না। তাহলে বুঝতে হবে যে ২(৩) অংশটি গুণ কে বুঝাচ্ছে না। আর যদি গুণ না বুঝায় তবে ২(৩) কী???
আসলে ২(৩) অংশটিকে প্রথমত আপনি ভাবতে পারেন যে, ২ এর ৩ হিসাবে, অন্যথায় ভাবতে পারেন যেহেতু (৩) এ এখনো প্রথম বন্ধনী আছে তাই অন্য কোন গাণিতিক অপারেটরের আগেই ২(৩) অংশটির কাজ করে বন্ধনী বিলুপ্ত করতে হবে।

তাহলে, ম্যাথটির সঠিক উত্তর ৪ যা সায়েন্টিফিক্যারি প্রামিণত হলো।

আমি ছোট মানুষ। আমার সমাধানে যদি কোন ত্রুটি বিচ্যুতি থাকে তা জানালে আমি উপকৃত হব।

আপনাদের শুভকামনায় আমি- আনু ইসলাম

বিজয় আসলে | ক্লান্ত মুসাফির



বিজয় যে দিন আসবে বন্ধু
সবাই দেখবে চেয়ে।
বুকে জড়িয়ে নিবে তোমায়
অনেক ভালপেয়ে।
বলবে সবাই তোমায় এসে
তোমার সাথে ছিলাম।
তোমার জন্য তুলসি তলায়
জল দিয়েছিলাম।
ফুলের মালা,গিফট উপহার
আরও কত কিছু।
সবায় তখন সালাম দিয়ে
ঘুরবে পিছু পিছু।
খাতির যত্ন করবে তোমার
ধরবে তোমার পা।
স্বার্থ খানি শেষ হলেই
খুজে পাবে না....

৩০ ডিসেম্ভরের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা ও ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে

নাহিদ হাসান নোলেজ

৩০ ডিসেম্ভরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ‘ডাকসু’ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হয়েছে । আগের ৪ বারের মতো বাতিল না হলে, আগামী ১১ মার্চ -এ নির্বাচন হওয়ার কথা । কেমন নির্বাচন হবে ডাকসুতে ? ৩০ ডিসেম্ভরের মতো ? আরো অভিনব ? ফ্রি এন্ড ফেয়ার ? এসব প্রশ্ন মাথায় না নিয়ে নির্বাচনের আলাপে কেউ ঢুকতে পারবেনা আসলে । ১৯৭৩ থেকে ২০১৮ এর নির্বাচন সমুহের ইতিহাস মাথায় নিলে দেখা যাবে, ডাকসু’র জন্য ন্যুনতম গ্রহনযোগ্য একটি নির্বাচন করতে হলে কমপক্ষে ২টি শর্ত পুরণ করতে হবে ;
১ । নির্বাচনপূর্ব স্বাভাবিক, নিরাপদ পরিবেশ ও পরিস্থিতি নিশ্চিত করা ।
২ । নির্বাচনের দিনের পরিবেশ এবং কারচুপি মুক্ত নির্বাচনী ফলাফল নিশ্চিত করা । যার জন্য কমপক্ষে নীচের শর্ত গুলো পুরণ করতে হবে :
ক) এমন একটি ব্যবস্থা করতে হবে যাতে কেউ আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে না রাখতে পারে অর্থাৎ ভোট গ্রহন শুরুর আগে দায়িত্ব পালনরতদের মিডিয়াকে ডেকে এনে দেখাতে হবে যে ব্যালট বাক্স শুন্য আছে ।
থ) ভোট গ্রহন হতে হবে সবার জন্য নিরাপদ এবং উন্মুক্ত স্থানে অর্থাৎ হলে হলে ভোট গ্রহনের পুরাতন ব্যবস্খার পরিবর্তে একাডেমিক ভবনে বা সুবিধাজনক অন্য কোন স্থানে ভোট গ্রহনের ব্যবস্থা হবে ।
গ) ভোটোরের উপস্থিতি, অবস্থান এবং চলাচলকে নিরাপদ করতে হবে অর্থাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ- নির্গমন এবং অবস্থানের সময়কালে যাতে কেউ কাউকে আক্রমন, ভয়ভীতি প্রদর্শন বা নিপীড়ন- নির্যাতন না করতে পারে তার জন্য পর্যাপ্ত সিসি টিভি স্থাপন করতে হবে । সকল ধরনের মিডিয়ার স্বাভাবিক উপস্থিতিরি পরিবেশ ও ব্যবস্থা করতে হবে ।
ঘ) বিকাল ৪-৫টার মধ্যে অংশগ্রহনকারী সংগঠন,ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে ভোট গণনা শেষ ও ফল ঘোষনার ব্যবস্থা করতে হবে ।
এ কয়েকটি শর্ত পুরণ করার দাবীতে সকল ছাত্র সংগঠন ও সাধারন ছাত্রদের এমনভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন,যাতে তারা এ দাবী পুরণে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষকে বাধ্য করতে পারে । আর তা না করতে পারলে মাস্তানি-গুন্ডামী-চ্যচরামি সবই ‘গণতান্ত্রিক’ বৈধতা পেয়ে যাবে । 
ভাবুন কি করবেন । দেশ আপনার, ভবিষ্যতও আপনার।

লেখকঃ সভাপতি, রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি।
nahidknowledge@gmail.com

অপার সম্ভাবনার কুড়িগ্রামের সকল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো হবে – প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন




এক বছরের মধ্যে রংপুরে গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থা হবে বলে জানালেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন । তিনি আরও বলেন, রংপুর বিভাগকে শিল্পাঞ্চলে পরিণত করতে হলে গ্যাসের বিকল্প নেই। আমরা সেই চেষ্টাই করছি।
শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে কুড়িগ্রাম সোসাইটির এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি ।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের বৈষম্য রাখতে চাননা। তিনি উত্তরাঞ্চলকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।বিদ্যুতর ব্যবস্থা হয়ে গেছে এখন গ্যাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।


কুড়িগ্রামবাসীর বিভিন্ন দাবীর প্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামকে ভাল বাসেন। আমাকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন শুধু আমার মন্ত্রণালয়ের উন্নতির জন্য নয়, কুড়িগ্রামের জন্যও । আপনারা আস্থা রাখুন । কুড়িগ্রাম বদলে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন,  অপার সম্ভাবনার কুড়িগ্রামের সকল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো হবে। নদী বন্দরকে গতিশীল করা হবে। নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিভিন্ন উপজেলার দুর্গম অঞ্চল গুলোর সাথে জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের জন্য  সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন রাস্তা কাঁচা থাকবেনা । যে সমস্ত নদীতে ব্রিজ দরকার সেগুলো করা হবে। কুড়িগ্রাম নিয়ে সামগ্রিক পরিকল্পনা রয়েছে।
লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালুর ব্যপারেও প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলেও প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন। এছাড়া  পাট চাষে বিখ্যাত উলিপুরের পাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হবে তিনি জানান।

প্রতিমন্ত্রী জাকির বলেন, রংপুর অঞ্চলের হারিভাষা আমের সংরক্ষণ ও বাজারাজাতকরণের বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে ।
কুড়িগ্রাম জেলার উন্নয়ন, প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণে করণীয় শীর্ষক এই  সভায় সভাপতিত্ব করেন সোসাইটির সভাপতি এডভোকেট আনছারী ।
এছাড়া কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন পরিককল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শাহিন চিশতিসহ অন্যন্যরা।
সভায় ঢাকায় বসবাসরত কুড়িগ্রাম জেলাবাসী উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে মনোজ্ঞ ভাওয়াইয়া পরবেশনায় অংশ নেন ভাওয়াইয়া শিল্পী শফিউল আলম রাজা, ক্লোজ আপ ওয়ান খ্যাত শিল্পী সাজু, ও কুড়িগ্রামের ভাওয়াইয়া শিল্পীরা।

সূত্রঃ QN

বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হকের স্মৃতি কথা




মুক্তিযোদ্ধা মো. শামসুল হক। অনেক স্বপ্ন নিয়ে সম্মুক যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। স্বাধীনতার মাসে তার যুদ্ধকালিন অভিজ্ঞতা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি এবং স্বপ্ন নিয়ে কথা বলেছেন

১. মরা স্বাধীনতার ৪৬ বছর অতিক্রম করেছি। আজো আমাদের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। কারণ, স্বাধীনতার পরই আমরা নানাজন নানা মতে ও পথে বিভক্ত হয়ে পড়েছি। দেশমাতৃকার স্বার্থে এক হতে পারিনি। কিন্তু এখনো সময় ফুরিয়ে যায়নি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে পুরো জাতি যেমন এক হয়েছিল তেমনই আবারো এক হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আর এ দায়িত্ব পালন করতে হবে নতুন প্রজন্মকে। নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের প্রত্যাশাও অনেক। ১৯৭১ সালে ৭ মার্চের ভাষণ শুনে মুক্তিকামী জনতার সারিতে দাঁড়িয়ে আমিও পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে যুদ্ধে গিয়েছিলাম। আমি চাকরি করতাম যশোর জেলার, মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে। সেই সময়ে যশোর সেনানিবাস থেকে সুগার মিলের আশপাশে শীতকালীন মহড়ায় আসা আমার পরিচিত এক বাঙালি সেনা গোপনে আমাকে জানিয়ে দিলেন, পারলে দ্রুত বাড়ি চলে যাও, অবস্থা ভালো না। ১ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে যশোর-ঢাকা রোডে পাক বাহিনী গুলি চালিয়ে রাস্তার সাধারণ মানুষ মেরে সামনে ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়ার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। পাকসেনার গাড়ি চলে গেলে দেখা যায়, রাস্তার পাশে অনেক সাধারণ মানুষের লাশ পড়ে আছে। এ দৃশ্য দেখে বাঙালিরা আরো জাগ্রত হয়। অস্ত্র নিয়ে যশোর সেনানিবাস থেকে বাঙালি সেনারা বেরিয়ে এসে স্থানীয় যুবকদের নিয়ে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে। তারা রাস্তায় ব্যারিকেট দিয়ে সুকৌশলে অনেক পাকসেনাকে পাকড়াও করে মেরে ফেলে। মুক্তিযোদ্ধাদের খাবারের জন্য আমি এবং নুর আলী বিশ্বাসসহ সংগ্রাম কমিটির সদস্যদের নিয়ে বাসায় বাসায় ঘুরে রুটি চিরা গুড় সংগ্রহ  করি। এভাবে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত কঠিন অসুবিধার মধ্যেও সুগার মিলে ছিলাম। প্রতিদিন বিবিসির খবর শুনে অবস্থা অবগত হতাম আর বাহিরে দেখতাম মিলের পাশ দিয়ে কিভাবে বাঙালিরা স্বজনদের নিয়ে বন্ধু রাষ্ট্রে চলে যাচ্ছে শরণার্থী হয়ে। নিকটতম সব কর্মকর্তা শ্রমিক/কর্মচারী সুগার মিল ছেড়ে বাড়িতে চলে গেছে। আমি একা খুবই চিন্তিত হয়ে পড়ি।

২. 
আমার বাড়ি রংপুরের শেষ প্রান্ত ভুরুঙ্গামারীতে। নুর আলী বিশ্বাস আমাকে সাহস দিয়ে বলেন, চলুন মেহেরপুরে যাই। ১৭ এপ্রিল সকালে মেহেরপুরে পৌঁছি। সেখানে গিয়ে দেখি মেহেরপুরের আমবাগানে মুজিব নগর সরকার গঠনের প্রস্তুতি চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যে শপথ গ্রহণ শুরু হবে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপদেশমূলক ভাষণ এবং নির্দেশাবলি শুনি। শপথ অনুষ্ঠান শেষে সুগারমিলে ফেরত চলে আসি।


১৯ এপ্রিল আমি শরণার্থীদের সাথে হেঁটে বাগদা সীমান্ত পার হয়ে বনগাঁ গিয়ে মাগুরার ছোহরাব হোসেন এবং যশোরের রওশন আলীর নিকট থেকে পরিচয়পত্র নিয়ে বনগাঁ থেকে ট্রেনে কলকাতায় যাই। যাওয়ার পথে ট্রেনে এক মহিলা যাত্রী আমাকে দেখে রাগ করে বলেন, আপনারা যুবক ছেলেরা জয় বাংলা ছেড়ে চলে আসছেন কেন? মুক্তিযুদ্ধে যান। আমরা সম্ভ্রম হারিয়ে এসেছি। উনার কথায় আমি কোনো উত্তর দিতে পারিনি। 

এরপর কলকাতায় গিয়ে হাওরা স্টেশন থেকে জলপাইগুড়িগামী ট্রেনে উঠে কুচবিহারের উদ্দেশে রওনা হলাম। এরপর কুচবিহার পৌঁছে সেখান থেকে বাসে করে দিনহাটা হয়ে সাহেবগঞ্জ নেমে হেঁটে বিকাল ৫টায় মুক্ত এলাকা ভুরঙ্গামারী পৌঁছি। জামতলায় জব্বার মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে শামসুল হক চৌধুরী এমপি, পেটলা মজিবর রহমান, ফজলার রহমান, আব্দুল জলিল সরকার, জয়নাল মিয়া, ডা. নিয়ামত আলী, আব্দুল মান্নান, কাদের ব্যাপারী, ফনী ভুষণ সাহা, আক্তার মন্ডল, ইসহাক ব্যাপারী, তমিজ মাস্টার, মধু মাস্টার, হাকিম শিকদারসহ আরো অনেককে মিটিং করতে দেখতে পাই। শামসুল হক চৌধুরী আমাকে দেখে চিৎকার করে কাছে ডেকে বললেন, তুই কেমন করে আসলি? ঐদিকের খবর বল। আমি বিস্তারিত ঘটনা খুলে বললাম। তিনি আমাকে ক্যাপ্টেন নওয়াজেশের সাথে কাজ করার নির্দেশ দিলেন।

৩.
পরের দিন ক্যাপ্টেন নওয়াজেশের সাথে দেখা করি। তার নির্দেশক্রমে প্রথম দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের যাতায়াত ও খাবার ব্যবস্থার জন্য ফায়ার সার্ভিসের একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে আসামের গোলকগঞ্জ থেকে পেট্রোল এবং জয়মনিরহাট, নাগেশ্বরীর খাদ্যগুদাম থেকে চাল সংগ্রহ করে এনে সিও অফিসে ক্যাপ্টেনের কাছে রাখতে শুরু করি। এ ছাড়া উত্তর ধরলামুক্ত থাকার সময়ে নাগেশ্বরীর আওয়ামী লীগের সংগঠক শেখ মজিবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ডা. ওয়াশেক আহম্মেদ ও ভুরুঙ্গামারীর মজিবুর রহমানের সাথে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে বিভিন্ন সলাপরামর্শ করি। কুড়িগ্রাম পাকবাহিনীর দখলে চলে গেলে উত্তর ধরলামুক্ত রাখার জন্য আমাদের জোয়ানরা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু বেশি দিন মুক্ত রাখা সম্ভব হয়নি। এরপর ঊর্ধ্বতন সংগঠকদের নির্দেশে আমরা ভারতের বর্ডারে চলে যাই। কুচবিহার ৬নং সেক্টরের জোনাল অ্যাডমিনিসট্রেটর মতিউর রহমানের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা নেই। সাহেবগঞ্জে ক্যাপ্টেন নওয়াজেশের ৬নং সেক্টরের ‘সাব সেক্টর’ অফিস চালু করি। এরপর নাজিরহাটে ঝন্টু মিয়ার জমিতে ‘যুব শিবির’ তৈরি করি। নাজিরহাট যুব শিবিরে প্রতিদিন ৪০/৫০ জন যুবক ভর্তি হতে থাকেন। এদের খাওয়া, যাতায়াতসহ সব কিছু আমাকে দেখতে হয়েছে। ২/৩ দিন শিবিরে রেখে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিয়ে দিনহাটায় শিবিরে পাঠানো হতো। সেখান থেকে ভারতের সহায়তায় সামরিক ট্রেনিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতো।

৪.
দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের কতো করুণ স্মৃতি/ইতিহাস মনের ভেতরে আছে তা ভাষায় বোঝানো কঠিন। ক্লান্তি বলে শরীর থেমে থাকেনি। যখন যেখানে ডাক পড়েছে ছুটে গেছি। ভুরঙ্গামারী পাকবাহিনী দখলে থাকা অবস্থায় গেরিলা কায়দায় কয়েক রাত্রি ভুরঙ্গামারী এসেছি। কিন্তু নিজের বাড়ি খুঁজে পাইনি। রাজাকাররা আমাদের বাড়ি ঘর সব পুড়িয়ে এবং গাছপালা কেটে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল। ১৯৭১ সালে ১৪ নভেম্বর ভুরঙ্গামারী হানাদার মুক্ত হলে পরিবারের লোকজন নিয়ে ভারত থেকে নিজ ভ‚মিতে ফিরে আসি। খোলা আকাশের নিচে অনেক দিন তাঁবু খাটিয়ে থাকতে হয়েছে।

১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হলে দীর্ঘ ৯ মাসের দুঃখ বেদনা ভুলে আমরা আনন্দে মেতে উঠি। এরপর সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ২৭ ডিসেম্বর মোবরকগঞ্জ সুগার মিলে পৌঁছে আবার কর্মে যোগ দেই। যারা ঐ সময়ে সুগার মিলে ছিলেন তারা আমাকে দেখে চিৎকার দিয়ে বলে উঠেন আপনাকে নাকি বর্ডার পার হওয়ার সময় খান সেনারা মেরে ফেলেছে। আপনার মৃত্যুর সংবাদে আমরা শোক সভা, গায়েবি জানাজা এবং মসজিদে দোয়া মাহফিল করেছি এই আপনার ভাগ্য

এতো সংগ্রাম এবং কষ্টের বিজয়কে ফলপ্রসূ করার জন্য স্বাধীনতার মাসে এই নতুন প্রজন্মের কাছে আমার বিনীত আরজ আমরা বাঙালি বীরের জাতি। আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে মাথা নিচু করবে না। শেখ মজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে বীর বাঙালি দলমত নির্বিশেষে এক জোট হয়ে মাত্র ৯ মাসেই একটি দেশ স্বাধীন করেছি। বিশ্বের ইতিহাসে এমন সাহসিক বিজয়ের নজির নেই। সব ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক জোট হয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে সুখী সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করো।

নোটিশ; কুড়িগ্রাম সোসাইটি


আমার মনে হয় অনুষ্ঠানটি সু- সম্পন্ন করার জন্য কিছু কিছু বিষয়ে সু নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত -

১) ১৫ সদস্য বেষ্টিত ভলান্টিয়ার টিম  যা ২ ভাগে থাকবে , এক ভাগের নেতৃত্ব দিবে আমাদের ইব্রাহিম পারভেজ যা ৫ সদসসের , এই গ্রুপের কাজ হবে আমন্ত্রিত অতিথি দের গেট থেকে মঞ্চ পর্যন্ত নিয়ে আসা ও মঞ্চে নিদ্রিস্ট বাক্তি ছাড়া অন্য কাউকে উঠতে না দেয়া , অন্য গ্রুপ এর নেতৃত্ব দিবে আমাদের শিশির সরকার ,১০ সদস্য বিশিস্ট এই গ্রুপের কাজ হবে অতিথি ও দর্শক শ্রোতার মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং খাবার বিতরন করা ।

২) অতিথিদের ফুল দিয়ে বরন করার জন্য স্মার্ট বাচ্চা হলে ভালো হয় , সে ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে যাদের বাচ্চা আছে আমার ধারনা সবার বাচ্চারাই স্মার্ট ( হামরা মফিজ হইলে ও হামার সবার বাচ্চারা স্মার্ট এটা আমার নিজস্ব ধারনা ) তারা জানাতে পারেন ,বাচ্চা নিয়ে আসায় ইচ্ছুক সবার ক্ষেত্রে ১ জনের বেশী বাচ্চা একেক পরিবার থেকে নেয়া হবে না । বাচ্চা না পাওয়া গেলে নিজেদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে আগামীকালের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কে কাকে ফুল দিয়ে বরন করবো ।

৩) ক্রেস্ট প্রদানের ক্ষেত্রে আমরা নিজেরাই দুই জন করে এক জন আমন্ত্রিত অতিথিদের ক্রেস্ট প্রদান করবো । সে সিদ্ধান্ত ও আগামীকালের মধ্যে নিতে হবে ।

৪) উপস্থাপনার জন্য আমাদের সাব্বির খান সায়েম ও শিশির সরকার থাকবেন , এর বাইরে কোন মেয়ে উপস্থাপিকা হতে চাইলে আজকের মধ্যেই জানানোর জন্য বলা হচ্ছে , সেক্ষেত্রে মেয়ে উপস্থাপিকার জন্য ড্রেস- মেকাপ সহ অন্যান্য বিষয়ে আমাদের কিছু পরামর্শ থাকবে ।

৫) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অর্থাৎ ভাওয়াইয়া গান এর প্রোগ্রাম হতে পারে ( এখনো পুরাপুরি কনফার্ম না ) সে বিষয় কনফার্ম হলে ও নির্দেশনা সহকারে জানিয়ে দেয়া হবে । ধন্যবাদ সবাইকে ।

এই সব বিষয়ে কারো কোন দ্বিমত থাকলে কমেন্টস করে আমাদের জানিয়ে রাখতে পারেন ।


  • সাধারণ সম্পাদকঃ শাহীন চিশতি

পুনরায় ন্যাশনাল সার্ভিস চালুর দাবি কুড়িগ্রামের বেকার যুবকদের!



এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কর্মসংস্থানহীন কুড়িগ্রামে ন্যাশনাল সার্ভিস পুনরায় চালুর দাবি করেছে এখানাকার নয়টি উপজেলার হাজার হাজার বেকার যুবক-যুবতীরা। এ দাবিতে মানববন্ধন ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছে বেকাররা।

এর অংশ হিসেবে শুক্রবার উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের চরশৌলমারী হাই স্কুল মাঠে ইউনিয়ন পর্যায় মানববন্ধন ও আলোচনা সভা করেছে সেখানকার বেকার যুবক-যুবতীরা।
এতে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল সার্ভিসের ইউনিয়ন সভাপিত দুলাল হোসেন, সাধারন সম্পাদক সিরাজুল মাষ্টার, কোষাধ¶ মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ন্যাশনাল সার্ভিস নিয়ে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কাছে রৌমারী উপজেলাসহ কুড়িগ্রামের নয়টি উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস পুনরায় চালু করার জোড়দাবি করছি।
তারা বলেন, আমাদের মতো বেকারদেরকে তিনি ন্যাশনাল সার্ভিসের আওতায় এনে বেকারত্বের বিষাক্ত অভিশাপ থেকে আমাদের রক্ষা করবেন এই প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর কাছে করছি আমরা।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেকারত্ব দূরীকরণে নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী কুড়িগ্রাম, বরগুনা ও গোপালগঞ্জ জেলায় ২০১০ সালে প্রথম দুই বছর মেয়াদী ন্যাশনাল সার্ভিস চালু করেন। সে সময় কুড়িগ্রামে দুই দফায় কয়েক হাজার বেকার যুব-যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির আওতায় বেকার যুব-যুবতীদের বিভিন্ন দপ্তরে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকুরি দেওয়া হয়। এর মধ্যে তৃতীয় দফায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসের আহবানে আরও কয়েক হাজার বেকার যুবক-যুবতীর কাছ থেকে দরখান্ড আহবান করা হয় এবং আবেদনকারীদের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে বাছাই করা হয়। কিন্তু এর মাঝে ন্যাশনাল সার্ভিসের কার্যক্রম কুড়িগ্রামে স্থগিত হয়।
এতে তৃতীয় দফায় আবেদন কারী কয়েক হাজার বেকার যুবক-যুবতীর ভাগ্যে সরকারি অর্থনৈতিক সুবিধা আর জোটেনি। বন্ড়াবন্দী হয়ে থাকে তাদের ন্যাশনাল সার্ভিসের আবেদন। তৃতীয় দফার আবেদনকারী ও পূর্বে নিয়োগ প্রাপ্তদের অনেকের সরকারি চাকুরির বয়সসীমা শেষ পর্যায়ে। এ অবস্থায় কুড়িগ্রামে ন্যাশনাল সার্ভিস পুনরায় চালু করে তৃতীয় দফার আদেনকারীদের ন্যাশনার সার্ভিসে নিয়োগ প্রদান ও পূর্বে নিয়োগ প্রাপ্তদের পুনঃনিয়োগ দিয়ে কর্মসংস্থানের পথ সৃষ্টি করা একান্ত জরুরী বলে জানিয়েছেন এখানকার বেকাররা।

সূত্রঃ স.বা.