This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

ভালোবাসার মাঝে, একটি প্রশ্ন | মোস্তফা তোফায়েল

Love, A Question : Robert Frostঅনুবাদ, ভালোবাসার মাঝে, একটি প্রশ্ন -মোস্তফা তোফায়েল


সন্ধার কালে দরোজার কাছে অচেনা অতিথি এসে,
সুদর্শন সে-বরের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে ফেলে।
সবুজ-শুভ্র ছড়ি একখানা ধরা ছিল তার হাতে,
এবং, সে-সাথে আশ্রয়-খোঁজা উদ্বেগ দেয় ঢেলে।
ভাষা ছিল তার চোখের তাকানো, মুখের কথার চেয়ে,
আবেদন শুধু সেই সন্ধায় এতটুকু আশ্রয়,
ফিরে সে দাঁড়ালো তাকিয়ে সুদূরে পথের অপর পাড়ে
জানালার আলো যদিও হয়েছে ক্ষয়।
বর মহোদয় হলেন উদয় তখন বারান্দায়,
বললেন, তা হলে আসুন, আকাশের তারা গুণি,
অতিথি সুজন, আপনি ও আমি প্রশ্ন সুধাই তাকে,
আজিকার রাত কেমন কাটিবে, শুনি।”

মাধবীকুঞ্জ বিছিয়েছে পাতা সকল আঙিনা জুড়ে
নীল জামগাছ নীলে নীলে গেছে ভরে,
হেমন্ত কাল, তবু আসে শীত বাতাস কুয়াশা ভরা;
অজানা অতিথি, যদি জানতেম, কেন তুমি এলে ওরে!
ঘরের ভেতরে, একাকী বধূটি এই সন্ধার কালে
ঝুঁকে বসে আছে খোলা চুল্লির কাছে,
লালাভ আগুনে মুখখানি তার গোলাপির রঙে রাঙা,
ভাবনায় তার কামনামদির মিলন বাসনা আছে।
বর মহোদয় উদাস তাকায় ক্লান্ত পথের দিকে 
তথাপি দেখেন বধূকে তাহার, ঘরে,
কামনা করেন হৃদয় তাহার সোনালি সুখের ফ্রেমে
রূপোলি কাঁটায় বিঁধে আছে অন্তরে।
বর মহোদয় মেহমানে তার কতটুকুই বা দেবে--
রুটি একখানি, টাকাকড়ি দিতে পারে,
আর দিতে পারে এই মুসাফিরে দুহাতে আশীর্বাদ,
ধনবানদের অভিশাপ, ধিক্কারে;

কিন্তু এমন আগন্তুকের আগমন হেতু কী যে
দুটি হৃদয়ের প্রেম ধ্বংসের কাজে
বিয়েবাড়ি এসে দুঃখ বিছিয়ে দিয়ে,
ভাল ছিল জানা, যেহেতু জানেন-না যে।


২১ জানুয়ারি, ২০১৯
পল্লবী, মিরপুর-১২, ঢাকা।

দ্রুত অপেক্ষার অবসান নিবন্ধনধারীদের



দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগপ্রত্যাশীদের অপেক্ষার অবসান চলতি সপ্তাহে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট তারিখ বলবো না। তবে আশা করছি এ সপ্তাহের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা হবে।

কী পদ্ধতিতে নিয়োগ দেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব প্রক্রিয়া ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন হবে। ফল প্রকাশের পর যোগ্য প্রার্থীদের এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিকে এসএমএস ও লিখিতভাবে এ তথ্য জানানো হবে। আশফাক হুসেন বলেন, ৩০ দিনের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীকে যোগদান করতে বলা হবে। যদি কেউ এ সময়ের মধ্যে যোগদান না করেন তবে পরবর্তী মেধা তালিকায় যোগ্য প্রার্থীকে যোগ্য বলে বিবেচনা করে তাকে যোগদানের সুযোগ দেয়া হবে।

জানা গেছে, সারাদেশে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট ৩৯ হাজার ৫৩৫ জন শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। ১ম থেকে ১৪তম নিবন্ধিতদের জন্য আবেদনের সুযোগ ছিল। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য অনলাইনে আবেদন নেওয়া হয় ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে ২ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত। গত ১২ জুন যাদের বয়স ৩৫ অথবা তার কম এবং জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য শর্ত পূরণ করবে শুধু তারাই নিয়োগ হবে। জাতীয় মেধার ভিত্তিতে বাছাইপূর্বক বিধি মোতাবেক প্রতিটি পদের বিপরীতে চূড়ান্তভাবে একজনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করবে এনটিআরসিএ। এর পর নির্বাচিতদের মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে সেই তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে। বিস্তারিত জানা যাবে 

অথবা 
http://ntrca.gov.bd এ ওয়েবসাইটে।

কবিতাঃ মন চুন্নি

মন চুন্নি -এ বি সিদ্দিক 


আমার সুখের ঘরে দিয়ে তালা
হারিয়ে ফেলেছি চাবি,
সেই চাবি নাকি তুই পেয়েছিস
বল কবে ফেরৎ দিবি?

আমার ভালোবাসার ব্যাংকে রে তুই বারবার চালাস হামলা,
হাতেনাতে এবার পরেছিস ধরা
এবার ঠেলা সামলা!

চুরি বিদ্যা মহা বিদ্যা
যদি না পরতিস ধরা,
ধরা যখন পরেছিস এবার
তখন বুঝবি এতে কত প্যাড়া।


NTRCA -এর প্রথম গণশুনানি কাল

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাইয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের অংশ হিসেবে গণশুনানি অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) উদ্যোগে আটটি বিভাগে পর্যায়ক্রমে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা ৪৫  মিনিটে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে  সিলেট বিভাগে প্রথম গণশুনানির আয়োজন করেছে ।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি)এনটিআরসিএর একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে এ খবর নিশ্চিত করেছে। গণশুনানিতে সভাপতিত্ব করবেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন। 
গণশুনানিতে সিলেট বিভাগের নিবন্ধন সনদধারীদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। গণশুনানিতে তারা নিবন্ধন সম্পর্কিত সমস্যা, পরামর্শ, আবেদন এবং অভিযোগগুলো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সামনে তুলে ধরার সুযোগ পাবেন। 
সূত্রঃ দৈ.শি

গল্পঃ ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার জুটি


লেখকঃ খাইরুল আনাম
শিকাগো, আমিরিকা থেকে
দু'জায়গায় চাকুরীরত, ইদানিং বিবাহিত, দুই পেশার মানুষের মধ্যে ফোনে কথপোকথনঃ

ইঞ্জিঃ হ্যালো, ঢাকা? এটা কি ঢাকা? হ্যালো, এটাকি ......
ডাঃ  কি হলো? ফোন বেজে ওঠা থেকেই তো আমি হ্যালো, হ্যালো বলে যাচ্ছি। তবু অত চ্যাঁচাচ্ছো কেন?
ইঞ্জিঃ স্যরি। আসলে তুমি না অন্য কেউ ভেবে একটা কনফিউশান হচ্ছিল।
ডাঃ  কে মনে হচ্ছিল? আমার আম্মা না আমাদের কাজের বুয়া? গলার স্বর শুনে নিজের বউ চিনলে না? আশ্চর্য্য!
ইঃ  আবারও স্যরি। তা কেমন আছ বল, মানে ইয়ে, তোমার এ অবস্থায়। মানে ডাক্তার সাহেব কি বলল?
ডাঃ  কি আর বলবে? এখন এডিমা (edema) হয়ে ধুমসি হয়ে যাচ্ছি। একবার নিজে চোখে দেখলে মনে হয় লাথি মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেবে। ডাক্তার বলেছে, পরে এক্‌লামশিয়াও (eclampsia) ও হতে পারে। তখন বুঝবে। বাছার বৌ পাগল হওয়ার এত শখ বেরিয়ে যাবে।

ইঞ্জিঃ   কি সব বলছ? ওগুলোর মানে কি? বাবার জন্মেও তো ওই সব ওয়ার্ডের নাম শুনিনি। খুব খারাপ কিছু?
ডাঃ  বল কি? এ সবের নাম শোন নি? এগুলো তো সবাই জানে। তা তোমার আর দোষ কি? গলা শুনে নিজের বউকেই তো চিনতে পারলে না। তা যাকগে, আজ এত দেরীতে ফোন দিলে যে? কি হয়েছিল?
ইঞ্জিঃ  আর বোলনা। দরকারী কিছু কিনতে সকালে উঠেই চা না খেয়ে দৌড়তে দৌড়তে একটু বাজারে গিয়েছিলাম। দু’তিন জায়গায় ঘুরলাম। কিচ্ছু লাভ হলো না বোয়েচো। মন খারাপ। খালি ব্যাগ নিয়ে বাড়ী ফিরে এসেই তোমাকে ফোন দিলাম। তাই একটু দেরী হয়ে গেল। সামান্য দেরীর জন্য তুমি আবার কিছু মনে ক’রো না।

ডাঃ  আহারে, বেচারা! অত সকাল সকাল বাজারে গিয়েও কোন সুবিধে হলো না? খুব দরকারী কিছু? কি জিনিষটা?
ইঞ্জিঃ  না, মানে তেমন কিছু না। ঐ আর কি, সামান্য কয়েকটা এনট্রপি (Entropy) কিনতে গিয়েছিলাম। দেখলাম একগাদা লোক দোকানটায় হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। ভীড়টা কমতে এগিয়ে গিয়ে দেখি, সব ফর্সা। তো পরের লেনে আইসোথার্ম (Isotherm) এর একটা দোকান ছিল। ভাবলাম এনট্রপি না পাই, অন্তত কেজি দুই আইসোথার্ম না হয় নিয়ে যাই। ও খোদা। সেখানেও সেই একই অবস্থা। আরো দু’সপ্তাহ নাকি দেরী করতে হবে, যে কোন একটা বা দু’টোই পেতে।

ডাঃ তাহলে তো বড় মুস্কিলের কথা। চিটাগাং-এ আর কোথাও পাওয়া যায় না? মানে অন্য কোন দোকানে? তুমি চাইলে আমি নিজে বা আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের বলে ঢাকায় চেষ্টা করে দেখতে পারি। কি ওগুলো?
ইঞ্জিঃ থাক, তোমাকে খামকা কষ্ট করতে হবে না। ওগুলো তেমন কিছু না। ঠিকমতো জানা না থাকলে যত্রতত্র খুঁজে পাওয়াও যায় না। অবশ্য এগুলের নাম সবাই জানে। একেবারে অতি সাধারণ জিনিষ। অনেকটা তোমার ঐ এডিমা বা এক্‌লামশিয়ার মতো।
                                   

আজ রাতেই প্রকাশ হবে নিবন্ধনধারীদের সুপারিশ


বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের জন্য সুপারিশকৃতদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। যে কোনও সময় তা প্রকাশ হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র। তালিকা প্রকাশের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ। রোববার দিবাগত রাতেই এই তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে। কোনো কারণে রোববার এই তালিকা প্রকাশ না হলেও সোমবার প্রকাশ হতে পারে বলেও জানিয়েছে এনটিআরসিএ সূত্র।


কর্মকর্তারা জানান, আবেদন যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। যে কোনও সময় সুপারিশকৃত প্রার্থীদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। জানা যায়, সুপারিশকৃতদের তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে। এরপর সুপারিশপত্র প্রকাশ করা হবে। সুপারিশকৃত প্রার্থীরা নিজ নিজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সুপারিশপত্রটি ডাউনলোড করে নিবেন। ফেব্রুয়ারিতে ৪০ হাজার শূন্য পদে যোগদান কার্যক্রম শুরু হবে।
জানা গেছে, কোনও প্রতিষ্ঠান সুপারিশকৃতদের নিয়োগে বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে এনটিআরসিএ থেকে শিক্ষা বোর্ডকে বিষয়টি জানানো হবে। বোর্ড প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি ভেঙ্গে দিবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে শিক্ষক পদে ৩১ লাখ আবেদন জমা পরে।

সখিনা সুলতানা ঝর্ণার "পিঙ্গল জীবন" নিয়ে আমার কিছু কথা

"পিঙ্গল জীবন" উপন্যাসের প্রচ্ছদ


শুরুতে এমন চমৎকার একটা বই উপহার দেওয়াতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করত শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি, "পিঙ্গল জীবন" উপন্যাসের শ্রদ্ধেয় ঔপন্যাসিক সখিনা সুলতানা ঝর্ণাকে।
.


সার-সংক্ষেপ ও সার্থকতাঃ


"পিঙ্গল জীবন" উপন্যাসের কেন্দ্রিয় চরিত্র- কুসুম। অত্যন্ত নম্র-ভদ্র এবং রুপ-লাবণ্যে সে যেন একটি সদ্যফোঁটা গোলাপ। বাবা-মা এবং ছোট দুই ভাইসহ বস্তির একটি জীর্ণ ভাড়াটে বাড়িতে তাদের বাস। দুঃখের সংসার বলে ম্যাট্রিক পাশের পর লেখাপড়া বিসর্জন দিয়ে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ নিতে হয় তাকে। কিন্তু, তার রুপ-লাবণ্য এবং সুন্দর্য তারই শত্রু হয়ে দাঁড়ায়। দুধে আলতা রুপ দেখে দুলাল দালালসহ ফ্যাক্টরির আর কিছু মানুষরুপি নরপশু তার শরীর উপভোগ করতে নির্লজ্জ বেপরোয়া হয়ে উঠে। তাই কুসুমকে চরম দুঃসময়েও ইজ্জত রক্ষার্থে ফ্যাক্টরির কাজ ছেড়ে দিতে হয়। তরাঙ্গায়িত জীবন বসে থাকবার নয়। তাই সে বাসাবাড়িতে রান্নার কাজ নেয়। আফজাল আহমেদের পল্টনের বাসায় সকাল ছ'টায় যায়, রান্না শেষে ঠিক সন্ধ্যায় নিজ কুঠিরে ক্লান্ত-শ্রান্ত শরীর নিয়ে ফিরে আসে কুসুম। এভাবে একটানা খাটুনি চলতে থাকে কুসুমের। কিন্তু, ভাগ্যের নির্মমতায় কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার নরপশুদের কালো থাবায় পড়তে হয় তাকে। এই নরপশুগুলো হলো, আবরার(আফজাল সাহেবের ছেলে) ও তার পাঁচ বন্ধু। ভাগ্যিস তার হাতে ফলকাঁটা ছুরি ছিল, আর তা এলোপাতারি চালিয়ে অনেক আঘাত এবং ধস্তাধস্তির পর নিজেকে মুক্ত করে কুসুম। একের পর এক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে জর্জরিত জীবন নিয়ে অবর্ণনীয় দুঃখের মধ্য দিয়ে কাঁটতে থাকে তার সময়গুলো। অপার দুঃস্বপ্ন ঘিরে বসে তাকে। যেন নিজের জীবন নিজের কাছে অসহ্য হয়ে ওঠে তার।
লেখক একথা বলতে গিয়ে বলেছেন-

"গরিবের ঘরে সুন্দরী যুবতী মেয়ে থাকা মানে সাক্ষাৎ যমদূত থাকা।"


.
অনেক টানাপোড়ানের জীবন কুসুমের। তবু মনস্থির করলো নিজের পায়ে নিজেকে দাঁড় করাবেই, অর্থা আত্ম-প্রতিষ্ঠিত হবে। তাই, নিজ বাসায় গড়ে তুললো ব্লক এবং নার্সারি। তার পাশাপাশি গ্রাম-গঞ্জে বিক্রি করে শাড়ি-কাপড়। রাত-দিত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করতে হয় তাকে। এভাবে সমাজের অনেক লাঞ্চনা-বঞ্চনা এবং কটাক্ষকে অতিক্রম করে কুসুম হয়ে ওঠে নারী সমাজে এক আত্মবিশ্বাস এবং মানদন্ডের নাম। লেখকের ভাষায় বলতে গেলে যেন অবলা কুসুম হয়ে ওঠে-


"অলরাউন্ডার কুসুমে।"
.
লেখক তার কলমের যাদুকরী শক্তিতে বস্তির সেই নম্র-ভদ্র এবং ভীত মেয়েটিকে যেভাবে রুপায়িত করে আমাদের সম্মুখে ফুঁটে তুলেছেন তাতে পরিষ্কার যে, লেখকের মানষপটে নারী মুক্তির এক অনির্বাণ শিখা সদা প্রোজ্জ্বলিত। মূলত সেই শক্তির বলে লেখক সমাজের উপেক্ষিত, অবহেলিত ও নির্যাতিত নারী সমাজের প্রতি জোড়ালো আহ্বান করে বলেছেন, আমাদের মুক্তির জন্য সবার আগে আমাদেরই(নারীদেরই) জাগতে হবে। অপরদিকে আফজাল আহমেদ আপরাধের দায়ে নিজ পুত্রকে আইনের সপর্থ করে যে বিরল দৃষ্টান্তের জন্ম দিয়েছেন তা মূলত- আজকের এই বিবেক বিবর্জিত সমাজে বিবেকেরই শুভোদয়।
অনিশ্চিত মুক্তির বেদনা নিয়ে যখন অবহেলিত, উৎপীড়িত, নির্যাতিত এবং অবলা নারী সমাজ একবুক হুতাশায় বলে- গরিবের আবার ইজ্জত কী?
ঠিক তখনি ভীত-সন্ত্রস্ত নারী সমাজের মুক্তির দূত হয়ে লেখক ঘোষণা করলেন জাগরণী মুক্তির বার্তা-
আলরাউন্ডার শব্দটা কী শুধুই পুরুষের জন্য?
এর মধ্য দিয়ে পুরিষ্ফূটিত হয় লেখকের হৃদয়ে জমানো নারী সমাজের মুক্তির প্রবল বাসনা। লেখক সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই লেখালেখি করেন এ কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁর লেখনি যেমন ধারালো তেমনি মাধুর্যপূর্ণ। প্রেম, দ্রোহ আর মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধ তাঁর সাহিত্যের বড় গুণ। পরিশেষে বলা যায়, "পিঙ্গল জীবন" লেখকের একটি অনবদ্য সৃষ্টিকর্ম ও সার্থক উপন্যাস।


বইয়ের নাম ও ধরণঃ
"পিঙ্গল জীবন", উপন্যাস


ঔপন্যাসিকঃ
সখিনা সুলতানা ঝর্ণা


Fb Link:
Sakhina Sultana Jharna


লেখক পরিচিতিঃ
জন্ম স্থান রাজশাহী জেলা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায় থেকে লোকপ্রশাসনে কৃতিত্বের সাথে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। বিসিকে কর্মজীবনের শুরু হলেও মাঝে কুষ্টিয়া মহিলা কলেজে শিক্ষকতা এবং বর্তমান টিএমএসএসে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করছেন। তিনি একাধারে কবি, লেখক, প্রাবন্ধিক, সমাজকর্মী এবং গার্লস গাইড। কবির প্রকাশিত অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ "নিপুন শব্দস্রোত" (যৌথ), "ছোঁয়ালে তোমার হাতখানি", "ধোঁয়াচ্ছন্ন কুয়াশা" (যৌথ), পিঙ্গল জীবন ইত্যাদি।


প্রকাশনীঃ
বলাকা


প্রকাশকঃ
শরীফা বুলবুল


প্রচ্ছদঃ
মোস্তাফিজ কারিগর


ISBN:
978-984-93137-9-3


ওয়েব সাইটঃ
www.balakaprokashon.com


পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ
৯৪


মূল্যঃ
২০০/-


প্রাপ্তিস্থানঃ
বলাকা প্রকাশনী


ব্যক্তিগত মতামতঃ
"যখন কবি আর কবিতা নিয়ে যুদ্ধ তখন পিঁছিয়ে পড়া নারীর কবিতার ময়দানে এক পাহাড় প্রত্যয় ও দৃঢ় বিশ্বাসের নাম- 'সখিনা সুলতানা ঝর্ণা'।"

শুধু এক দিক না, উল্টোটাও দ্যাখো


শুধু এক দিক না, উল্টোটাও দ্যাখোঃসুহৃদ সরকার
বাবা একটি পত্রিকা পড়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু তার ছোট ছেলেটি বারবার সেটি ধরে টানাটানি করছে। এতে অনেকটা বিরক্ত হয়ে বাবা একটা বুদ্ধি বের করল। পত্রিকা থেকে একটা পাতা ছিঁড়ে ফেললেন - যাতে পৃথিবীর একটা ম্যাপ ছিল। বাবা সেই পৃষ্ঠাটি ছিঁড়ে কয়েক টুকরা করে ছেলেকে দিলেন। 
“এখন তোমার হাতে কিছু কাজ আছে। আমি যে ম্যাপটা দিয়েছি সেটি ঠিকমতো জোড়া লাগাও, ঠিকভাবে।”

বাবা এবার পড়া শুরু করলেন, ভাবলেন এই ম্যাপটা জোড়া লাগানো সোজ কথা নয়। এখন আর বিরক্ত করার সময় পাবে না ছেলেটা। সারাদিন ব্যস্ত থাকবে সেটি নিয়ে। কিন্তু পনের মিনিট পরই ছেলেটা সেই ম্যাপ হাতে নিয়ে হাজির।
“তোমার মা কি তোমাকে ভুগোল পড়াচ্ছে নাকি?” অবাক হয়ে জানতে চাইলেন বাবা।

ভুগোল কি জিনিস আমি জানি না,” বলল ছেলেটি। “কিন্তু এই পৃষ্ঠার উল্টা দিকে একটা মানুষের ছবি আছে, আমি সেই মানুষটাকে জোড়া লাগানোর চেষ্টা করেছি। আর সেটি মিলালেই দেখতে পেলাম পৃথিবীর ম্যাপটাও মিলে গেছে।

রেলমন্ত্রীর কাছে আন্তঃনগর ট্রেনের দাবী জানালো 'কুড়িগ্রাম সোসাইটি'


কুড়িগ্রাম থেকে সরাসরি ঢাকা পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেন চলাচলের দাবি নিয়ে রেলপথ মন্ত্রীর সাক্ষাৎ করেছে ঢাকায় বসবাসরত কুড়িগ্রাম জেলাবাসীর সংগঠন ‘কুড়িগ্রাম সোসাইটি, ঢাকা’র একটি প্রতিনিধি দল।

সোমবার(১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এমপি হোস্টেলে রেলপথ মন্ত্রী এডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজনের সাথে দেখা করেন সমিতির সদস্যরা।
এ সময় রেলমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে কুড়িগ্রাম থেকে সরাসরি ঢাকা পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবি উপস্থাপন করেন তারা। রেলমন্ত্রী সবার কথা মনযোগ দিয়ে শোনেন এবং সার্বিক বিষয় খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের সময় কুড়িগ্রাম সোসাইটির উপদেষ্টা সালেক সাব্বির আহমেদ রুবেল, সোসাইটির সহ-সভাপতি কুড়িগ্রামের কৃতী কন্যা সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও ক্রীড়া সংগঠক রেহেনা পারভিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন রিপন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম পারভেজ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান,রাকিবুল হাসান রাহুল, প্রচার সম্পাদক আনু ইসলাম,সহ-প্রচার সম্পাদক মমিনুল ইসলাম,তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাকিউল ইসলাম বাপ্পি ও অন্যন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কে কতো বড় চোর?



ফ্রান্সের এক ব্যাংকে ডাকাতির সময়...ডাকাত দলের সর্দার বন্দুক হাতে নিয়ে সবার উদ্দেশ্যে বললো, "কেউ কোন নড়াচড়া করবেন না, টাকা গেলে যাবে সরকারের কিন্তু জীবন গেলে যাবে আপনার। তাই ভাবনা চিন্তা করে আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করুন।"
এই কথা শোনার পর, সবাই শান্ত হয়ে চুপচাপ মাথা নিচু করে শুয়ে পড়েছিল।
এই ব্যাপারটাকে বলে "Mind Changing Concept” অর্থাৎ মানুষের ব্রেইনকে আপনার সুবিধা অনুযায়ী অন্যদিকে কনভার্ট করে ফেলা।
সবাই যখন শুয়ে পড়েছিল, তখন এক সুন্দরী মহিলার অসাবধানবশত তার কাপড় পা থেকে কিছুটা উপরে উঠে গিয়েছিল। ডাকাত দলের সর্দার তার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলে উঠল, "আপনার কাপড় ঠিক করুন! আমরা ব্যাংক ডাকাতি করতে এসেছি, রেপ করতে না।"
এই ব্যাপারটাকে বলে "Being Professional” অর্থাৎ আপনি যেটা করতে এসেছেন, ঐটাই করবেন। যতই প্রলোভন থাকুক অন্যদিকে মনোযোগ দেওয়া যাবে না।
যখন ডাকাতরা ডাকাতি করে তাদের আস্তানায় ফিরে এলো.....তখন এক ছোট ডাকাত(MBA পাশ করা) ডাকাত দলের সর্দার(যে Class 5 পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে) -কে বললো, "বস চলেন টাকাটা গুনে ফেলি।"
ডাকাত দলের সর্দার মুচকি হেসে বললো, তার কোনই প্রয়োজন নেই। একটু পরে টিভি ছাড়লেই নিউজ চ্যানেলগুলোই বলে দিবে আমরা কত টাকা নিয়ে এসেছি। ;)
এই ব্যাপারটাকে বলে "Experience" 
অভিজ্ঞতা যে গতানুগতিক সার্টিফিকেট এর বাইরে যেয়েও কাজ করতে পারে, ইহা তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ।
ডাকাতরা চলে যাওয়ার সাথে সাথেই, ব্যাংকের কর্মচারি...ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে ছুটে এসে বললো, স্যার তাড়াতাড়ি চলেন পুলিশকে ফোন দেই....এখন ফোন দিলে ওরা বেশিদূর যেতে পারবে না। 
ব্যাংক ম্যানেজার কর্মচারিকে থামিয়ে দিয়ে বললো, ওদের -কে আমাদের জন্যই এই ২০ মিলিয়ন টাকা নিয়ে যেতে দেওয়া উচিত, তাহলে আমরা যে ৭০ মিলিয়ন টাকার গরমিল করেছি, তা এই ডাকাতির ভিতর দিয়েই চালিয়ে দেওয়া যাবে।
এই ব্যাপারটাকে বলে, "Swim with the tide" অর্থাৎ নিজের বিপদকেও বুদ্ধি দিয়ে নিজের সুবিধা হিসেবে ব্যবহার করা।
কিছু সময় পরেই টিভিতে রিপোর্ট আসলো, ব্যাংক ডাকাতিতে ১০০ মিলিয়ন টাকার ডাকাতি। ডাকাতরা সেই রিপোর্ট দেখে বারবার টাকা গুনেও ২০ মিলিয়ন এর বেশি বাড়াইতে পারল না। ডাকাত দলের সর্দার রাগে ক্রুদ্ধ হয়ে বললো,"শালা আমরা আমাদের জীবনের ঝুকি নিয়ে, এত কিছু ম্যানেজ করে মাত্র ২০ মিলিয়ন টাকা নিলাম। আর ব্যাংক ম্যানেজার শুধুমাত্র এক কলমের খোঁচাতেই ৮০ মিলিয়ন টাকা সরিয়ে দিল। শালা চোর ডাকাত না হয়ে পড়াশোনা করলেই ত বেশি লাভ হইত।"
এই ব্যাপারটাকে বলে "Knowledge is worth as much as gold!"
অর্থাৎ অসির চেয়ে মসী বড়।
ব্যাংক ম্যনেজার হাসছে, কেননা তার লাভ ৮০ মিলিয়ন। ৭০ মিলিয়ন টাকার গরমিল করেও সে আরো ১০ মিলিয়ন টাকা নিজের পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেছে।
এই ব্যাপারটাকে বলে, "Seizing the opportunity/Daring to take risks!"
অর্থাৎ সুযোগ থাকলে তাকে কাজে লাগানোই উচিত। 
তাহলে এই ডাকাতিতে লাভ টা হইলো কার?
তাই লেখাপড়া ই সবচেয়ে বড় বিজনেস।

[ভিনদেশি রম্যরচনা থেকে অনুবাদকৃত]
Collected