This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

ফ্রি ডাউনলোড করুন

A BROKEN DREAM: Rule of Law, Human Right, & Democracy by JUSTICE SURENDRA KUMAR SINHA



সীমাহীন দুর্ভোগে ২০ হাজার জনসাধারণ

রতনপুর থেকে মধুরহাইল্যা রাস্তার বেহাল দশা

  • হাফিজুর রহমান হৃদয়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:


কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রতনপুর থেকে মধুর হাইল্যা পর্যন্ত কাচা রাস্তাটি বেহাল অবস্থা হওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার জনসাধারণ। পাকাকরণ না হওয়ায় শিক্ষা ও ব্যবসাসহ অন্যান্য উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে। সরেজিমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের রতনপুর এলাকা থেকে নাগেশ^রী পৌরসভার মধুর হাইল্যা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার কাচা রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। কোনো যান চলাচল করতে পারে না। রাস্তাটি দিয়ে বোর্ডেরবাজার, আদর্শপাড়া, সাপখাওয়া, তেলিয়ানিপাড়, মোল্লারভিটা, মধুরহাইল্যাসহ কয়েক এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচলল করে। ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষাসহ সকল প্রকার যোগাযোগের মাধ্যম এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে প্রায় ১ হাজার জনসাধারন। বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়নে এসব অঞ্চলের মানুষ খুশি থাকলেও তাদের মাঝে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই রাস্তাটি। সামান্য বৃষ্টিতেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। বেহাল রাস্তাটিতে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানা-খন্দক। বিভিন্ন জায়গায় দেবে গিয়ে উঁচু-নিচু হয়েছে। বৃষ্টির দিনে পানি আর কাদা জমে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় পথচারীদের। অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের কারনে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার এসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। এ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি তুলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে আন্দোলন করে আসছেন সামাজিক সংগঠন উচ্ছ¡াস এর যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান। তিনি প্রতিনিয়ত সাংবাদিক, স্থানীয় সরকার, রাজনীতিবিদ, ও সরকারি কর্মকর্তাসহ, চেয়ারম্যানগণকে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি তুলে ধরছেন। এ বিষয়ে মিজানুর রহমান মিজান বলেন, সাপখাওয়া বাজারে আমার ছোট খাটো একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু বাজার যেতে আমাদের কষ্টের সীমা থাকে না। বৃষ্টির দিনে রাস্তা দিয়ে চলাচর করতে পারি না। সাপখাওয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ডা. শেখ মো. নুর ইসলাম জানান, আমাদের বাড়ি থেকে বাজার যাওয়া আসার রাস্তাটিতে কয়েক জায়গায় বড় বড় গর্ত ও খানা খন্দক রয়েছে। গাড়ি নিয়ে বের হওয়া যায না। বৃষ্টির দিনে যাতায়াতই বন্ধ করি। নাগেশ^রী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী মোর্শেদা, লিজা বলেন প্রতিনিয়ত আমরা এ রাস্তা দিয়ে কলেজে যাই। রাস্তা খরাপের কারনে দ্বিগুন ভাড়া দিলেও রিকশা যায় না। তাই হেঁটে যেতে হয়। সাপখাওয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, রয়হান, লিপা, রাহাত বলেন বৃষ্টির দিনে আমরা স্কুলে যেতে পারি না। আমাদের অনেক সমস্যা হয়। অনেক সময় পিছলে পড়ে যায় অনেকেই। রতনপুর এলাকার বাসিন্দা রায়গঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসম আব্দুল্লাহ আল ওয়ালিদ মাসুম বলেন, কয়েক এলাকার মানুষের চলাচলের মাধ্যম এই রাস্তা। কিন্তু এই কাচা রাস্তাটি পাকাকরণ না হওয়ায় অনেকদূর ঘুরে উপজেলা ও জেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়। এতে খরচও দ্বিগুণ পড়ে। রাস্তাটি অবিলম্বে পাকাকরণ হলে প্রায় ২০হাজার মানুষ কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে। উপজেলা প্রকৌশলী বাদশা আলমগীর বলেন রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য একটি প্রকল্পে ধরা আছে। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে।

কুড়িগ্রামে দুই কিশোর-কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার



  • হুমায়ুন কবির সূর্য্য, কুড়িগ্রাম থেকেঃ




আজ(১৯/০৯/১৮) কুড়িগ্রামে দুই কিশোর-কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার ভোরে সদর উপজেলার বিসিক শিল্পনগরীর কাছে নলেয়ার পাড় এলাকায় পরিত্যক্ত সেচ পাম্পের কাছে তাদেরকে পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকান্ড বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, নিহতের মধ্যে সেলিনা আক্তার (১৪) আমিন উদ্দিন দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ডাকুয়াপাড়া গ্রামের জাবেদ আলীর মেয়ে। অপর কিশোর জাহাঙ্গীর আলম (১৬) কুড়িগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র এবং পাশর্^বর্তি পূর্ব কল্যাণ গ্রামের সৈয়দ আলীর পূত্র। সদর থানা পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করে। মরদেহ দুটি’র গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। 
স্থানীয়রা জানান, নিহত দু’জনকে সাইকেলে করে গতকাল ঘুড়তে দেখেছে অনেকেই। স্থানীয়দের ধারণা প্রেমের সম্পর্ক থেকে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবার উদ্দেশ্যেই তারা বের হয়েছিল। 
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম জানান, সুরতহাল রির্পোট অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে হত্যাকান্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

কবিতা আবৃত্তি: জেলখানার চিঠি | নন্দদুলাল মণ্ডল

জেলখানার চিঠি

নাজিম হিকমতের কবিতা : জেলখানার চিঠি
অনুবাদ - সুভাষ মুখোপাধ্যায়
 আবৃত্তি : নন্দদুলাল মণ্ডল

ইরাটোস্থেনিস কর্তৃক পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় | শুভাশীষ চিরকল্যাণ পাত্র



খ্রীষ্টপূর্ব্ব তৃতীয় শতাব্দীতে গ্রীক পণ্ডিত ইরাটোস্থেনিস কেমন করে পৃথিবীর পরিধি মেপেছিলেন তা এখানে সংক্ষেপে বলব। ইরাটোস্থেনিস (খ্রীঃপূঃ ২৭৩–১৯২) ছিলেন আর্কিমিডিসের ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর চেয়ে ১৩-১৪ বছরের ছোটো। তাঁর কর্মস্থল ছিল মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায়। আলেকজান্দ্রিয়া ছিল তখনকার এক বিখ্যাত নগরী। আলেকজাণ্ডারের মৃত্যুর পর তাঁর সাম্রাজ্য তিন সেনাপতির মধ্যে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। মিশর পড়েছিল টলেমির ভাগে। তিনি রাজধানী স্থাপন করেছিলেন মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায়। টলেমি বংশীয় রাজারা বিদ্যার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এবং তাঁদের রাজধানীতে সে যুগের বড় বড় পণ্ডিতদের ডেকে এনেছিলেন। আলেকজান্দ্রিয়ায় গড়ে উঠেছিল এক পৃথিবীবিখ্যাত গ্রন্থাগার। সেই গ্রন্থাগারের প্রধান গ্রন্থাগারিক ছিলেন ইরাটোস্থেনিস। 

পৃথিবীর ব্যাসের তুলনায় সূর্য এত দূরে যে পৃথিবীর সব স্থানে পতিত সৌররশ্মি পরস্পর সমান্তরাল হয়। পৃথিবী সমতল হলে একটা কূয়োর জলে রোদ পড়লে সব কূয়োর জলেই রোদ পড়ত। কিন্তু পৃথিবী গোলকাকার। ইরাটোস্থেনিস লক্ষ্য করেছিলেন যে, সূর্য্যের উত্তরায়নের দিন দুপুরবেলায় সৌররশ্মি কর্কটক্রান্তিরেখার উপর অবস্থিত সীন নামক স্থানের গভীর কূয়োর তলদেশ অবধি পৌঁছায় (জলে রোদ পড়ে) অথচ সেখান থেকে প্রায় ৫০০ মাইল উত্তরে অবস্থিত তাঁর কর্ম্মস্থল আলেকজান্দ্রিয়ার কূয়োর জলে বছরের কোনো দিনই রোদ পড়ে না। এই ঘটনার কারণ কী? এর কারণ হল আলেকজান্দ্রিয়ার কূয়ো আর সীনের কূয়ো পরস্পর সমান্তরাল নয় — কূয়ো দুটি ভূকেন্দ্রে ৭.২° কোণ উৎপন্ন করে (সঙ্গের ছবি দেখুন)। ছবি দেখে বুঝতে পারা যায় ভূগোলকের ৭.২° মাপের একটি চাপের দৈর্ঘ্য ৫০০ মাইল (AS=৫০০ মাইল)। তাহলে সম্পূর্ণ ভূগোলকের পরিধি কত হবে? সেটা ঐকিক নিয়মের অঙ্ক:

 ৭.২° চাপের দৈর্ঘ্য = ৫০০ মাইল।
 বা ১° চাপের দৈর্ঘ্য = ৫০০÷৭.২ মাইল।
 বা ৩৬০° চাপের দৈর্ঘ্য = (৫০০÷৭.২)x৩৬০ মাইল = ২৫০০০ মাইল।

এই হল পৃথিবীর পরিধি। ইরাটোস্থেনিসের মতে আলেকজান্দ্রিয়া থেকে সীনের দূরত্ব ৫০০০ স্টাডিয়া (১ স্টাডিয়া মানে গ্রীকদের একটি স্টেডিয়ামের দৈর্ঘ্য), তাই পৃথিবীর পরিধি = (৩৬০÷৭.২) x৫০০০= ২৫০০০০ স্টাডিয়া। এখন গ্রীকদের একটি স্টেডিয়ামের দৈর্ঘ্য ঠিক কত ছিল তা নিয়ে বিতর্ক আছে। 

পৃথিবীর পরিধি যদি ২৫০০০ মাইল হয় তাহলে তার ব্যাস কত? গোলকের পরিধিকে ৩.১৪ দিয়ে ভাগ করলে তার ব্যাস পাওয়া যায়। তাহলে পৃথিবীর ব্যাস = (২৫০০০÷৩.১৪) মাইল = ৭৯৬১ মাইল (প্রায়)। মনে রাখুন পৃথিবীর ব্যাস মোটামুটি ৮০০০ মাইল। তাহলে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ প্রায় ৪০০০ মাইল। যদি আরো সঠিক জানতে চান তো বলি পৃথিবীর ব্যাসার্ধের অধুনা নির্ণীত মান ৩৯৫৯ মাইল।

প্রশ্ন: আলেকজান্দ্রিয়ার কূয়া আর সীনের কূয়ার ভিতরের কোণটার মান যে ৭.২° ইরাটোস্থেনিস তা কী করে জেনেছিলেন? উত্তরে বলি যে ঐ দিন সীনে সূর্য্যকে দেখা যায় আকাশের সুবিন্দুতে আর আলেকজান্দ্রিয়ার আকাশে সূর্য্যকে দেখা যায় সুবিন্দু থেকে ৭.২° দক্ষিণে। ছবিতে দেখুন যে, মধ্যাহ্ন সূর্য্যের এই অবনমনই (যা সহজেই মাপা যায়, তবে তার পদ্ধতিটা এখন বলার অবকাশ নাই) আলেকজান্দ্রিয়া ও সীনের দুই কূয়ার ভিতরের কোণ, যা ইরাটোস্থেনিস মেপেছিলেন। তারপরের প্রশ্ন: ইরাটোস্থেনিস আলেকজান্দ্রিয়া থেকে সীনের দূরত্বটা কী ক'রে মাপলেন? উত্তরে বলি যে, সেজন্য উনি একটা লোক ভাড়া করেছিলেন। সেই লোকটা একটা উটের পিঠে মরুভূমি (মিশর মরুভূমির দেশ) পেরিয়ে চলে গেল আলেকজান্দ্রিয়া থেকে সীন। তাতে ক'দিন লাগল, একটা উট দিনে কতক্ষণ চলে আর কতক্ষণ বিশ্রাম নেয়, উটের গতিবেগ কত — এইসব তথ্য থেকে সহজেই বেরিয়ে যায় আলেকজান্দ্রিয়া থেকে সীনের দূরত্ব।

ইরাটোস্থেনিস যে পদ্ধতিতে পৃথিবীর পরিধি মেপেছেন তা বেশ সুন্দর! তাঁর পরিমাপে কিছুটা ভুল হয়েছিল (আমি আধুনিক মানগুলি দিয়েছি), কিন্তু আজকের দিনে এই পদ্ধতিতে অনায়াসে পৃথিবীর পরিধির মান সূক্ষ্মভাবে নির্ণয় করা যায়। তাঁর পদ্ধতিটা একদম ঠিক, এখানেই তাঁর কৃতিত্ব। এখন আপনারা এই বিষয়টি নিয়ে আরো আলোচনা করলে অনেকে উপকৃত হবেন। ধন্যবাদ।

স্বপ্ন | বিপ্লবী সাজু

                      বিপ্লবী সাজু


তুই আর কত স্বপ্ন দেখাবি...অভি
সিড়ি বেয়ে চাদের দেশে 
নিবি।
কাগজের নৌকা করে
মহাসাগর পাড়ি দিবি।

মহাকাশে স্যাটেলাইট হয়ে নয়
নক্ষত্র হয়ে জ্বলবি নিশিত রাতে।
সারা গায়ে চাদের আলো মেখে
চিনতে যেন পারেনা কেউ প্রাতে।।

মেঘলা আকাশে একটু লূকোচূরি

হালকা খুনটুসি।

চঞ্চলা বালিকার বাম পাজরে
হালকা দেওয়া ঘুসি।

বৃষ্টি হয়ে ভিজিয়ে দিতে..
কিশোরীর নরম গা।
সাবধানে চলতে গিয়েও
পিছলে পরবে পা ।।

অট্টহেসে  তাকিয়ে কিশোর 
কিশোরীর পানে চেয়ে।
ঝরের তালে উম্মাদ বালক
আপন মনে গেয়ে।

কাগজের দূরবীণ | শুভাশীষ চিরকল্যাণ পাত্র

শুভাশীষ চিরকল্যাণ পাত্রের তৈরি কাগজের দূরবীণ


সম্প্রতি বাড়ীর কিছু বাতিল দ্রব্য থেকে আমি একটি ছোটো দূরবীণ তৈরী করেছি। সঙ্গে তার ছবি দিলাম। এই দূরবীণের নলটার অনেকটাই কাগজের তৈরী, তাই একে কাগজের দূরবীণ বলছি। এখন এই দূরবীণ নিয়ে কিছু কথা বলি।

বাড়ীতে একটা বহু দিনের পুরাণো ও খারাপ হয়ে যাওয়া ১৫x৫০ প্রিজম বাইনোকুলার ছিল। তার চারটা প্রিজমের একটা ভাঙা, তাছাড়া তাতে একটা জিনিষকে দু'টা দেখাত। এর ফলে সেটাকে বিশেষ ব্যবহার করা যেত না। সেই বাইনোকুলারের একটা অভিলক্ষ্য (যা একটি উত্তল লেন্স মাত্র), বাড়ীতে থাকা একটা পুরাণো অণুবীক্ষণের অভিনেত্র (মাইক্রোস্কোপের আইপিস) আর কিছুটা কাগজের নল দিয়ে আমি বর্ত্তমান ক্ষুদ্র দূরবীণটি তৈরী করেছি। এই দূরবীণের কাগজের নলটার এক দিকে আছে উত্তল লেন্সটা (যা  এর অভিলক্ষ্য), অন্যদিকে (সরু দিকটায়) আছে অভিনেত্রটা। ব্যাস! আর কিছু এতে নাই। নলটার দৈর্ঘ্য ঐ লেন্সের (অভিলক্ষ্যের) ফোকাস দূরত্বের সমান। কাছের ও দূরের বস্তু দেখার জন্য অভিনেত্রটাকে কাগজের নলের ভিতর দিয়ে সামনে-পিছনে সরিয়ে বস্তুটিকে ফোকাস করা যায়। এই কাজে সুবিধার জন্য একটা জলের বোতলের মুখের অংশটা কেটে নলের সরু প্রান্তটার ভিতরে লাগিয়ে দিয়েছে (সূতা দিয়ে খুব শক্ত করে বাঁধা আছে)। অভিনেত্রটা তার ভিতর দিয়ে স্বচ্ছন্দে যাতায়াত (sliding) করতে পারে। সবকিছু আটকাতে সূতা, টেপ, লিউকোপ্লাস্টার ইত্যাদি ব্যবহার করেছি। সবকটি দ্রব্যই বাড়ীতে ছিল, তাই এই দূরবীণ বানাতে আমার এক পয়সাও খরচ হয়নি।

এই দূরবীণে চাঁদের পাহাড়, বৃহস্পতির চারটি বৃহৎ উপগ্রহ, অ্যাণ্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি, শুক্রের কলা (সরু কাস্তের মতো দশাটা), তারাপুঞ্জ (Star clusters) ইত্যাদি দেখা সম্ভব। কৃত্তিকা, মৌচাক ইত্যাদি পুঞ্জগুলিকে এতে নয়নাভিরাম লাগে...

এই দূরবীণে চাঁদের পাহাড়, বৃহস্পতির চারটি বৃহৎ উপগ্রহ, অ্যাণ্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি, শুক্রের কলা (সরু কাস্তের মতো দশাটা), তারাপুঞ্জ (Star clusters) ইত্যাদি দেখা সম্ভব। কৃত্তিকা, মৌচাক ইত্যাদি পুঞ্জগুলিকে এতে নয়নাভিরাম লাগে। অবশ্য শনির বলয়টা এতে দেখা সম্ভব নয়। এটাকে একটা ষ্ট্যাণ্ডে লাগাতে পারলে আকাশ দেখার আরো সুবিধা হতে পারে, কিন্তু সে ব্যবস্থা আমি করে উঠতে পারিনি।

প্রসঙ্গত, গ্যালিলিওর তৈরী দূরবীণ (যা দিয়ে তিনি আকাশপর্যবেক্ষণে  যুগান্তর এনেছিলেন) এর চেয়ে খুব একটা বেশী শক্তিশালী ছিল না। আমি যেখানে অভিনেত্র (আইপিস) হিসাবে একটা মাইক্রোস্কোপের অভিনেত্র ব্যবহার করেছি, গ্যালিলিও সেখানে অভিনেত্র হিসাবে একটা ছোটো অবতল লেন্স মাত্র ব্যবহার করেছিলেন। তার ফলে তাঁর দূরবীণে প্রতিবিম্ব সোজা দেখাত। সেই তুলনায় আমার এই দূরবীণে প্রতিবিম্ব উল্টা (inverted) দেখায়। তবে আকাশ দেখার সময় তাতে কোনো অসুবিধা হয় না।

আপনাদের কারো বাড়ীতে একটি ভাল মানের উত্তল লেন্স  থাকলে তিনি এমন একটি দূরবীণ বানানোর চেষ্টা করতে পারেন। অভিনেত্র কলকাতার কলেজ ষ্ট্রীট থেকে কিনে নিতে পারেন।
  • ওপার বাংলার লেখকঃ শুভাশীষ চিরকল্যাণ পাত্র



জরীফ উদ্দীনের খোলা চিঠি | জরীফ উদ্দীন

জরীফ উদ্দীন


তুই গরীব, তুই কথা কইস না।
তুই না খেয়ে মর কিংবা বিষ আলু খেয়ে মর। তবুও তুই প্রশ্ন করবি না কেন তুই দারিদ্র্যের শীর্ষে। না তুই বলতেই পাবি না কারণ এখানে শুধু তুই থাকিস না থাকে ভদ্দর লোকও। ওদের ইজ্জত বলতে তো কথা আছে!
শরম তখন লাগে না যখন কেউ জাল পরে গতর ঢাকে? ইজ্জত তখন যায় না যখন বিষাক্ত আলু খেয়ে মানুষ মারা যায় খুদার তাড়নায়? যখন চড়া মূল্য দিতে না পারায় বাসের সাদে করে ঢাকা, ফেনি, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা যায় কাজের জন্য  কিংবা যখন ফিরে আসে। তখন কোথায় থাকে আপনাদের লজ্জা? তোরা এই প্রশ্নও করতে পাবি না। কারণ তোরা গরিব।
তোদের জেলা দারিদ্র্য শীর্ষে থাক। তুইও বছরের পর বছর চ্যাম্পিয়ন হ দারিদ্র্যে। আর ওরা ওদের জমিদারি টিকিয়ে রাখুক, ওদের ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়াক, ওদের ছেলে মেয়েররা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল পড়ুক, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুক, ঢাকায় ওরা ফ্লাট কিনে নেক, ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করুক ইত্যাদি ইত্যাদি। তুই চেয়ে দেখ। কারণ তুই পাবি না তোর ভাগ্যের চাকা উল্টাতে। 
আর যদি চাকা উল্টাতে চাস তাহলে আওয়াজ তোল:

১. বালাসিঘাট-দেওয়ানগঞ্জ টানেলের সাথে লালমনিরহাট/কুড়িগ্রাম জেলাকে যুক্ত করতে চিলমারী-সুন্দরগঞ্জ তিস্তা সেতুতে রেলপথ যুক্ত কর। 
২. বর্তমান চিলমারী-ঢাকা রুটে ভাওয়াইয়া এক্সপ্রেস চালু; 
৩. একাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা; 
৪. নবায়ণযোগ্য ৫শ মেঃ ক্ষমতার সৌরবিদ্যূৎকেন্দ্র নির্মাণ; 
৫. সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক বিশ্ববিদ্যালয়; 
৬. মাছ-পাখি-প্রাণ ও জমি রক্ষায় স্থানীয় ও জাতীয় বালুদস্যুদের হটাও ও ব্রহ্মপুত্রের খনিজ ভিত্তিক শিল্পায়ণ; 
৭. রৌমারীকে মুক্তাঞ্চল হিসেবে গেজেট প্রকাশ, ভাঙ্গন থেকে রক্ষা ও গ্যাস পাইপ-রেললাইন সম্প্রসারণ; 
৮. কুড়িগ্রাম থেকে সোনাহাট স্থলবন্দর পর্যন্ত রেলসংযোগ; 
৯. চিলমারী টু রৌমারী/রাজীবপুর ফেরী সংযোগ চালু; 
১০. লালমনিরহাট বিমানবন্দর পুনরায় চালু; 
১১. মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত গরীব কৃষকদের রক্ষা; ১২. কুড়িগ্রাম জেলার জন্য বিশেষ বাজেট চালু করতে হবে।

ফিরোজ সরকার- এক অদম্য শিল্পী | আনু ইসলাম

শিল্পী ফিরোজ সরকার


চার(০৪) বছর বয়সে প্রাণ প্রিয় মা'কে চিরদিনের জন্য হারাবার পর লেখাপড়ায় মন বসতোনা, এমনকি বসাতেও পারতেননা। ভালোলাগতোনা কোন কিছুই। এদিক সেদিক করে চৌঁদিকে ছুটতেন তো ছুটতেন কেবলই কষ্টের বিপরীতে একটু যুত-কিঞ্চিত সুখের তরে। দিন যায় রাত কাটে অন্তরে বাসা বাঁধা কষ্টের সমাধান অসমাপ্তিই রয়ে যায়। বড়ই নিঃসঙ্গতা, একাকিত্ত্ব আর হতাশায় কাটে প্রতিটি মুহূর্ত। জানে ফিরে পাবেনা তবুও পাগলের মত খুঁজে ফেরত মা'কে। শান্ত্বনা নামের আল্পনা আর প্রকৃতির সুন্দর্যে খুঁজে নিত শূণ্য হৃদয়ে একতিলক শীতল মমতা। এ যেন শুষ্ক উত্তপ্ত বালির বুকে কিঞ্চিত জলে কেবলই শীতলতা আনার মত। যেখানে বুক ভরেনা শূণ্যতা রয়েই যায় তথাপিও। তবু কিছুটা লেখাপড়া করেছে নানার বাসায়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে একমাত্র অবশিষ্ট আপন সম্বল নানীও বিডিআর বিদ্রোহকালীন সময়ে ইন্তেকাল করেন। আপন বলতে আর কেউ রইলোনা। 


এমন এ অভাগা দিনে অশান্ত ক্লান্ত কমল মনে বয়ে আসে এক মহিয়সী নারীর প্রেম। বড়ই উল্মাদ হয়ে পড়েন ফিরোজ ভাইয়া। অতঃপর জীবন সঙ্গীনি সেই সে অপূর্ব নারী। শূণ্যতার বুকে পূর্ণতা আর নিরাশার বুকে আশা নিয়ে বাঁচতে শিখেন ফিরোজ ভাই। নিজেকে সাজিয়ে নেন হরেক রঙে


এমন এ অভাগা দিনে অশান্ত ক্লান্ত কমল মনে বয়ে আসে এক মহিয়সী নারীর প্রেম। বড়ই উল্মাদ হয়ে পড়েন ফিরোজ ভাইয়া। অতঃপর জীবন সঙ্গীনি সেই সে অপূর্ব নারী। শূণ্যতার বুকে পূর্ণতা আর নিরাশার বুকে আশা নিয়ে বাঁচতে শিখেন ফিরোজ ভাই। নিজেকে সাজিয়ে নেন হরেক রঙে। কর্মের সন্ধানে রাজারহাট থেকে ছুটে আসেন কুড়িগ্রাম সদরে। কাজও পান। স্টিল মিস্ত্রির কাজ। মন বসতনা কোন ভাবেই। পরবর্তিতে কলেজ মোড়ে আর্ট স্টোল দেন। মনের আনন্দে অন্তরের মাধুরী মিশায়ে দিন-ভর কাজ আর কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। অনেকবার বিভিন্ন কারনবশত স্থান পরিবর্তন করলেও ২০০৭ সালে তর্তাবোধায়ক সরকার ফকরুদ্দিন এর শাষনামলে উচ্ছ্বেদ করে দেওয়া হয় ফিরোজ ভাইয়ার চির সাধনার সেই আর্ট স্টোল। অর্থনৈতিকভাবে প্রায় পঙ্গু হয়ে যান ভাইয়া। তন্মধ্যে ভাবি হঠাৎ ব্রেইন স্টক করলে বড়ই হিমশিমে পরে যান এবং অনেক ঋৃণ করে বসেন। হাস্যজ্জ্বল সংসারে নেমে আসে এক গাঢ়কালো নিষ্ঠুর নির্মম হতাশা ও দূর্দিন। কিন্তু ভাইয়া তাতেও সাহস হারাননি। একনিষ্ঠ কাজ করতেন। আজ তিনি ঋৃণ মুক্ত প্রায়। তাই অন্য দশ জনের মতই একটু ভালোভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্ন দেখেন তার দুটি বাচ্চার ভালো একটা ভবিষ্যতের। হয়তো প্রশ্ন করছেন নিজেকে, যে কে এই ফিরোজ???


ফিরোজ ভাই অন্য কেউ না। একজন সাদামাটা আর সহজ সরল প্রাঞ্জল মনের মানুষ। পেশায় আর্টিস এবং ফটোগ্রাফার।যিনি অসামান্য ঋৃণে ঋৃণী করেছেন কুড়িগ্রামবাসীকে। যার তুলির ছোয়ায় আজও জীবন্ত হয়ে আছে কুড়িগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ফলক, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের শহীদ মিনার, ইতিহাস বিভাগের দেয়ালে দিপ্তমান শেখ মুজিবের সেই ঐতিহাসিক প্রতিচ্ছবি(যা বর্তমানে চুনকামে ঢাকা), রোভার স্কাউট সহ প্রতিটি বিভাগের ব্যানার দেয়ালিকায় জীবন্ত হয়ে আছে উনার হাতের পরশ। যিনি দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রমের দ্বারা কুড়িগ্রামের জর্জ কোর্ট এলাকা, নাট্যশালা, শাপলা চত্ত্বর সহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকাকে স্বপ্নের শহরে রুপায়িত করেছেন তারই পরম তুলির আঁচরে। কথা বলে জানলাম গত ১৯৯৪ থেকে এখন অবধি সূদীর্ঘ পথ পারি দিয়ে কাজ করছেন রাজশাহী, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, পীরগাছা(রংপুর) ও লালমনিরহাট অঞ্চলে। 


আলপনা, ফম ফন্ট ডিজাইন, বিয়ের যাবতীয় সাজ সজ্জা, বর কনে ও বিয়ের গাড়ি সাজানো, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ব্যানার, পাথর খুদাই সহ হরেক রকম কাজের অভিজ্ঞতায় পুষ্ট ফিরোজ ভাইয়া। কুড়িগ্রামের সাথে সাথে বাহিরে অনেক কদর এবং দর আছে উনার কাজের। শিল্পমনা মানুষটি তার পরিবারকেও গড়ে তুলেছেন সেভাবে। এখন সুখে দিন কাটে অল্প আয়েও। স্বপ্ন দেখেন বড় একটা পুষ্প ভান্ডার করবেন। সেখানে আরো থাকবে ডিজিটাল অনেক যন্ত্রপাতি। যা তার কাজগুলোকে সহজ করে দিবে অনেকাংশে। স্বপ্ন পুরোন হোক ফিরোজ ভাইয়ের, সুখ অসীম সুখ ধরা দেক তার সংসারে। আমাদের সকলের অনুপ্রেরনার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হোক ফিরোজ ভাইয়া।