This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

কবিতা: 'পার্ট টাইম প্রেমিক' | দেবযানী কথাসব



ঘুম ভেঙে একটা আদর্শ স্বপ্ন
সিনেমার মতো সকাল বা
বান্ধবীর চুলে মেঘ ভাঙা সূর্যের আলোর
খেলার সাথে

কু ঝিক ঝিক পাখির হঠাৎ উড়ে যাওয়ার
একান্ত কাব্যিক সুখের খোঁজে
তুমি পাহাড়ে।

প্রতিদিনের গদগদে থলথলে মগজ-
প্রশ্ন হীন নিরর্থক মানুষের বাঁচা
তোমাকে অবশ করেছিল

তাই ওয়েসিসের প্রেমের খোঁজে
একটা গোলাপি সন্ধে দেখতে
তুমি মরুভূমি

জিপসি রমণীর কড়া চুড়ি হাত
নাকের নোলক রোদে চমকালেও পায়ের
লোহার বেড়ি দাসত্বের
ক্ষয়িষ্ণু প্রমাণ

মগজের রাসায়নিক বিক্রিয়া কতটা
ম্যানিপুলেট করে
এ বিষয়ে একটা পোস্টমডার্ন আর্টিকেল
লেখার বোধ করো, তুমি

মুখ তুলে দেখ ক্যামেলের সারি মিশে যায়
হরাইজনে, আর সেই নারী
তোমার পাশে
গল্পের তরে।

সমুদ্রের ঢেউয়ের ফেনার সাথে
আকাশের যুগ যুগান্তের পরকীয়া প্রেমের
লুকোচুরি
তোমাকে অতিপূর্ব আনন্দ বা দুঃখ কিছুই
দিতে না পারায়,‌ পড়ে থাকা
ভাঙা নৌকায় বসে
বিকিনির তেষ্টায় কাতর হও।

কখনও বা গভীর জঙ্গলে বুনো শুয়োরের
চিৎকারে সচকিত হতে হতে
দূরবিণে হায়নার সঙ্গম দৃশ্যের সাক্ষী
হওয়ার বাসনায়

গাছের মাচায় বা অনিবার্য ভয়ে
রাত-ঘুম ভেঙে খোঁজ প্রাগৈতিহাসিক সেই
নারীর বুক
একান্ত সমর্পনে ।

বছরে কয়েক বার এমন অ্যাটাক হয়
জীবন মধ্যবিত্ত হয়ে গেলে বেশি
বাকি সব ঠিক ঠাক চলে

ম্যানেজ করাটায় জীবনের আর্ট
তাই খেলে যেতে হয় ফুটবল
কখনো সখনো
হাতে বল এলে।

ইচ্ছাঘোড়া | শাহাজাদা বসুনিয়া

শাহাজাদা বসুনিয়া


তুমি ছাড়া কোন নারীকে স্পর্শ করেনি আমার মন
বৈষ্ণব পদাবলীর মতোই স্বভাব তোমার
এখানে-সেখানে মনটা লাফিয়ে উঠে,
মধ্যরাতেও নিজের প্রেমকে চিনি
নিজেকে সামলিয়ে রাখি, আর কত কাল ?
সেই থেকে তোমাকে চিনি-যখন প্রকাশের
বয়স হয়নি আমার অথচ উস্কানি দিয়েছো তুমি।
হাঁটতে হাঁটতে এই কথা-সেই কথা তোমার সাথে
ইচ্ছে-অনিচ্ছের প্রতি কোন জোর ছিল না
হাতটাও ধরেনি আগা-গোড়া থেকে
ভাবনা থেকে বিচ্যুত নই, নারীকে স্পর্শ
করা নাকি পাপ-তাই তোমাকে ছুঁইনি অনন্তকাল।
আমাদের শুরু-শেষটা কেবলই স্বপ্নমাত্র
বাস্তব ও স্বপ্নে এখনও শরীর কেঁপে ওঠে
বাস্তবটা সব নয়-এখানেও একটি সত্য আছে
এখনও মনে হয় দেখে আসি তোমাকে নিঝুমরাতে
আমি তো যেতেই চাই, ছুঁইতেই চাই তোমাকে,
তুমি ছাড়া আর কোন নারীকে ছুঁতে পারেনি আমার মন।

একুশ দুর্বার প্রলয় | আনু ইসলাম



একুশ,
তুমি দীপ্ত- দুর্বার প্রলয়
তুমি করেছ বাংলা ভাষা জয়,
তুমি চির অমর ফুলের ভ্রোমর
তোমার নেই, নেই কোন ক্ষয়-
তুমিই দ্বীপী প্রলয়।
একুশ,
তুমি ফিনকে পরা রক্তের দান
রেখেছ তুমি লাখ শহীদের মান,
মা বঙ্গের তুমিই প্রাণ
বাহবা তোমার তরে-
একুশ নামের বীর জোয়ান।
একুশ,
তোমাতে কেন গোলা বারুদের গন্ধ ?
তুমি লাশের পিঠে লাশে গড়া স্তম্ভ !
তুমি স্বাধীন বনের পাখি
তোমার জয়ের নেশায়-
বাংলার সর্বস্বই ভাসায়েছে আঁখি।
একুশ,
তুমি পথিকের পিপাসার জল
তুমি লাল সবুজের মাঝে টলমল,
তোমার কপালের লাল টিপ
রফিক, শফিক, জব্বারের-
রক্তে গড়া ভাষার প্রদীপ।
একুশ,
তুমি বাংলা বর্ণমালার অ, আ প্রতীক।

আসছে- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৫ হাজার নতুন পদে নিয়োগ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৫ হাজার নতুন পদ সৃষ্টি- হিসাবরক্ষক পদে আসছে নতুন নিয়োগ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন পদ


দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে হিসাব রক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

ছবিটি ক্লিক করে পড়তে পাড়েন। আবার চাপদিয়ে ধরে ডাউনলোড করেও পড়তে পাড়েন।


আছলাম সওদাগরকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারীবাসী

হাফিজুর রহমান হৃদয়:
কুড়িগ্রাম-১ (নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী) আসনের এমপি আছলাম হোসেন সওদাগরকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় নাগেশ্বরী ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ
স্বাধীনতা পরবর্তী এ আসনে আওয়ামী লীগের কোনো এমপি কিংবা মন্ত্রী না থাকায় সংসদে কথা বলার কেউ সুযোগ না পাওয়ায় সকল প্রকার উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত এসব অঞ্চলের জনসাধারণ। নদীবেষ্টিত এই অঞ্চলগুলোতে অনেক প্রতিভাবান ব্যাক্তি থাকলেও কারও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। বরাবই কুড়িগ্রাম জেলা থেকে গেছে দারিদ্রের শীর্ষে। এর কারণ হিসেবে ভৌগলিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। ফলে শিক্ষা, কর্মসংস্থান অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন দিক থেকে পিছিয়ে এসব অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ। সব দিক থেকে উন্নয়নের অপার সম্ভাবনা সত্বেও সরকারদলীয় কোনো এমপি-মন্ত্রী না থাকায় এসব অঞ্চলের দারিদ্রতার কারণ হিসেবেও উল্লেখ করেন অনেকে। সম্ভাবনাময় এই জেলায় উন্নয়নের অংশ হিসেবে সোনাহাট স্থল বন্দর একটি রাজস্ব আয়ের উৎস সমূহের মধ্যে অন্যতম। তাই এই অঞ্চলে একজন মন্ত্রী হলে এই আসনের দুই উপজেলাসহ জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোও হবে অনেক উন্নত। বাড়বে সরকারের আয়ের উৎস। তখনই মুছে যেতে পারে দরিদ্র নামক নামটি। স্তানীয়রা বলছেন স্বাধীনতা পরবর্তী এ আসনে আমরা কখনও আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী দেখিনি। এবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এমপি পেয়েছি। আমারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বঙ্গকন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এমপি উপহার দিয়েছি। আমাদের দাবী এ আসনের নির্বাচিত প্রার্থী আছলাম ভাইকে মন্ত্রী করা হোকে। নাগেশ্বরী প্রেক্লাবের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, দুধকুমরের উপর সেতু নির্মাণ, নদী খনন, নদী শাসন, বাঁধ নির্মাণ, নন এমপিও স্কুল কলেজগুলোকে এমপিওভুক্ত করা, সড়ক পাকা করণ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎসহ সকল প্রকার উন্নয়নের জন্য আছলাম ভাইকে মন্ত্রী করা আমাদের জোর দাবি। ভূরুঙ্গামারী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মন্টু বলেন, আমরা প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী ও বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আছলাম ভাইয়ের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেছি। আমাদের এ অঞ্চল অনেক পিছিয়ে তাই আমাদের আছলাম ভাইকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। প্রভাষক রফিকুল ইসলাম বলেন, এই অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ এবং শিল্প কারখানা না থাকায় বেকারত্ব ও দারিদ্র্য সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এ সমস্যা দূরীভূত করতে গ্যাস সরবরাহসহ ইপিজেডের মত শিল্পাঞ্চলের প্রয়োজন। আর এ আশা পূরণ করতে হলে চাই সরকারদলীয় মন্ত্রী। নাগেশ্বরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক প্রধান বলেন, আমরা সকলে সম্মিলিতভাবে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করেছি। একইভাবে আমাদের সমন্বিত দাবি আছলামের নামটা মন্ত্রীসভায় থাকবে। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-১ আসনে ৮জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধ করে আছলাম হোসেন সওদাগরের নৌকা মার্কা ১ লাখ ২২হাজার ১৪ ভোট পেয়ে স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লীগের প্রথম এমপি নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম ঐক্যফ্রন্ট-বিএনপি মনোনিত প্রার্থী সাইফুর রহমান রানার ধানের শীষ পায় ১ লাখ ১৭ হাজার ৯শ ৩৫ ভোট।

ব্রেকিংঃNTRCA- এর 'গণবিজ্ঞপ্তির' নাড়ীনক্ষত্র

ছবিটিতে ক্লিক করে/ছবিটি ডাউনলোড করে পড়ুন

NTRCA বিষয়ক সকল সমস্যার সমাধান

VIDEO-1

VIDEO-2



VIDEO-3



VIDEO-4



VIDEO-5



ব্রেকিং নিউজঃনিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ চলতি মাসেই


বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ প্রক্রিয়া চলতি জানুয়ারি মাসেই শেষ করা হবে। নিবন্ধনধারীদের কাছ থেকে প্রায় ৩১ লাখ আবেদন গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন কারণে দুই বছর বন্ধ ছিলো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশকার্যক্রম।
বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ দেয়ার লক্ষ্যে গত ১৮ ডিসেম্বর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ। গত ১২ জুন যাদের বয়স ৩৫ অথবা তার কম এবং জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য শর্ত পূরণ করবে শুধু তারাই আবেদন করতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এ প্রেক্ষিতে গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদন করা শুরু করেন নিয়োগ প্রত্যাশীরা। গতকাল ২ জানুয়ারি পর্যন্ত নিয়োগের আবেদন গ্রহণ করেছে এনটিআরসিএ। শেষদিন পর্যন্ত মোট ৩১ লাখ আবেদন জমা পড়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
আবেদন যাচাই-বাছাই করে মেধা তালিকা অনুসারে প্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশ করবে এনটিআরসিএ। সুপারিশকৃতদের তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে। সুপারিশকৃত প্রার্থীরা নিজ নিজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সুপারিশপত্রটি ডাউনলোড করে নিবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, সারা দেশের প্রায় ৪০ হাজার শূন্যপদ রয়েছে। মামলাসহ বিভিন্ন কারণে দুই বছর বন্ধ ছিলো প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশ কার্যক্রম। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চেষ্টা করব আমরা। জানুয়ারি মাসের মধ্যেই নিয়োগের সুপারিশ করা যাবে বলে আমার আশা। তিনি আরও বলেন, প্রার্থীদের মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে নিয়েগের বিষয়টি জানানো হবে। তারা সুপারিশ পত্রটি ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
চেয়ারম্যান আরও জানান, কোনও প্রতিষ্ঠান সুপারিশকৃতদের চাকরি না দিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে এনটিআরসিএ থেকে শিক্ষা বোর্ডকে বিষয়টি জানানো হবে। বোর্ড প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি ভেঙ্গে দিবে।
সম্প্রতি বয়স ৩৫ উত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের আবেদনের সুযোগ এবং কম্পিউটার বিষয়ে ৬ মাসের ডিপ্লোমাধারীদের আবেদন ও নিয়োগ সংক্রান্ত রুল জারি করে হাইকোর্ট। এ রুল জারির ফলে নিয়োগের সুপারিশ বাধাগ্রস্থ হবে কিনা তা জানতে চাইলে সরকারের একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ইতিপূর্বে দেয়া হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসরণ করেই নিয়োগের সুপারিশের বিষয়টি নিষ্পত্তি করছে এনটিআরসিএ। কেন তাদের আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়নি তার সুস্পষ্ট কারণ অবশ্যই রয়েছে।
সূত্রঃ প্রতিদিন

ফিরোজ সরকারঃ এক অদম্য শিল্পীর নাম

শিল্পীঃ ফিরোজ সরকার

চার(০৪) বছর বয়সে প্রাণ প্রিয় মা'কে চিরদিনের জন্য হারাবার পর লেখাপড়ায় মন বসতোনা, এমনকি বসাতেও পারতেননা। ভালোলাগতোনা কোন কিছুই। এদিক সেদিক করে চৌঁদিকে ছুটতেন তো ছুটতেন কেবলই কষ্টের বিপরীতে একটু যুত-কিঞ্চিত সুখের তরে। দিন যায় রাত কাটে অন্তরে বাসা বাঁধা কষ্টের সমাধান অসমাপ্তিই রয়ে যায়। বড়ই নিঃসঙ্গতা, একাকিত্ত্ব আর হতাশায় কাটে প্রতিটি মুহূর্ত। জানে ফিরে পাবেনা তবুও পাগলের মত খুঁজে ফেরত মা'কে। 
শান্ত্বনা নামের আল্পনা আর প্রকৃতির সুন্দর্যে খুঁজে নিত শূণ্য হৃদয়ে একতিলক শীতল মমতা
এ যেন শুষ্ক উত্তপ্ত বালির বুকে কিঞ্চিত জলে কেবলই শীতলতা আনার মত। যেখানে বুক ভরেনা শূণ্যতা রয়েই যায় তথাপিও। তবু কিছুটা লেখাপড়া করেছে নানার বাসায়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে একমাত্র অবশিষ্ট আপন সম্বল নানীও বিডিআর বিদ্রোহকালীন সময়ে ইন্তেকাল করেন। আপন বলতে আর কেউ রইলোনা। এমন এ অভাগা দিনে অশান্ত ক্লান্ত কমল মনে বয়ে আসে এক মহিয়সী নারীর প্রেম। বড়ই উল্মাদ হয়ে পড়েন ফিরোজ ভাইয়া। অতঃপর জীবন সঙ্গীনি সেই সে অপূর্ব নারী। শূণ্যতার বুকে পূর্ণতা আর নিরাশার বুকে আশা নিয়ে বাঁচতে শিখেন ফিরোজ ভাই। নিজেকে সাজিয়ে নেন হরেক রঙে। কর্মের সন্ধানে রাজারহাট থেকে ছুটে আসেন কুড়িগ্রাম সদরে। কাজও পান। স্টিল মিস্ত্রির কাজ। মন বসতনা কোন ভাবেই। পরবর্তিতে কলেজ মোড়ে আর্ট স্টোল দেন। মনের আনন্দে অন্তরের মাধুরী মিশায়ে দিন-ভর কাজ আর কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। অনেকবার বিভিন্ন কারনবশত স্থান পরিবর্তন করলেও ২০০৭ সালে তর্তাবোধায়ক সরকার ফকরুদ্দিন এর শাষনামলে উচ্ছ্বেদ করে দেওয়া হয় ফিরোজ ভাইয়ার চির সাধনার সেই আর্ট স্টোল। অর্থনৈতিকভাবে প্রায় পঙ্গু হয়ে যান ভাইয়া। তন্মধ্যে ভাবি হঠাৎ ব্রেইন স্টক করলে বড়ই হিমশিমে পরে যান এবং অনেক ঋৃণ করে বসেন। হাস্যজ্জ্বল সংসারে নেমে আসে এক গাঢ়কালো নিষ্ঠুর নির্মম হতাশা ও দূর্দিন। কিন্তু ভাইয়া তাতেও সাহস হারাননি। একনিষ্ঠ কাজ করতেন। আজ তিনি ঋৃণ মুক্ত প্রায়। তাই অন্য দশ জনের মতই একটু ভালোভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্ন দেখেন তার দুটি বাচ্চার ভালো একটা ভবিষ্যতের। হয়তো প্রশ্ন করছেন নিজেকে, যে কে এই ফিরোজ???
...

ফিরোজ ভাই অন্য কেউ না। একজন সাদামাটা আর সহজ সরল প্রাঞ্জল মনের মানুষ। পেশায় আর্টিস এবং ফটোগ্রাফার।যিনি অসামান্য ঋৃণে ঋৃণী করেছেন কুড়িগ্রামবাসীকে। যার তুলির ছোয়ায় আজও জীবন্ত হয়ে আছে কুড়িগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ফলক, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের শহীদ মিনার, ইতিহাস বিভাগের দেয়ালে দিপ্তমান শেখ মুজিবের সেই ঐতিহাসিক প্রতিচ্ছবি(যা বর্তমানে চুনকামে ঢাকা), রোভার স্কাউট সহ প্রতিটি বিভাগের ব্যানার দেয়ালিকায় জীবন্ত হয়ে আছে উনার হাতের পরশ। যিনি দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রমের দ্বারা কুড়িগ্রামের জর্জ কোর্ট এলাকা, নাট্যশালা, শাপলা চত্ত্বর সহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকাকে স্বপ্নের শহরে রুপায়িত করেছেন তারই পরম তুলির আঁচরে। কথা বলে জানলাম গত ১৯৯৪ থেকে এখন অবধি সূদীর্ঘ পথ পারি দিয়ে কাজ করছেন রাজশাহী, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, পীরগাছা(রংপুর) ও লালমনিরহাট অঞ্চলে। আলপনা, ফম ফন্ট ডিজাইন, বিয়ের যাবতীয় সাজ সজ্জা, বর কনে ও বিয়ের গাড়ি সাজানো, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ব্যানার, পাথর খুদাই সহ হরেক রকম কাজের অভিজ্ঞতায় পুষ্ট ফিরোজ ভাইয়া। কুড়িগ্রামের সাথে সাথে বাহিরে অনেক কদর এবং দর আছে উনার কাজের। শিল্পমনা মানুষটি তার পরিবারকেও গড়ে তুলেছেন সেভাবে। এখন সুখে দিন কাটে অল্প আয়েও। স্বপ্ন দেখেন বড় একটা পুষ্প ভান্ডার করবেন। সেখানে আরো থাকবে ডিজিটাল অনেক যন্ত্রপাতি। যা তার কাজগুলোকে সহজ করে দিবে অনেকাংশে। স্বপ্ন পুরোন হোক ফিরোজ ভাইয়ের, সুখ অসীম সুখ ধরা দেক তার সংসারে। আমাদের সকলের অনুপ্রেরনার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হোক ফিরোজ ভাইয়া।

কুড়িগ্রামের জন্য কুড়িটি দাবি


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
চিলমারী টু ঢাকা রুটে ভাওয়াইয়া এক্সপ্রেস চালু, রৌমারী পর্যন্ত রেললাইন ও গ্যাসলাইন সম্প্রসারণ, ৩টি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বিশ্ববিদ্যালয় চালু ও নির্বাচনী আইন সংস্কারসহ 'কুড়িগ্রামের জন্য কুড়িটি দাবি' সংসদ প্রার্থীদের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভূক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে তারা বলেন, গণকমিটি জন্মের পর থেকে দৃঢ়ভাবে একটানা লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে চিলমারীতে পেদীখাওয়া বাঁধের ক্ষতিপূরণ আদায়, চিলমারীকে রক্ষায় ব্রহ্মপুত্রের ডানতীর রক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ণ, রমনা লোকাল দুইবার চলাচল, বাঁধের বাসিন্দাদের সম্মতিবিহীন ও পুনর্বাসনহীন উচ্ছেদ প্রতিরোধ ও চিলমারী নদীবন্দর চালুর দাবি প্রতিষ্ঠা; উলিপুরে বুড়িতিস্তা আন্দোলন, সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের গঙ্গাধর নদী অবৈধ বালু উত্তোলন ঠেকানোসহ জেলা সদরে একটি শাটল ট্রেন আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও নদনদীর ড্রেজিং এর প্রতিশ্রুতি আমরা পেয়েছি।
আন্দোলনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, রেলমন্ত্রীর সাক্ষাৎ আমরা পেয়েছি কিন্তু নিজ এলাকার সাংসদরা দরখাস্তে সুপারিশ তো দূর কি বাৎ, সাক্ষাৎ পর্যন্ত করেননি। সাক্ষাৎ এর জন্য তাজুল চৌধুরীর পিএস ঘুষ পর্যন্ত নিয়েছে। তাই ভোটের আগে সাফ কথা জানিয়ে দিতে চাই, আমাদের দাবিগুলো তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভূক্ত করা না হলে ব্যালটের মাধ্যমে উপযুক্ত জবাব আমরা দিব।

আমাদের দাবিসমূহ :
১. চিলমারী টু ঢাকা রুটে ভাওয়াইয়া এক্সপ্রেস চালু।
২. ভূরুঙ্গামারী-নাগেশ্বরী, রৌমারী-রাজীবপুর ও কুড়িগ্রামের বাকি অংশে ১ টি করে মোট ৩ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন।
৩. চিলমারী টু রৌমারী/রাজীবপুর নৌ রুটে ফেরী সার্ভিস চালু।
৪. সোনাহাট টু কুড়িগ্রাম ও রৌমারী টু জামালপুর রেল লাইন চালু ও চিলমারী নদীবন্দর বাস্তবায়ন।
৫. রৌমারীকে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করা, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর স্থাপন ও ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করা।
৬. ব্রহ্মপুত্রসহ সকল নদনদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে কৃষি জমিসহ প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষা করা।
৭. ব্রহ্মপুত্রের খনিজ সম্পদ ব্যবহারপূর্বক কাঁচ শিল্পসহ অন্যান্য শিল্প স্থাপন এবং বাকি বালু দিয়ে ব্রহ্মপুত্রের দুই পাশে শহর গড়ে তুলে চরবাসিকে আধুনিক জীবনের সাথে যুক্ত করা।
৮. ব্রহ্মপুত্রে চরে হারিয়ে যাওয়া বন পুনরুদ্ধার করে বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য সৃষ্টি ও মাছ-পাখি-কাছিম-শুশুকের বাস্তুসংস্থান নিশ্চিত করা।
৯. ৩শ মেঃওয়াট সম্পন্ন কয়েকটি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা।
১০. আগামি ৫ বছরে রাষ্ট্রীয় খরচে ৫লক্ষ শ্রমিককে বিদেশে প্রেরণ করতে হবে।
১১. লালমনিরহাটে বিমানবন্দর ও আধুনিক রেলকারখানা স্থাপন করতে হবে।
১২. নাগেশ্বরীর রায়গঞ্জ হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত হাসপাতালে পরিণত করতে হবে।
১৩. কুড়িগ্রাম জেলাকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা ও ব্রহ্মপুত্রের তীর ধরে উলিপুর-চিলমারী ব্যাপী মেরিন ড্রাইভ সড়ক স্থাপন করা।
১৪. চরগবেষণাকেন্দ্র স্থাপন করা।
১৫. হাটগুলোতে সরকারি ক্রয়কেন্দ্র স্থাপন ও হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা।
১৬. চিলমারী-হরিপুর সেতুর নকশাঁয় রেলপথ যুক্ত করা।
১৭.দেশের প্রতিটি উপজেলায় সরকারি গ্রন্থাগার স্থাপন ও অডিটরিয়ামগুলোকে সংস্কার করা এবং প্রতিটি জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘর স্থাপন।
১৮. অবৈধ ফকরুদ্দীন সরকারের দল নিবন্ধন আইন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার আইন বাতিলের দাবি তোলা।
১৯. এক স্তরের সরকারের বদলে দুই স্তরের সরকারের দাবি তোলা। যেন কেন্দ্রীয় সরকার ও সাংসদগণ শুধু আইন প্রবর্তন করবেন আর স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিরা উন্নয়ন কাণ্ড পরিচালনা করবেন। এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণকে যেকোন সময় প্রত্যাহার করা যায়।
২০. ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কার পূর্বক জনগণের হাতে ফেরান, প্রধানমন্ত্রী নামক পদের বদলে সবার হাতে ক্ষমতার বন্টন এর দাবি সংসদে তুলতে হবে।
জেলা কমিটির সভাপতি সালেহা ইয়াসমিন লাইলীর সভাপতিত্বে দাবিনামা পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট প্রদীপ কুমার রায়। এছাড়াও জেলা ও উপজেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।