This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

বিজয় আসলে | ক্লান্ত মুসাফির



বিজয় যে দিন আসবে বন্ধু
সবাই দেখবে চেয়ে।
বুকে জড়িয়ে নিবে তোমায়
অনেক ভালপেয়ে।
বলবে সবাই তোমায় এসে
তোমার সাথে ছিলাম।
তোমার জন্য তুলসি তলায়
জল দিয়েছিলাম।
ফুলের মালা,গিফট উপহার
আরও কত কিছু।
সবায় তখন সালাম দিয়ে
ঘুরবে পিছু পিছু।
খাতির যত্ন করবে তোমার
ধরবে তোমার পা।
স্বার্থ খানি শেষ হলেই
খুজে পাবে না....

৩০ ডিসেম্ভরের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা ও ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে

নাহিদ হাসান নোলেজ

৩০ ডিসেম্ভরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ‘ডাকসু’ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হয়েছে । আগের ৪ বারের মতো বাতিল না হলে, আগামী ১১ মার্চ -এ নির্বাচন হওয়ার কথা । কেমন নির্বাচন হবে ডাকসুতে ? ৩০ ডিসেম্ভরের মতো ? আরো অভিনব ? ফ্রি এন্ড ফেয়ার ? এসব প্রশ্ন মাথায় না নিয়ে নির্বাচনের আলাপে কেউ ঢুকতে পারবেনা আসলে । ১৯৭৩ থেকে ২০১৮ এর নির্বাচন সমুহের ইতিহাস মাথায় নিলে দেখা যাবে, ডাকসু’র জন্য ন্যুনতম গ্রহনযোগ্য একটি নির্বাচন করতে হলে কমপক্ষে ২টি শর্ত পুরণ করতে হবে ;
১ । নির্বাচনপূর্ব স্বাভাবিক, নিরাপদ পরিবেশ ও পরিস্থিতি নিশ্চিত করা ।
২ । নির্বাচনের দিনের পরিবেশ এবং কারচুপি মুক্ত নির্বাচনী ফলাফল নিশ্চিত করা । যার জন্য কমপক্ষে নীচের শর্ত গুলো পুরণ করতে হবে :
ক) এমন একটি ব্যবস্থা করতে হবে যাতে কেউ আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে না রাখতে পারে অর্থাৎ ভোট গ্রহন শুরুর আগে দায়িত্ব পালনরতদের মিডিয়াকে ডেকে এনে দেখাতে হবে যে ব্যালট বাক্স শুন্য আছে ।
থ) ভোট গ্রহন হতে হবে সবার জন্য নিরাপদ এবং উন্মুক্ত স্থানে অর্থাৎ হলে হলে ভোট গ্রহনের পুরাতন ব্যবস্খার পরিবর্তে একাডেমিক ভবনে বা সুবিধাজনক অন্য কোন স্থানে ভোট গ্রহনের ব্যবস্থা হবে ।
গ) ভোটোরের উপস্থিতি, অবস্থান এবং চলাচলকে নিরাপদ করতে হবে অর্থাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ- নির্গমন এবং অবস্থানের সময়কালে যাতে কেউ কাউকে আক্রমন, ভয়ভীতি প্রদর্শন বা নিপীড়ন- নির্যাতন না করতে পারে তার জন্য পর্যাপ্ত সিসি টিভি স্থাপন করতে হবে । সকল ধরনের মিডিয়ার স্বাভাবিক উপস্থিতিরি পরিবেশ ও ব্যবস্থা করতে হবে ।
ঘ) বিকাল ৪-৫টার মধ্যে অংশগ্রহনকারী সংগঠন,ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে ভোট গণনা শেষ ও ফল ঘোষনার ব্যবস্থা করতে হবে ।
এ কয়েকটি শর্ত পুরণ করার দাবীতে সকল ছাত্র সংগঠন ও সাধারন ছাত্রদের এমনভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন,যাতে তারা এ দাবী পুরণে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষকে বাধ্য করতে পারে । আর তা না করতে পারলে মাস্তানি-গুন্ডামী-চ্যচরামি সবই ‘গণতান্ত্রিক’ বৈধতা পেয়ে যাবে । 
ভাবুন কি করবেন । দেশ আপনার, ভবিষ্যতও আপনার।

লেখকঃ সভাপতি, রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি।
nahidknowledge@gmail.com

অপার সম্ভাবনার কুড়িগ্রামের সকল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো হবে – প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন




এক বছরের মধ্যে রংপুরে গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থা হবে বলে জানালেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন । তিনি আরও বলেন, রংপুর বিভাগকে শিল্পাঞ্চলে পরিণত করতে হলে গ্যাসের বিকল্প নেই। আমরা সেই চেষ্টাই করছি।
শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে কুড়িগ্রাম সোসাইটির এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি ।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের বৈষম্য রাখতে চাননা। তিনি উত্তরাঞ্চলকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।বিদ্যুতর ব্যবস্থা হয়ে গেছে এখন গ্যাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।


কুড়িগ্রামবাসীর বিভিন্ন দাবীর প্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামকে ভাল বাসেন। আমাকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন শুধু আমার মন্ত্রণালয়ের উন্নতির জন্য নয়, কুড়িগ্রামের জন্যও । আপনারা আস্থা রাখুন । কুড়িগ্রাম বদলে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন,  অপার সম্ভাবনার কুড়িগ্রামের সকল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো হবে। নদী বন্দরকে গতিশীল করা হবে। নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিভিন্ন উপজেলার দুর্গম অঞ্চল গুলোর সাথে জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের জন্য  সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন রাস্তা কাঁচা থাকবেনা । যে সমস্ত নদীতে ব্রিজ দরকার সেগুলো করা হবে। কুড়িগ্রাম নিয়ে সামগ্রিক পরিকল্পনা রয়েছে।
লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালুর ব্যপারেও প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলেও প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন। এছাড়া  পাট চাষে বিখ্যাত উলিপুরের পাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হবে তিনি জানান।

প্রতিমন্ত্রী জাকির বলেন, রংপুর অঞ্চলের হারিভাষা আমের সংরক্ষণ ও বাজারাজাতকরণের বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে ।
কুড়িগ্রাম জেলার উন্নয়ন, প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণে করণীয় শীর্ষক এই  সভায় সভাপতিত্ব করেন সোসাইটির সভাপতি এডভোকেট আনছারী ।
এছাড়া কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন পরিককল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শাহিন চিশতিসহ অন্যন্যরা।
সভায় ঢাকায় বসবাসরত কুড়িগ্রাম জেলাবাসী উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে মনোজ্ঞ ভাওয়াইয়া পরবেশনায় অংশ নেন ভাওয়াইয়া শিল্পী শফিউল আলম রাজা, ক্লোজ আপ ওয়ান খ্যাত শিল্পী সাজু, ও কুড়িগ্রামের ভাওয়াইয়া শিল্পীরা।

সূত্রঃ QN

বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হকের স্মৃতি কথা




মুক্তিযোদ্ধা মো. শামসুল হক। অনেক স্বপ্ন নিয়ে সম্মুক যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। স্বাধীনতার মাসে তার যুদ্ধকালিন অভিজ্ঞতা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি এবং স্বপ্ন নিয়ে কথা বলেছেন

১. মরা স্বাধীনতার ৪৬ বছর অতিক্রম করেছি। আজো আমাদের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। কারণ, স্বাধীনতার পরই আমরা নানাজন নানা মতে ও পথে বিভক্ত হয়ে পড়েছি। দেশমাতৃকার স্বার্থে এক হতে পারিনি। কিন্তু এখনো সময় ফুরিয়ে যায়নি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে পুরো জাতি যেমন এক হয়েছিল তেমনই আবারো এক হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আর এ দায়িত্ব পালন করতে হবে নতুন প্রজন্মকে। নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের প্রত্যাশাও অনেক। ১৯৭১ সালে ৭ মার্চের ভাষণ শুনে মুক্তিকামী জনতার সারিতে দাঁড়িয়ে আমিও পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে যুদ্ধে গিয়েছিলাম। আমি চাকরি করতাম যশোর জেলার, মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে। সেই সময়ে যশোর সেনানিবাস থেকে সুগার মিলের আশপাশে শীতকালীন মহড়ায় আসা আমার পরিচিত এক বাঙালি সেনা গোপনে আমাকে জানিয়ে দিলেন, পারলে দ্রুত বাড়ি চলে যাও, অবস্থা ভালো না। ১ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে যশোর-ঢাকা রোডে পাক বাহিনী গুলি চালিয়ে রাস্তার সাধারণ মানুষ মেরে সামনে ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়ার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। পাকসেনার গাড়ি চলে গেলে দেখা যায়, রাস্তার পাশে অনেক সাধারণ মানুষের লাশ পড়ে আছে। এ দৃশ্য দেখে বাঙালিরা আরো জাগ্রত হয়। অস্ত্র নিয়ে যশোর সেনানিবাস থেকে বাঙালি সেনারা বেরিয়ে এসে স্থানীয় যুবকদের নিয়ে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে। তারা রাস্তায় ব্যারিকেট দিয়ে সুকৌশলে অনেক পাকসেনাকে পাকড়াও করে মেরে ফেলে। মুক্তিযোদ্ধাদের খাবারের জন্য আমি এবং নুর আলী বিশ্বাসসহ সংগ্রাম কমিটির সদস্যদের নিয়ে বাসায় বাসায় ঘুরে রুটি চিরা গুড় সংগ্রহ  করি। এভাবে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত কঠিন অসুবিধার মধ্যেও সুগার মিলে ছিলাম। প্রতিদিন বিবিসির খবর শুনে অবস্থা অবগত হতাম আর বাহিরে দেখতাম মিলের পাশ দিয়ে কিভাবে বাঙালিরা স্বজনদের নিয়ে বন্ধু রাষ্ট্রে চলে যাচ্ছে শরণার্থী হয়ে। নিকটতম সব কর্মকর্তা শ্রমিক/কর্মচারী সুগার মিল ছেড়ে বাড়িতে চলে গেছে। আমি একা খুবই চিন্তিত হয়ে পড়ি।

২. 
আমার বাড়ি রংপুরের শেষ প্রান্ত ভুরুঙ্গামারীতে। নুর আলী বিশ্বাস আমাকে সাহস দিয়ে বলেন, চলুন মেহেরপুরে যাই। ১৭ এপ্রিল সকালে মেহেরপুরে পৌঁছি। সেখানে গিয়ে দেখি মেহেরপুরের আমবাগানে মুজিব নগর সরকার গঠনের প্রস্তুতি চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যে শপথ গ্রহণ শুরু হবে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপদেশমূলক ভাষণ এবং নির্দেশাবলি শুনি। শপথ অনুষ্ঠান শেষে সুগারমিলে ফেরত চলে আসি।


১৯ এপ্রিল আমি শরণার্থীদের সাথে হেঁটে বাগদা সীমান্ত পার হয়ে বনগাঁ গিয়ে মাগুরার ছোহরাব হোসেন এবং যশোরের রওশন আলীর নিকট থেকে পরিচয়পত্র নিয়ে বনগাঁ থেকে ট্রেনে কলকাতায় যাই। যাওয়ার পথে ট্রেনে এক মহিলা যাত্রী আমাকে দেখে রাগ করে বলেন, আপনারা যুবক ছেলেরা জয় বাংলা ছেড়ে চলে আসছেন কেন? মুক্তিযুদ্ধে যান। আমরা সম্ভ্রম হারিয়ে এসেছি। উনার কথায় আমি কোনো উত্তর দিতে পারিনি। 

এরপর কলকাতায় গিয়ে হাওরা স্টেশন থেকে জলপাইগুড়িগামী ট্রেনে উঠে কুচবিহারের উদ্দেশে রওনা হলাম। এরপর কুচবিহার পৌঁছে সেখান থেকে বাসে করে দিনহাটা হয়ে সাহেবগঞ্জ নেমে হেঁটে বিকাল ৫টায় মুক্ত এলাকা ভুরঙ্গামারী পৌঁছি। জামতলায় জব্বার মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে শামসুল হক চৌধুরী এমপি, পেটলা মজিবর রহমান, ফজলার রহমান, আব্দুল জলিল সরকার, জয়নাল মিয়া, ডা. নিয়ামত আলী, আব্দুল মান্নান, কাদের ব্যাপারী, ফনী ভুষণ সাহা, আক্তার মন্ডল, ইসহাক ব্যাপারী, তমিজ মাস্টার, মধু মাস্টার, হাকিম শিকদারসহ আরো অনেককে মিটিং করতে দেখতে পাই। শামসুল হক চৌধুরী আমাকে দেখে চিৎকার করে কাছে ডেকে বললেন, তুই কেমন করে আসলি? ঐদিকের খবর বল। আমি বিস্তারিত ঘটনা খুলে বললাম। তিনি আমাকে ক্যাপ্টেন নওয়াজেশের সাথে কাজ করার নির্দেশ দিলেন।

৩.
পরের দিন ক্যাপ্টেন নওয়াজেশের সাথে দেখা করি। তার নির্দেশক্রমে প্রথম দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের যাতায়াত ও খাবার ব্যবস্থার জন্য ফায়ার সার্ভিসের একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে আসামের গোলকগঞ্জ থেকে পেট্রোল এবং জয়মনিরহাট, নাগেশ্বরীর খাদ্যগুদাম থেকে চাল সংগ্রহ করে এনে সিও অফিসে ক্যাপ্টেনের কাছে রাখতে শুরু করি। এ ছাড়া উত্তর ধরলামুক্ত থাকার সময়ে নাগেশ্বরীর আওয়ামী লীগের সংগঠক শেখ মজিবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ডা. ওয়াশেক আহম্মেদ ও ভুরুঙ্গামারীর মজিবুর রহমানের সাথে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে বিভিন্ন সলাপরামর্শ করি। কুড়িগ্রাম পাকবাহিনীর দখলে চলে গেলে উত্তর ধরলামুক্ত রাখার জন্য আমাদের জোয়ানরা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু বেশি দিন মুক্ত রাখা সম্ভব হয়নি। এরপর ঊর্ধ্বতন সংগঠকদের নির্দেশে আমরা ভারতের বর্ডারে চলে যাই। কুচবিহার ৬নং সেক্টরের জোনাল অ্যাডমিনিসট্রেটর মতিউর রহমানের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা নেই। সাহেবগঞ্জে ক্যাপ্টেন নওয়াজেশের ৬নং সেক্টরের ‘সাব সেক্টর’ অফিস চালু করি। এরপর নাজিরহাটে ঝন্টু মিয়ার জমিতে ‘যুব শিবির’ তৈরি করি। নাজিরহাট যুব শিবিরে প্রতিদিন ৪০/৫০ জন যুবক ভর্তি হতে থাকেন। এদের খাওয়া, যাতায়াতসহ সব কিছু আমাকে দেখতে হয়েছে। ২/৩ দিন শিবিরে রেখে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিয়ে দিনহাটায় শিবিরে পাঠানো হতো। সেখান থেকে ভারতের সহায়তায় সামরিক ট্রেনিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতো।

৪.
দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের কতো করুণ স্মৃতি/ইতিহাস মনের ভেতরে আছে তা ভাষায় বোঝানো কঠিন। ক্লান্তি বলে শরীর থেমে থাকেনি। যখন যেখানে ডাক পড়েছে ছুটে গেছি। ভুরঙ্গামারী পাকবাহিনী দখলে থাকা অবস্থায় গেরিলা কায়দায় কয়েক রাত্রি ভুরঙ্গামারী এসেছি। কিন্তু নিজের বাড়ি খুঁজে পাইনি। রাজাকাররা আমাদের বাড়ি ঘর সব পুড়িয়ে এবং গাছপালা কেটে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল। ১৯৭১ সালে ১৪ নভেম্বর ভুরঙ্গামারী হানাদার মুক্ত হলে পরিবারের লোকজন নিয়ে ভারত থেকে নিজ ভ‚মিতে ফিরে আসি। খোলা আকাশের নিচে অনেক দিন তাঁবু খাটিয়ে থাকতে হয়েছে।

১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হলে দীর্ঘ ৯ মাসের দুঃখ বেদনা ভুলে আমরা আনন্দে মেতে উঠি। এরপর সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ২৭ ডিসেম্বর মোবরকগঞ্জ সুগার মিলে পৌঁছে আবার কর্মে যোগ দেই। যারা ঐ সময়ে সুগার মিলে ছিলেন তারা আমাকে দেখে চিৎকার দিয়ে বলে উঠেন আপনাকে নাকি বর্ডার পার হওয়ার সময় খান সেনারা মেরে ফেলেছে। আপনার মৃত্যুর সংবাদে আমরা শোক সভা, গায়েবি জানাজা এবং মসজিদে দোয়া মাহফিল করেছি এই আপনার ভাগ্য

এতো সংগ্রাম এবং কষ্টের বিজয়কে ফলপ্রসূ করার জন্য স্বাধীনতার মাসে এই নতুন প্রজন্মের কাছে আমার বিনীত আরজ আমরা বাঙালি বীরের জাতি। আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে মাথা নিচু করবে না। শেখ মজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে বীর বাঙালি দলমত নির্বিশেষে এক জোট হয়ে মাত্র ৯ মাসেই একটি দেশ স্বাধীন করেছি। বিশ্বের ইতিহাসে এমন সাহসিক বিজয়ের নজির নেই। সব ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক জোট হয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে সুখী সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করো।

নোটিশ; কুড়িগ্রাম সোসাইটি


আমার মনে হয় অনুষ্ঠানটি সু- সম্পন্ন করার জন্য কিছু কিছু বিষয়ে সু নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত -

১) ১৫ সদস্য বেষ্টিত ভলান্টিয়ার টিম  যা ২ ভাগে থাকবে , এক ভাগের নেতৃত্ব দিবে আমাদের ইব্রাহিম পারভেজ যা ৫ সদসসের , এই গ্রুপের কাজ হবে আমন্ত্রিত অতিথি দের গেট থেকে মঞ্চ পর্যন্ত নিয়ে আসা ও মঞ্চে নিদ্রিস্ট বাক্তি ছাড়া অন্য কাউকে উঠতে না দেয়া , অন্য গ্রুপ এর নেতৃত্ব দিবে আমাদের শিশির সরকার ,১০ সদস্য বিশিস্ট এই গ্রুপের কাজ হবে অতিথি ও দর্শক শ্রোতার মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং খাবার বিতরন করা ।

২) অতিথিদের ফুল দিয়ে বরন করার জন্য স্মার্ট বাচ্চা হলে ভালো হয় , সে ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে যাদের বাচ্চা আছে আমার ধারনা সবার বাচ্চারাই স্মার্ট ( হামরা মফিজ হইলে ও হামার সবার বাচ্চারা স্মার্ট এটা আমার নিজস্ব ধারনা ) তারা জানাতে পারেন ,বাচ্চা নিয়ে আসায় ইচ্ছুক সবার ক্ষেত্রে ১ জনের বেশী বাচ্চা একেক পরিবার থেকে নেয়া হবে না । বাচ্চা না পাওয়া গেলে নিজেদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে আগামীকালের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কে কাকে ফুল দিয়ে বরন করবো ।

৩) ক্রেস্ট প্রদানের ক্ষেত্রে আমরা নিজেরাই দুই জন করে এক জন আমন্ত্রিত অতিথিদের ক্রেস্ট প্রদান করবো । সে সিদ্ধান্ত ও আগামীকালের মধ্যে নিতে হবে ।

৪) উপস্থাপনার জন্য আমাদের সাব্বির খান সায়েম ও শিশির সরকার থাকবেন , এর বাইরে কোন মেয়ে উপস্থাপিকা হতে চাইলে আজকের মধ্যেই জানানোর জন্য বলা হচ্ছে , সেক্ষেত্রে মেয়ে উপস্থাপিকার জন্য ড্রেস- মেকাপ সহ অন্যান্য বিষয়ে আমাদের কিছু পরামর্শ থাকবে ।

৫) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অর্থাৎ ভাওয়াইয়া গান এর প্রোগ্রাম হতে পারে ( এখনো পুরাপুরি কনফার্ম না ) সে বিষয় কনফার্ম হলে ও নির্দেশনা সহকারে জানিয়ে দেয়া হবে । ধন্যবাদ সবাইকে ।

এই সব বিষয়ে কারো কোন দ্বিমত থাকলে কমেন্টস করে আমাদের জানিয়ে রাখতে পারেন ।


  • সাধারণ সম্পাদকঃ শাহীন চিশতি

পুনরায় ন্যাশনাল সার্ভিস চালুর দাবি কুড়িগ্রামের বেকার যুবকদের!



এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কর্মসংস্থানহীন কুড়িগ্রামে ন্যাশনাল সার্ভিস পুনরায় চালুর দাবি করেছে এখানাকার নয়টি উপজেলার হাজার হাজার বেকার যুবক-যুবতীরা। এ দাবিতে মানববন্ধন ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছে বেকাররা।

এর অংশ হিসেবে শুক্রবার উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের চরশৌলমারী হাই স্কুল মাঠে ইউনিয়ন পর্যায় মানববন্ধন ও আলোচনা সভা করেছে সেখানকার বেকার যুবক-যুবতীরা।
এতে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল সার্ভিসের ইউনিয়ন সভাপিত দুলাল হোসেন, সাধারন সম্পাদক সিরাজুল মাষ্টার, কোষাধ¶ মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ন্যাশনাল সার্ভিস নিয়ে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কাছে রৌমারী উপজেলাসহ কুড়িগ্রামের নয়টি উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস পুনরায় চালু করার জোড়দাবি করছি।
তারা বলেন, আমাদের মতো বেকারদেরকে তিনি ন্যাশনাল সার্ভিসের আওতায় এনে বেকারত্বের বিষাক্ত অভিশাপ থেকে আমাদের রক্ষা করবেন এই প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর কাছে করছি আমরা।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেকারত্ব দূরীকরণে নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী কুড়িগ্রাম, বরগুনা ও গোপালগঞ্জ জেলায় ২০১০ সালে প্রথম দুই বছর মেয়াদী ন্যাশনাল সার্ভিস চালু করেন। সে সময় কুড়িগ্রামে দুই দফায় কয়েক হাজার বেকার যুব-যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির আওতায় বেকার যুব-যুবতীদের বিভিন্ন দপ্তরে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকুরি দেওয়া হয়। এর মধ্যে তৃতীয় দফায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসের আহবানে আরও কয়েক হাজার বেকার যুবক-যুবতীর কাছ থেকে দরখান্ড আহবান করা হয় এবং আবেদনকারীদের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে বাছাই করা হয়। কিন্তু এর মাঝে ন্যাশনাল সার্ভিসের কার্যক্রম কুড়িগ্রামে স্থগিত হয়।
এতে তৃতীয় দফায় আবেদন কারী কয়েক হাজার বেকার যুবক-যুবতীর ভাগ্যে সরকারি অর্থনৈতিক সুবিধা আর জোটেনি। বন্ড়াবন্দী হয়ে থাকে তাদের ন্যাশনাল সার্ভিসের আবেদন। তৃতীয় দফার আবেদনকারী ও পূর্বে নিয়োগ প্রাপ্তদের অনেকের সরকারি চাকুরির বয়সসীমা শেষ পর্যায়ে। এ অবস্থায় কুড়িগ্রামে ন্যাশনাল সার্ভিস পুনরায় চালু করে তৃতীয় দফার আদেনকারীদের ন্যাশনার সার্ভিসে নিয়োগ প্রদান ও পূর্বে নিয়োগ প্রাপ্তদের পুনঃনিয়োগ দিয়ে কর্মসংস্থানের পথ সৃষ্টি করা একান্ত জরুরী বলে জানিয়েছেন এখানকার বেকাররা।

সূত্রঃ স.বা.

আজই প্রকাশ হচ্ছে NTRCA নিবন্ধনধারীদের সুপারিশ



বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের জন্য সুপারিশকৃতদের তালিকা প্রস্তুত করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।  শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছেন।  জানা গেছে আজ রাতেই ওই তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে।

কর্মকর্তারা জানান, আবেদন যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। যে কোনও সময় সুপারিশকৃত প্রার্থীদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। অন্য আরেকটি সূত্র জানায়, রাতের মধ্যেই সুপারিশকৃতদের তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে। এরপর সুপারিশপত্র প্রকাশ করা হবে। সুপারিশকৃত প্রার্থীরা নিজ নিজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সুপারিশপত্রটি ডাউনলোড করে নিবেন।

ফেব্রুয়ারিতে ৪০ হাজার শূন্য পদে যোগদান কার্যক্রম শুরু হবে।
জানা গেছে, কোনও প্রতিষ্ঠান সুপারিশকৃতদের নিয়োগে বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে এনটিআরসিএ থেকে শিক্ষা বোর্ডকে বিষয়টি জানানো হবে। বোর্ড প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি ভেঙ্গে দিবে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে শিক্ষক পদে ৩১ লাখ আবেদন জমা পরে।

ভালোবাসার মাঝে, একটি প্রশ্ন | মোস্তফা তোফায়েল

Love, A Question : Robert Frostঅনুবাদ, ভালোবাসার মাঝে, একটি প্রশ্ন -মোস্তফা তোফায়েল


সন্ধার কালে দরোজার কাছে অচেনা অতিথি এসে,
সুদর্শন সে-বরের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে ফেলে।
সবুজ-শুভ্র ছড়ি একখানা ধরা ছিল তার হাতে,
এবং, সে-সাথে আশ্রয়-খোঁজা উদ্বেগ দেয় ঢেলে।
ভাষা ছিল তার চোখের তাকানো, মুখের কথার চেয়ে,
আবেদন শুধু সেই সন্ধায় এতটুকু আশ্রয়,
ফিরে সে দাঁড়ালো তাকিয়ে সুদূরে পথের অপর পাড়ে
জানালার আলো যদিও হয়েছে ক্ষয়।
বর মহোদয় হলেন উদয় তখন বারান্দায়,
বললেন, তা হলে আসুন, আকাশের তারা গুণি,
অতিথি সুজন, আপনি ও আমি প্রশ্ন সুধাই তাকে,
আজিকার রাত কেমন কাটিবে, শুনি।”

মাধবীকুঞ্জ বিছিয়েছে পাতা সকল আঙিনা জুড়ে
নীল জামগাছ নীলে নীলে গেছে ভরে,
হেমন্ত কাল, তবু আসে শীত বাতাস কুয়াশা ভরা;
অজানা অতিথি, যদি জানতেম, কেন তুমি এলে ওরে!
ঘরের ভেতরে, একাকী বধূটি এই সন্ধার কালে
ঝুঁকে বসে আছে খোলা চুল্লির কাছে,
লালাভ আগুনে মুখখানি তার গোলাপির রঙে রাঙা,
ভাবনায় তার কামনামদির মিলন বাসনা আছে।
বর মহোদয় উদাস তাকায় ক্লান্ত পথের দিকে 
তথাপি দেখেন বধূকে তাহার, ঘরে,
কামনা করেন হৃদয় তাহার সোনালি সুখের ফ্রেমে
রূপোলি কাঁটায় বিঁধে আছে অন্তরে।
বর মহোদয় মেহমানে তার কতটুকুই বা দেবে--
রুটি একখানি, টাকাকড়ি দিতে পারে,
আর দিতে পারে এই মুসাফিরে দুহাতে আশীর্বাদ,
ধনবানদের অভিশাপ, ধিক্কারে;

কিন্তু এমন আগন্তুকের আগমন হেতু কী যে
দুটি হৃদয়ের প্রেম ধ্বংসের কাজে
বিয়েবাড়ি এসে দুঃখ বিছিয়ে দিয়ে,
ভাল ছিল জানা, যেহেতু জানেন-না যে।


২১ জানুয়ারি, ২০১৯
পল্লবী, মিরপুর-১২, ঢাকা।

দ্রুত অপেক্ষার অবসান নিবন্ধনধারীদের



দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগপ্রত্যাশীদের অপেক্ষার অবসান চলতি সপ্তাহে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট তারিখ বলবো না। তবে আশা করছি এ সপ্তাহের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা হবে।

কী পদ্ধতিতে নিয়োগ দেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব প্রক্রিয়া ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন হবে। ফল প্রকাশের পর যোগ্য প্রার্থীদের এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিকে এসএমএস ও লিখিতভাবে এ তথ্য জানানো হবে। আশফাক হুসেন বলেন, ৩০ দিনের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীকে যোগদান করতে বলা হবে। যদি কেউ এ সময়ের মধ্যে যোগদান না করেন তবে পরবর্তী মেধা তালিকায় যোগ্য প্রার্থীকে যোগ্য বলে বিবেচনা করে তাকে যোগদানের সুযোগ দেয়া হবে।

জানা গেছে, সারাদেশে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট ৩৯ হাজার ৫৩৫ জন শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। ১ম থেকে ১৪তম নিবন্ধিতদের জন্য আবেদনের সুযোগ ছিল। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য অনলাইনে আবেদন নেওয়া হয় ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে ২ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত। গত ১২ জুন যাদের বয়স ৩৫ অথবা তার কম এবং জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য শর্ত পূরণ করবে শুধু তারাই নিয়োগ হবে। জাতীয় মেধার ভিত্তিতে বাছাইপূর্বক বিধি মোতাবেক প্রতিটি পদের বিপরীতে চূড়ান্তভাবে একজনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করবে এনটিআরসিএ। এর পর নির্বাচিতদের মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে সেই তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে। বিস্তারিত জানা যাবে 

অথবা 
http://ntrca.gov.bd এ ওয়েবসাইটে।